দেবীভাগবত পুরাণ: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
সম্পাদনা সারাংশ নেই
সম্পাদনা সারাংশ নেই
৭ নং লাইন:
 
ধীরেন্দ্রনাথ বন্দ্যোপাধ্যায়ের বর্ণনা অনুযায়ী, দেবীভাগবত পুরাণের সংক্ষিপ্ত বিষয়বস্তু হল: "[[ব্রহ্মা]] ও [[বিষ্ণু]] অপেক্ষা দেবীর অধিক মাহাত্ম্য, ব্যাসপুত্র [[শুকদেব|শুকের]] সংসারের প্রতি উদাসীনতা, শুককে ব্যাসলিখিত দেবীভাগবত পাঠের নির্দেশ, রাজা [[জনক|জনকের]] কাছে শুকের আগমন, জনক কর্তৃক চতুরাশ্রম পালনের প্রয়োজনীয়তার উপদেশ, [[মহালক্ষ্মী]], [[সরস্বতী (দেবী)|সরস্বতী]] ও [[মহাকালী]]রূপে সাত্ত্বিক-রাজস-তামস গুণের আশ্রয়ে নির্গুণা নিত্যা, যোগমায়ার আবির্ভাব, [[শিব]] কর্তৃক দেবীর প্রশংসা, দেবীযজ্ঞ, বিষ্ণুর বামনাবতার, দেবীর আরাধনা, কুমারী-পূজা, [[রামায়ণ]]সার, বাসুদেব-দেবকী ও [[পাণ্ডব]]দের কাহিনী, চ্যবন ও [[প্রহ্লাদ|প্রহ্লাদের]] আখ্যান, বিষ্ণুর অবতার-কাহিনী ([[নরনারায়ণ]], [[দত্তাত্রেয়]], [[পরশুরাম]], [[রাম]], [[বামন]], [[নৃসিংহ]], [[কৃষ্ণ]], [[অর্জুন (পাণ্ডব)|অর্জুন]] প্রভৃতি), দেবী কর্তৃক [[মহিষাসুর]] ও [[শুম্ভনিশুম্ভ]] বধ, [[হরিশ্চন্দ্র]] কাহিনী, চ্যবন-সুকন্যা কাহিনী, বিষ্ণুর মুখে শিব ও [[দাক্ষায়ণী|সতী]] সম্পর্কে নানা উপাখ্যান, পরমা প্রকৃতি থেকে [[রাধা]], [[লক্ষ্মী]], [[দুর্গা]], [[সরস্বতী]], [[সাবিত্রী]], [[কালী]], [[গঙ্গা (দেবী)|গঙ্গা]], [[ষষ্ঠী]], [[মঙ্গলচণ্ডী]], [[তুলসী]], [[মনসা]] প্রভৃতির উদ্ভব, [[রাধাকৃষ্ণ]]-তত্ত্ব, [[কলিযুগ|কলিযুগের]] বৈশিষ্ট্য, সদাচার, [[নবরাত্র|নবরাত্রব্রত]] ([[দুর্গাপূজা]]), ১০৮ পীঠস্থান, মঙ্গলচণ্ডীর পূজা, রাম কর্তৃক দুর্গার [[অকালবোধন]], পঞ্চযজ্ঞ, হোম, সমাজধর্ম, শিল্প প্রভৃতি।"<ref name = sanskritsahityeritihas/>
 
প্রথম স্কন্দে ২০টি অধ্যায় রয়েছে। প্রথম তিনটি অধ্যায়ে ঋষি শৌনক সূতকে ব্যাসকৃত অষ্টাদশ পুরাণ অধ্যয়নের জন্য অভিনন্দিত করেছেন এবং তাঁর অনুরোধে সূত দেবীভাগবত পুরাণ পাঠ শুরু করছেন। ৪র্থ থেকে ১৯শ অধ্যায়ে শুকদেবের কাহিনি বর্ণিত হয়েছে। শেষ অধ্যায়ে [[শান্তনু]] ও [[সত্যবতী|সত্যবতীর]] বিবাহ থেকে [[ধৃতরাষ্ট্র]], [[পাণ্ডু]] ও [[বিদুর|বিদুরের]] জন্ম পর্যন্ত মহাভারতের কাহিনি বিবৃত হয়েছে।<ref name=a>Shastri, P. (1995). ''Introduction to the Puranas'', New Delhi: Rashtriya Sanskrit Sansthan, pp.132-38</ref> দ্বিতীয়, তৃতীয়, চতুর্থ, পঞ্চম, ষষ্ঠ ও সপ্তম স্কন্দ যথাক্রমে ১২, ৩০, ২৫, ৩৫, ৩১ ও ৪০টি অধ্যায়ে বিন্যস্ত। সপ্তম স্কন্দের শেষ নয়টি অধ্যায় (৩১-৪০) ''দেবীগীতা'' নামে পরিচিত। এটি [[পার্বতী]] ও তাঁর পিতা [[হিমবান|হিমবানের]] সংলাপ। এই অংশের আলোচ্য বিষয় দেবীর বিশ্বরূপ, [[উপনিষদ|উপনিষদের]] বিভিন্ন অংশ, অষ্টাঙ্গযোগ, জ্ঞানযোগ, কর্মযোগ ও ভক্তিযোগের ব্যাখ্যা, দেবীর বিভিন্ন মন্দিরের অবস্থান এবং দেবীপূজার রীতিনীতি। অষ্টম, নবম, দশম, একাদশ ও দ্বাদশ স্কন্দ যথাক্রমে ২৪, ৫০, ১৩, ২৪ ও ১৪টি অধ্যায়ে বিন্যস্ত।
 
== পাদটীকা ==