শ্যামা সংগীত: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
সম্পাদনা সারাংশ নেই
Suvray (আলোচনা | অবদান)
সম্পাদনা সারাংশ নেই
৩ নং লাইন:
 
শ্যামাসঙ্গীতের ধারাটি বিকাশলাভ করে খ্রিষ্টীয় অষ্টাদশ শতাব্দীতে। এই সময় [[বঙ্গ|বঙ্গদেশে]] বিশেষত [[পশ্চিমবঙ্গ|পশ্চিমবঙ্গে]] এক রাজনৈতিক ও সামাজিক সংকটকালে [[বৈষ্ণবধর্ম|বৈষ্ণব ধর্মানুশীলনের]] পরিবর্তে শাক্তদর্শন ও শক্তিপূজা ক্রমশ জনপ্রিয় হয়ে উঠতে থাকে। তারই ফলস্রুতিতে উদ্ভুত হয় শাক্তসাহিত্য। শ্যামাসঙ্গীতের শ্রেষ্ঠ কবি [[রামপ্রসাদ সেন]] এবং শাক্তপদাবলির জগতে তাঁর পরেই স্থান [[কমলাকান্ত ভট্টাচার্য|কমলাকান্ত ভট্টাচার্যের]]। এই দুই দিকপাল শ্যামাসংগীতকার ছাড়াও অষ্টাদশ ও ঊনবিংশ শতাব্দীতে বেশ কয়েকজন বিশিষ্ট পদকর্তা এই ধারায় সংগীতরচনা করে শাক্তসাহিত্য ও সর্বোপরি শাক্তসাধনাকে জনপ্রিয় করে তোলেন। এঁদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য – [[কৃষ্ণচন্দ্র রায়]], [[শম্ভুচন্দ্র রায়]], [[নরচন্দ্র রায়]], [[হরুঠাকুর]] [[অ্যান্টনি ফিরিঙ্গি]], [[রামনিধি গুপ্ত]] (নিধুবাবু), [[কালী মির্জা]], [[দাশরথি রায়]] (দাশুরায়) প্রমুখ। অনেক মুসলমান কবিও শ্যামাসঙ্গীতের ধারায় নিজ নিজ কৃতিত্ব স্থাপন করে গেছেন। বিংশ শতাব্দীর শ্রেষ্ঠ শ্যামাসংগীতকার হলেন [[কাজী নজরুল ইসলাম]]। অন্যদিকে এই শতাব্দীর জনপ্রিয় শ্যামাসঙ্গীত গায়কদের অন্যতম হলেন [[পান্নালাল ভট্টাচার্য]], [[ধনঞ্জয় ভট্টাচার্য]], [[রামকুমার চট্টোপাধ্যায়]] প্রমুখ।
 
==উল্লেখাযোগ্য শ্যামাসঙ্গীত==
*অন্তরে মা থাকনা শ্যামা, যাসনে মাগো আমায় ছেড়ে
*কালো অঙ্গে আলোর জ্যোতি, এমন রূপ আর কোথায় পাই
*কে রে কামিনী, নব দামিনী
*চাই না মাগো রাজা হতে, রাজা হবার সাধ নাই মাগো
*জয় জয় মা, জয় জয় মা
*দে মা শ্যামা আবার দেখা, ত্রিভুবনে আর কে আছে
*দূর্গতীনাশীনি ‍মাগো, ত্রিলোচনী তারা
*মনরে কৃষি কাজ জান না, এমন মানব জমিন রইল পতিত
*মহা বিদ্যা আদ্যা শক্তি পরমেশ্বরী কালিকা
*মা আমার সাধ না মিটিল, আশা না পুরিল
*মা তোর কত রঙ্গ দেখব বল
*মাগো আনন্দময়ী, নিরানন্দ করো না
*মায়ের পায়ের জবা হয়ে উঠ না ফোঁটে মন
*শ্যামা মা কি আমার কালোরে শ্যামা
*সকলি তোমারি ইচ্ছা গো মা
*সদানন্দ মৈতালী, মহাকালের মনমোহিনী
 
== আরও দেখুন ==