মশিউর রহমান: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
Hasan.zamil (আলোচনা | অবদান)
WikitanvirBot I (আলোচনা | অবদান)
বট বানান ঠিক করছে: গ্রহন > গ্রহণ
২ নং লাইন:
'''মশিউর রহমান''' ([[জুলাই ৯]], [[১৯২৪]] - [[মার্চ ১২]], [[১৯৭৯]]) যিনি '''যাদু মিয়া''' নামে পরিচিত, [[বাংলাদেশ|বাংলাদেশের]] সাবেক মন্ত্রী ছিলেন। তিনি [[জিয়াউর রহমান|জিয়াউর রহমানের]] সরকারের সময় প্রধানমন্ত্রীর মর্যাদায় সিনিয়র মন্ত্রী ছিলেন।<ref name="bdleadnews">{{cite web|url=http://bdleadnews.com/news.php?news=2009070720001|title=বাংলাদেশের স্বাধীনতা ও গণতান্ত্রিক আন্দোলনের মহান নেতৃত্বের প্রতিচ্ছবি যাদু মিয়া|first=মোহাম্মদ গোলাম মোস্তফা ভূইয়া|publisher=bdleadnews.com|language=বাংলা|accessdate=২০০৯-১০-২৯}}</ref><ref name="dailysangram">{{cite news|url=http://www.dailysangram.net/print.php?news_id=17798|title=সেতাবগঞ্জ ডাক বাংলো টোকাই-ছিন্নমুলদের দখলে |publisher=dailysangram.net|language=বাংলা|accessdate=২০০৯-১০-২৬}}</ref><ref name="rulers">{{cite web|url=http://rulers.org/rulb1.html#bangladesh|title=Bangladesh|publisher=rulers.org|language=ইংরেজি|accessdate=২০০৯-১০-২৬}}</ref> [[১৯২৪]] খ্রীস্টাব্দের [[৯ জুলাই]] তৎকালীন [[রংপুর জেলা]] (বর্তমানে [[নীলফামারী জেলা|নীলফামারী জেলার]]) [[ডিমলা]] উপজেলার খগাখড়িবাড়ী গ্রামে সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর পিতা ওসমান গণি ও মা আলহাজ্ব আবিউন নেছা। তিনি [[আব্দুল হামিদ খান ভাসানী|মওলানা ভাসনীর]] শিষ্য ছিলেন এবং ১৯৭৬-এ তাঁর মৃত্যুর পর বাংলাদেশ ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টির সভাপতি হন। ছাত্র জীবনে তিনি অবিভক্ত ভারতে ব্রিটিশ বিরোধী আন্দোলনে যোগ দিয়ে রাজনীতি শুরু করেন। তবে [[তেভাগা আন্দোলন|তেভাগা আন্দোলনের]] সময় তাঁর ভূমিকা নিয়ে বিতর্ক রয়েছে। পাকিস্তান হওয়ার পর [[আওয়ামী মুসলিম লীগ ]] গঠিত হয়, তিনি এর একজন প্রতিষ্ঠাতা সদস্য। অতঃপর [[ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি]] গঠিত হয় এবং ১৯৭৯ খ্রীস্টাব্দ পর্যন্ত তিনি এ রাজনৈতিক দলের একজন জাতীয় নেতা হিসাবে বিভিন্ন পর্যায়ে নেতৃত্ব দিয়ে ছিলেন।
==জন্ম==
১৯২৪ সালের ৯ জুলাই তৎকালীন রংপুর জেলা আজকের নীলফামারী জেলার ডিমলা উপজেলার খগাখড়িবাড়ী গ্রামে সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে জন্ম গ্রহনগ্রহণ করেন। তাঁর পিতা ওসমান গণি ও মা আলহাজ্ব আবিউন নেছা, তৎকালীন সমাজে অত্যন্ত সম্মানীয় ব্যক্তিত্ব ছিলেন।
 
==রাজনৈতিক জীবন==
