ম্যারাথনের যুদ্ধ: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
সামীরুদ্দৌলা (আলোচনা | অবদান)
সম্পাদনা সারাংশ নেই
WikitanvirBot I (আলোচনা | অবদান)
বট বানান ঠিক করছে: গ্রীস > গ্রিস
১৬ নং লাইন:
}}
[[Image:Map Greco-Persian Wars-en.svg|thumb|350px|right|মানচিত্রে গ্রিক-পারস্য যুদ্ধসমূহ]]
'''ম্যারাথনের যুদ্ধ''' ([[গ্রিক বর্ণমালা|প্রাচীন গ্রিক]]: Μάχη τοῡ Μαραθῶνος ''মাখ্যা তু মারাথনোস্‌'') ৪৯০ খ্রিস্টপূর্বাব্দে প্রাচীন গ্রীসেরগ্রিসের নগর-রাষ্ট্র [[অ্যাথেন্স|অ্যাথেন্সের]] মূল শহর থেকে ৪০ কিলোমিটার উত্তর-পূর্বে [[ম্যারাথন (শহর)|ম্যারাথন]] নামের এক ময়দানে গ্রিক ও [[পারস্য|পারসিকদের]] মধ্যে সংঘটিত যুদ্ধ। অ্যাথেনীয় এবং তাদের মিত্র প্লাতায়ীয়রা এবং পারস্যের রাজা [[১ম দরিয়ুশ|১ম দরিয়ুশের]] সৈন্যদের মধ্যে এই যুদ্ধ ঘটে এবং যুদ্ধে গ্রিকদের জয় হয়। এই গুরুত্বপূর্ণ যুদ্ধে গ্রিসের উপর পারস্যের আধিপত্য প্রতিষ্ঠার প্রথম প্রচেষ্টা নস্যাৎ হয়।
 
পারসিকেরা কেন গ্রীসে অভিযান চালিয়েছিল এবং কোন পরিস্থিতিতে ম্যারাথনের যুদ্ধ সংঘটিত হয়েছিল, সে সম্পর্কিত আধুনিক জ্ঞান পুরোপুরি গ্রিক জনশ্রুতির উপর নির্ভরশীল, যেগুলি যুদ্ধের ৫০-৬০ বছর পরে গ্রিক ইতিহাসবিদ হেরোদোতুস লিপিবদ্ধ করে গিয়েছিলেন। হেরোদোতুসের ভাষ্য অনুযায়ী, এশিয়া মাইনর অঞ্চলে ৪৯৯-৪৮৪ খ্রিস্টপূর্বাব্দে পারস্য সাম্রাজ্যের অধীন আয়োনীয় গ্রিক শহরগুলি বিদ্রোহ করেছিল, এবং সেই বিদ্রোহে সহায়তা করার প্রতিশোধ হিসেবে পারস্যের সম্রাট দরিয়ুশ গ্রিক শহর অ্যাথেন্স ও এরেত্রিয়ার বিরুদ্ধে অভিযানে নামেন। হেরোদোতুসের মতে পারস্যের লক্ষ্য ছিল সমগ্র গ্রীসগ্রিস দখল করার। আক্রমণের আগে দরিয়ুশ সমস্ত গ্রিক শহরগুলিকে আত্মসমর্পণ করতে বলেন। অ্যাথেন্সের নির্বাসিত স্বৈরশাসক হিপ্পিয়াস এ সময় দরিয়ুশের অভিযান বাহিনীতে ছিলেন, এবং তিনি হয়ত দরিয়ুশকে প্রভাবিত করে থাকবেন।
 
৪৯২ খ্রিস্টপূর্বাব্দে দরিয়ুশের ভাতিজা ও জামাই মার্দোনিউসের অধীনে একটি নৌবাহিনী উত্তর গ্রীসেরগ্রিসের থ্রাকে ও ম্যাসেডোনিয়া অঞ্চলে ঘুরে আসে। তারা ম্যাসেডোনিয়াকে পারস্যের পদানত করতে সক্ষম হয়। কিন্তু আথোস পর্বতের কাছে ঝড়ে পড়ে মার্দোনিউসের নৌবহর ধ্বংস হয়ে যায়। ৪৯০ খ্রিস্টপূর্বাব্দে পারসিক সমরনেতা দাতিস ও আর্তাফের্নেস এজীয় সাগর পাড়ি দেন এবং যাবার পথে সাইক্লাডিক দ্বীপপুঞ্জ দখল করেন। তারা এউবোইয়া দ্বীপে অবতরণ করেন এবং শক্তি দিয়ে ও বিশ্বাসঘাতকদের সহায়তায় সেখানকার কারিস্তুস ও এরেত্রিয়া শহরগুলিকে পদানত করেন। এ সময় আথেনীয়রা সাহায্য প্রার্থনা দিয়ে দৌড়বিদ ফেইদিপ্পিদেসকে স্পার্তা শহরে পাঠায়।
 
