সামষ্টিক অর্থনীতি: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
WikitanvirBot I (আলোচনা | অবদান)
বট বানান ঠিক করছে: পরিমান > পরিমাণ
WikitanvirBot I (আলোচনা | অবদান)
বট বানান ঠিক করছে: সাধারন > সাধারণ
১ নং লাইন:
সামস্টিক অর্থনীতি হচ্ছে অর্থনীতির একটি শাখা যা জাতীয় বা আঞ্চলিক অর্থনীতির সামগ্রিক কর্মদক্ষতা, কাঠামো ও আচরণ নিয়ে আলোচনা করে। সামষ্টিক অর্থনীতি অর্থনীতির দুইটি সাধারনসাধারণ মুল ক্ষেত্রের একটি। সামষ্টিক অর্থনীতিবিদগন পুরো অর্থনীতি কর্মকান্ড বোঝার জন্য জিডিপি, বেকারত্বের হার ও মূল্য সুচকের মত সামগ্রিক নির্দেশক নিয়ে আলোচনা করে। সামষ্টিক অর্থনীতিবিদগন মডেল উন্নয়ন করে থাকে যা কিছু উপাদানের মধ্যে সম্পর্ক ব্যাখ্যা করে, যেমন জাতীয় আয়, উৎপাদন, ভোগ, বেকারত্ব, মুদ্রাষ্ফীতি, সঞ্চয়, বিনিয়োগ, আন্তর্জাতিক বানিজ্য এবং আন্তর্জাতিক অর্থব্যবস্থা। অন্য দিকে, ব্যষ্টিক অর্থনীতি একক উপাদানের কর্মকান্ডের উপর প্রাথমিক আলোকপাত করে যেমন, ফার্ম ও ভোক্তা, এবং তাদের আচরণ নির্দিষ্ট বাজারে দাম ও পরিমাণ কিভাবে নির্ধারন করে তা নিয়ে আলোচনা করে।
 
সামষ্টিক অর্থনীতি একটি বিশাল শিক্ষাক্ষেত্র, এখানে গবেষনার দুইটি দিক রয়েছে:জাতীয় আয়ে (বানিজ্য চক্র)স্বল্পকালীন স্থানান্তরের কারণ ও প্রভাব এবং দীর্ঘকালীন অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি (জাতীয় আয় বৃদ্ধি) নির্ধারনের চেষ্টা করা।
২১ নং লাইন:
অর্থনীতির একটি চ্যালেঞ্জ ছিল যে সামষ্টিক অর্থনীতি ও ব্যাষ্টিক অর্থনীতি মডেলের মধ্যে সমন্বয় সাধন। ১৯৫০ সাল হতে শুরু করে সামষ্টিক অর্থনীতিতে সামষ্টিক আচরনের ব্যষ্টিক ভিত্তিক মডেল সমুহেরে উন্নয়ন সাধিত হতে থাকে, যেমন ভোগ সমীকরন। ডাচ অর্থনীতিবিদ জান টিম্বার্গেন সর্বপ্রথম জাতীয় সামষ্টিক অর্থনৈতিক মডেল উন্নয়ন করেন, যা তিনি নেদারল্যান্ডের জন্য তৈরী করেন এবং পরবর্তীতে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্যে প্রয়োগ করেন। প্রথম বিশ্ব সামষ্টিক অর্থনৈতিক মডেল হার্টন ইকোনোমেট্রিক ফোরকাষ্টিং এ্যাসোসিয়েট (Wharton Econometric Forecasting Associates)-এর লিন্ক প্রকল্পে (LINK project) লরেন্স ক্লেইন আরম্ভ করেন এবং তার ফলে তিনি ১৯৮০ সালে অর্থনীতিতে নোবেল পুরস্কার অর্জন করেন।
 
তত্ত্ববিদ যেমন জে আর রবার্ট লুকাস পরামর্শ (১৯৭০ সালে) দেন যে, সামষ্টিক অর্থনীতির অন্তত: কিছু প্রচলিত কেন্সীয়ান মতবাদ ( জন মায়ার্ড কেইন্স পরবর্তী) বিতর্কিত যেমন সেগুলো ব্যাক্তিগত আচরণ সম্পর্কে অনুমিত শর্ত থেকে পাওয়া নয়, কিন্তু সামষ্টিক অর্থনীতির চলক সমুহের মধ্যে পর্যবেক্ষনমুলক বিগত সহসম্পর্ক ভিত্তির বিপরীত। কখনও কখনও নব্য কেন্সীয়ান সামষ্টিক অর্থনীতিতে ব্যষ্টিক অর্থনীতির মডেল গুলোকে সামষ্টিক অর্থনীতির তত্ত্বের কাছাকাছি নিয়ে যাওয়ার জন্য সাধারনসাধারণ ভাবে উপস্থাপন করা হয় এবং কিছু কেইন্সীয়ান বাদী একটি ধারনার প্রতিদন্দ্বিতা করে যে, যদি মডেল সমুহ বিশ্লেষন গুরুত্বপুর্ণ হলে ব্যষ্টিক অর্থনীতি কাঠামো আবশ্যিক। একটি সাদৃশ্য পাওয়া যায় যে, পরিমাপ গত পদার্থ বিদ্যার বিষয় সমুহ বাস্তব তত্ত্বের সহিত পুরোপুরি সামঞ্জস্য পুর্ন নয় এর মানে এই নয় যে, বাস্তব মতবাদ ভুল।
 
চিন্তাধারার বিভিন্ন স্কুল সমুহ সবসময় সরাসরি প্রতিযোগিতা করেনা, কখনও কখনও তারা ভিন্ন ভিন্ন উপসংহারে পৌছে। সামষ্টিক অর্থনীতি গবেষনার একটি বৃদ্ধিপ্রাপ্ত ক্ষেত্র। অর্থনৈতিক গবেষনার লক্ষ্য একেবারে সঠিক ফলাফল বের করা নয়, বরঞ্চ কিছুটা কার্যকরী ( এম. ফ্রেডম্যান, ১৯৫৩)। ফ্রেডম্যানের মতে, একটি অর্থনৈতিক মডেল তথ্যের সঠিক ব্যবহার বা মডেল প্রতিষ্ঠার উপযুক্ত করার জন্য সঠিক ভাবে পুন: পুন: পর্যবেক্ষন করতে হবে।
 
==বিশ্লেষনের প্রকৃতি==
অর্থনীতির দুইটি ভিন্ন প্রকৃতির মধ্যে সাধারনসাধারণ পার্থক্য হচ্ছে:
কেইন্সীয়ান অর্থনীতিতে চাহিদার উপর আলোকপাত করা হয় এবং যোগান অর্থনীতিতে যোগানের উপর আলোকপাত করা হয়। অন্যের পুরোপুরি ব্যতিক্রম গৃহীত হতে দেখা যায়না, কিন্তু বেশীর ভাগ স্কুল অন্যের তাত্ত্বিক কাঠামোর উপর প্রভাব রাখার চেষ্টা চালায়।