নর্থব্রুক হল: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
Bellayet (আলোচনা | অবদান)
ছবি+
Bellayet (আলোচনা | অবদান)
সম্পাদনা সারাংশ নেই
১ নং লাইন:
[[File:Forashgong Old Dhaka66.jpg|thumb|330px250px|বর্তমান লালকুঠি (নর্থব্রুক হল)]]
'''নর্থব্রুক হল''' (বর্তমানে স্থানীয়ভাবে '''লালকুঠি''' নামে পরিচিত) [[বাংলাদেশ|বাংলাদেশের]] রাজধানী [[ঢাকা|ঢাকার]] অন্যতম প্রাচীন ও সৌন্দর্যময় স্থাপত্যিক একটি নিদর্শন যা [[বুড়িগঙ্গা নদী|বুড়িগঙ্গা নদীর]] তীরে ওয়াইজ ঘাটে অবস্থিত। ১৮৭৪ সালে ভারতের গভর্নর জেনারেল [[জর্জ ব্যরিং নর্থব্রুক]] ঢাকা সফরে এলে এ সফরকে স্মরণীয় করে রাখার জন্য এই ভবনটি টাউন হল হিসেবে নির্মাণ করা হয়। তৎকালিন ঢাকার স্থানীয় ধনাঢ্য ব্যক্তিরা গভর্নর জেনারেল নর্থব্রুকের সম্মানে এই ভবনের নাম দেন নর্থব্রুক হল। ১৯২৬ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি এখানে বিশ্বকবি [[রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর|রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরকে]] ঢাকা পৌরসভা সংবর্ধনা দেয়।<ref>http://www.dailykalerkantho.com/?view=details&feature=yes&type=gold&data=Download&pub_no=234&cat_id=3&menu_id=82&news_type_id=1&index=17&archiev=yes&arch_date=24-07-2010</ref> বর্তমানে ভবনটির দায়িত্ব রয়েছে ঢাকা সিটি কর্পোরেশন এবং মিলনায়তন হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে। এ ভবনটি সংলগ্ন সড়কটি নর্থব্রুক হল রোড নামে পরিচিত।
 
==ইতিহাস==
[[File:Northbrook Hall.jpg|thumb|330px220px|নর্থব্রুক হল, ১৯০৪ খ্রিস্টাব্দ]]
১৮৭৯ সালের শেষের দিকে নর্থব্রুক হলের নির্মাণ কাজ শেষ হয়। ভাওয়াল রাজা রাজেন্দ্র নারায়ণ রায় চৌধুরী এটি নির্মাণের জন্য ১০ হাজার টাকা দান করেন।<ref>http://www.dailykalerkantho.com/?view=details&feature=yes&type=gold&data=Download&pub_no=234&cat_id=3&menu_id=82&news_type_id=1&index=17&archiev=yes&arch_date=24-07-2010</ref> তবে ভবনটি ১৮৮০ সালের ২৫ মে উদ্বোধন করা হয়। সেসময়ে ঢাকার কমিশনার নর্থব্রুক হলের উদ্বোধন করেন। তৎকালীন পদস্থ রাজকর্মচারি ও ধনাঢ্য ব্যক্তিদের সভা এবং অন্যান্য আনুষ্ঠানিক কার্যক্রম এ ভবনে আয়োজন করা হল। পরবর্তী সময়ে নর্থব্রুক হলের নামানুসারে সংলগ্ন সড়কের নামকরণ করা হয় নর্থব্রুক হল রোড। ১৮৮২ সালে ভবনটি টাউন হল থেকে পাঠাগারে রূপান্তর করা হয় এবং এর সাথে জনসন হল নামে একটি ক্লাবঘর সংযুক্ত করা হয়। স্বল্পসংখ্যক বই নিয়ে পাঠাগারটির যাত্রা শুরু হলেও কয়েক বছরের মধ্যে এর বই সংখ্যা ১০ হাজার ছাড়িয়ে যায়। ১৮৮৭ সালে এই পাঠাগারের জন্য [[লন্ডন|বিলেত]] থেকে বই আনা হয়েছিল। ১৯২৬ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি এখানে বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথকে ঢাকা পৌরসভা সংবর্ধনা দেয়।<ref>http://www.dailykalerkantho.com/?view=details&feature=yes&type=gold&data=Download&pub_no=234&cat_id=3&menu_id=82&news_type_id=1&index=17&archiev=yes&arch_date=24-07-2010</ref>
 
৯ নং লাইন:
 
==স্থাপত্য==
[[File:Northbrook Hall View from Burigonga River.jpg|thumb|330px220px|বুড়িগঙ্গা থেকে নর্থব্রুক হল, ১৯০৪ খ্রিস্টাব্দ]]
নর্থব্রুক হল ভবনটি মোঘল নির্মাণশৈলী ও কৌশল অবলম্বনে নানাবিধ সুবিধার কথা বিবেচনা করে বুড়িগঙ্গা নদীর তীরে ওয়াইজঘাট এলাকায় এক বিঘা জমির ওপর নির্মাণ করা হয়েছিল।<ref>http://ittefaq.com.bd/content/2010/08/23/news0238.htm</ref> চমকা লালে রাঙা এ ভবনের দুই পাশে দুটি করে মোট চারটি সুশোভিত মিনার আছে। অষ্টভুজাকৃতির মিনারগুলো বৈশিষ্ট্যমণ্ডিত ও কারুকার্যখচিত। ভবনের উত্তর দিকে রয়েছে প্রবেশ দরজা। সবগুলো দরজাই অশ্বখুরাকৃতি ও অর্ধ-বৃত্তাকার। মুসলিম ঐতিহ্যের স্মারক হিসেবে এ ভবনের চূড়া বেশ উঁচু। চূড়া থেকে অনেক নিচে নকশামণ্ডিত, অলঙ্কারিক নিচু পাঁচিলের অবস্থান। তখনকার দিনে ভবনটি দক্ষিণ দিক থেকে দেখতে একরকম এবং উত্তর দিক থেকে দেখতে ছিল সম্পূর্ণ অন্যরকম। ফলে নতুন কোনো দর্শনার্থী হঠাৎ ভবনটি দেখে ঠিক বুঝে উঠতে পারতো না। বুড়িগঙ্গা নদীর তীর থেকে পরিদৃষ্ট হয় ভবনটির একধাপবিশিষ্ট গায় লাল রঙের বিশাল গম্বুজ, সুউচ্চ চূড়া ও নিচু পাঁচিল। ভবনের বুড়িগঙ্গার পাশের অংশটি দেখতে ছিল অত্যন্ত আকর্ষণীয়। তবে বর্তমানে হলঘরটির দক্ষিণ দিকে নানাবিধ দোকানপাট গড়ে ওঠায় বুড়িগঙ্গা দিয়ে চলার সময় এখন আর ভবনটি দেখা যায় না।