এউবোইয়া থেকে পারসিকরা সহজেই অপ্রশস্ত সমুদ্রপথ পাড়ি দিয়ে ম্যারাথনের সমভূমিতে পৌঁছে। ম্যারাথনে যাবার অনেকগুলি কারণ ছিল। ম্যারাথন ছিল এউবোইয়া থেকে সমুদ্র পাড়ি দেবার সবচেয়ে সহজ গন্তব্যস্থল। এছাড়া হিপ্পিয়াস হয়ত আত্তিকার পূর্ব প্রান্তের অঞ্চলগুলির কাছ থেকে রাজনৈতিক সহায়তার আশা করেছিলেন। পারসিকেরা ম্যারাথনের সমভূমিগুলিকে তাদের ঘোড়সওয়ার সৈন্যদের জন্য আদর্শ বলে মনে করেছিল। পারসিকেরা ম্যারাথনে পৌঁছবার পরে কিছুদিন বিরতি দিয়ে ম্যারাথনের যুদ্ধ শুরু হয়। এর আগে অ্যাথেন্সের দশ সমরনেতার মধ্যে যুদ্ধে অংশগ্রহণ করা নিয়ে এক বিতর্ক হয়। শেষ পর্যন্ত মিলিতিয়াদেসের যুক্তি যুদ্ধে যাবার পক্ষে তাদেরকে মত পরিবর্তন করে। মিলিতিয়াদেসের যুক্তি ছিল যুদ্ধ না করলে আথেন্সের ভেতরে বিভাজন ও বিশ্বাসঘাতকতা বৃদ্ধি পাবে, অন্যদিকে যুদ্ধে জয়ী হলে গ্রীসেরগ্রিসের উপর আথেন্সের আধিপত্য নিশ্চিত হবে।
 
প্রকৃত যুদ্ধের ঘটনাবলী সম্পর্কে নিশ্চিত জানা যায় না। পারসিকদের ছিল অশ্বারোহী সেনাদল, এবং গ্রিকদের এরকম কোন সেনাদল দেখতে না পেয়ে তারা বিস্মিত হয়েছিল। যুদ্ধে প্রায় ১০ হাজার গ্রিক অংশ নেয়। পারসিক সৈন্যের সংখ্যার ব্যাপারে মতদ্বৈত আছে। সমসাময়িক কবি সিমোনিদেসের দেয়া সংখ্যা ৯০ হাজার বিশ্বাসযোগ্য নয়। একটি আধুনিক হিসাব অনুযায়ী ২৫ হাজার পারসিক সৈন্য যুদ্ধ করেছিল। যা-ই হোক, পারসিকেরা ছিল গ্রিকদের চেয়ে সংখ্যায় অনেক বেশি। কিন্তু তীব্র এই যুদ্ধশেষে পারসিকেরা বড় পরাজয় লাভ করে।
২৮ নং লাইন:
ম্যারাথনের যুদ্ধের পর পারসিকেরা জাহাজে করে সৌনিওন অন্তরীপ ঘুরে আথেন্স শহর সরাসরি আক্রমণ করতে যায়। কিন্তু আথেনীয় সেনাবাহিনী সময়মত শহরে ফিরে আসে এবং পারসিকদের এই দ্বিতীয় আক্রমণও প্রতিহত করে। পারস্যের জাহাজগুলি শেষ পর্যন্ত অভিযানে ব্যর্থ হয়ে ফেরত চলে যায়।
 
পারসিকেরা আবার ৪৮০-৪৭৯ খ্রিস্টপূর্বাব্দে গ্রীসগ্রিস দখলের চেষ্টা চালিয়েছিল। সেই অভিযানে থের্মোপিলাই, সালামিস এবং প্লাতাইয়ার যুদ্ধ সংঘটিত হয়েছিল।
 
[[Category:গ্রীস-পারস্য যুদ্ধ]]