ছাত্র জীবন থেকেই তিনি সক্রিয় রাজনীতিতে অংশগ্রহনঅংশগ্রহণ করেন। দ্বিতীয় মহাযুদ্ধের সেই সময়ই তিনি বার্মা গমন ও যুদ্ধাহতদের সেবায় আত্মনিয়োগ করেন। ৪০ দশকের দুর্ভিক্ষের সময় রংপুরের চরাঞ্চলে যখন প্লেগের প্রাদুর্ভাব দেখা দেয় তখন জীবনের মায়া ত্যাগ করে তিনি জনগনের সেবায় আত্মনিয়োগ করেন। তাঁর সেবার স্বীকৃতি স্বরূপই তাঁর নামানুসারে একটি চরের নাম করন করা হয় ‘যাদুর চর’। <ref>http://bdleadnews.com/news.php?news=2009070720001</ref>১৯৪৬ সালে হিন্দু-মুসলমান দাঙ্গার সময় সহিংসতার বিরুদ্ধে ও হিন্দু-মুসলিম সমপ্রীতির লক্ষ্যে হত্যাযজ্ঞের বিভৎসতার ছবি তুলে যাদু মিয়া একটি বিশেষ বুলেটিন প্রকাশ করেছিলেন। ৪০-এর শেষের দিকে তিনি ইয়াং ম্যান এসোসিয়েশন অব পাকিস্তানের পূর্ব পাকিস্তানের প্রধান ছিলেন।
 
রংপুর জেলা ক্রীড়া সংস্থার অনারারী সেক্রেটারী ও ১৯৫৪-৫৮ পর্যন্ত রংপুর জেলা কনজুমারস কো-অপারেটিভ সোসাইটি‘র বৃহত্তর রংপুরের নির্বাচিত সেক্রেটারী হিসাবে দায়িত্ব পালন করেন। ৫০-দশকের শেষ দিকে রংপুর জেলা বোর্ডের কনিষ্ঠতম চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। পর পর দুইবার প্রতিদ্বন্দীতায় নির্বাচিত হয়ে দায়িত্ব পালন শেষে পদত্যাগ করেন। ১৯৫৭ সালে পূর্ব পাকিস্তান যুব লীগের উদ্দ্যেগে অনুষ্ঠিত যুব উৎসব কমিটির চেয়ারম্যান ছিলেন তিনি। ঐ একই সালে মজলুম জননেতা মওলানা ভাসানীর আহ্বানে অনুষ্ঠিত ঐতিহাসিক কাগমারী সম্মেলনে অনুষ্ঠানে তিনি অগ্রনী ভূমিকা পালন করেন। ১৯৬২ সালে পাকিস্তান জাতীয় পরিষদের সদস্য নির্বাচিত হন এবং জাতীয় পরিষদে বিরোধী দলের উপ-নেতা হিসাবে দায়িত্ব পালন করেন। একই বছর চীনে পাকিস্তানী সরকারী সফরে প্রতিনিধি দলের নেতা মওলানা ভাসানী অসুস্থ হয়ে পড়লে তিনিই প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব প্রদান করেন। ১৯৬৩ সালে পাকিস্তান সরকার বিরোধী আন্দোলনের জন্য তাঁকে গ্রেফতার করে। ৬৬ সালে মজলুম জননেতা মওলানা ভাসানীর আহ্বানে গণআন্দোলনের যে সূচনা হয়েছিল সেখানেও তিনি গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা পালন করেছিলেন। ৬০-এর দশকের শেষের দিকে মশিউর রহমান যাদু মিয়া ন্যাপ-এর সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন ও আইয়ুব বিরোধী ১১-দফা আন্দোলনে তিনি জাতীয় পরিষদের ভিতরে ও বাইরে সোচ্চার দাবী উপস্থাপন করেন এবং আন্দোলনের পক্ষে মওলানা ভাসানীর আহ্বানে জাতীয় পরিষদের সদস্য পদ থেকে পদত্যাগ করেন। ১৯৬৯ সালে টোবাটেকসিং এ কৃষক সম্মেলনে ইয়াহিয়া খানকে গাদ্দার বলার কারনে তাঁকে গ্রেফতার করা হয় এবং প্রহসন মূলক বিচারের মাধ্যমে সাত বছর সশ্রম কারাদন্ড দেয়া হয়। ১৯৭১-এ তিনি প্রথমে ভারতে যান এবং পরবর্তীতে পাকিস্তান বাহিনীর হাতে আত্মসমর্পণ করেন।মুক্তিযুদ্ধকালীন ভূমিকার জন্য বিতর্কিত হন। <ref> [Historical dictionary of Bangladesh / by Craig Baxter and Syedur