ধর্মমঙ্গল: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
৭ নং লাইন:
 
<blockquote>রাজা হরিশ্চন্দ্র (কোনো কোনো পুথিতে হরিচন্দ্র) ও রানি মদনার সন্তানাদি ছিল না বলে নানাপ্রকার লাঞ্ছনা সহ্য করতে হত। একদা রাজা-রানি বনে ঘুরতে ঘুরতে বল্লুকা নদীর তীরে ভক্তদের ধর্মঠাকুরের পূজা করতে দেখেন। তা দেখে তাঁরাও পুত্রকামনায় ধর্মপূজা করেন। পুত্র বয়ঃপ্রাপ্ত হলে তাঁকে ধর্মের নিকট বলি দিতে হবে - এই শর্তে ধর্মঠাকুর তাঁদের পুত্রবর দেন। কালক্রমে লুইচন্দ্র বা লুইধর নামে তাঁদের এক সর্বসুলক্ষণযুক্ত পুত্র জন্মায়। কিন্তু রাজা-রানি ধর্মকে দেওয়া তাঁদের প্রতিশ্রুতি বিস্মৃত হন। যথাকালে ধর্মঠাকুর এক ব্রাহ্মণের ছদ্মবেশে উপস্থিত হয়ে রাজা ও রানির কাছে এসে বলেন যে, তিনি তাঁর উপবাসভঙ্গের পর লুইচন্দ্রের মাংস ভক্ষণ করতে চান। রাজা ও রানির কাতর অনুনয়ে তিনি কর্ণপাত করেন না, বরং তাঁদেরও তাঁর সঙ্গে বসে পুত্রমাংস ভক্ষণ করার আদেশ দেন। অগত্যা রাজা ও রানি লুইচন্দ্রকে খড়্গাঘাতে হত্যা করে তাঁর মাংস রন্ধন করেন। কিন্তু তাঁরা ব্রাহ্মণবেশী ধর্মের আদেশানুসারে পুত্রমাংস ভক্ষণ করার পূর্বেই ধর্মঠাকুর স্ববেশ ধারণ করে তাঁদের হাত ধরে ফেলেন। জানা যায়, লুইচন্দ্রকে আদৌ কাটা হয়নি। ধর্মঠাকুরের মায়ায় হরিশ্চন্দ্র মায়া-লুইকে হত্যা করেছেন মাত্র। আসলে লুইকে নিজের কোলে লুকিয়ে রেখে ধর্মঠাকুর রাজা ও রানিকে পরীক্ষা করছিলেন। পুত্রকে অক্ষত অবস্থায় ফিরে পেয়ে রাজা ও রানি মহাখুশি হলেন এবং মহাসমারোহে ধর্মপূজার আয়োজন করলেন।</blockquote>
 
এই কাহিনিটি অতি প্রাচীন। অসিতকুমার বন্দ্যোপাধ্যায়ের অনুমান, পূর্বে ধর্মপূজার আসরে কেবল এই উপাখ্যানটিই গীত হত। আজও ধর্মপূজার দ্বিতীয় দিনে এটি গীত হয়। সকল ধর্মমঙ্গলেই এই কাহিনিটি রয়েছে। কোনো কোনো ধর্মমঙ্গলে আবার লাউসেনের প্রধান উপাখ্যানটির বদলে কেবল এই গল্পটিই স্থান পেয়েছে।<ref>''বাংলা সাহিত্যের ইতিবৃত্ত'', তৃতীয় খণ্ড: প্রথম পর্ব, পৃ. ২৯৬</ref>
 
=== লাউসেনের উপাখ্যান ===
 
== পাদটীকা ==