মানবতাবাদ: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
WikitanvirBot I (আলোচনা | অবদান)
বট বানান ঠিক করছে: ফরাসী > ফরাসি
WikitanvirBot I (আলোচনা | অবদান)
বট বানান ঠিক করছে: গ্রীক > গ্রিক
২৯ নং লাইন:
একই সময়ে জার্মানীতে মানবকেন্দ্রীক দর্শনের অর্থে “মানবতাবাদ” শব্দটি তথাকথিত বাম হেগেলবাদীদের দ্বারা ব্যবহৃত হচ্ছিল। আর্নল্ড রুজ এবং কার্ল মার্ক্স স্বৈরাচারী জার্মান সরকারে গীর্জার প্রভাবের তীব্র সমালোচক ছিলেন। শব্দটির বিভিন্ন অর্থ নিয়ে অনেক আগে থেকেই বিভ্রান্তি বিরাজমান হয়ে আসছে<ref>An account of the evolution of the meaning of the word ''humanism'' from the point of view of a modern secular humanist can be found in [[Nicolas Walter]]'s ''Humanism{{Ndash}} What's in the Word'' (London: [[Rationalist Press Association]], 1997 ISBN 0-301-97001-7). From the same perspective, but somewhat less polemical, can be found in Richard Norman's ''On Humanism (Thinking in Action)'' (London: Routledge: 2004). For a historical and [[philological]]ly oriented view see Vito Giustiniani, "Homo, Humanus, and the Meanings of Humanism" (1985), cited above.</ref>: দার্শনিক মানবতাবাদীরা অনেকটা ভুল করেই মনে করতেন যে অতীতের বিখ্যাত মানবতাবাদী এবং যুক্তিবাদী দার্শনিকরা তাঁদের মত ধর্মবিরোধী মনোভাব পোষণ করতেন।
 
===প্রাচীণ গ্রীকগ্রিক মানবতাবাদ===
 
খ্রীষ্টপূর্ব ষষ্ঠ শতকের প্রাক-সক্রেটীয় দার্শনিক [[থেলিস]] এবং [[ক্সেনোফানিজ]] প্রথম পুরাণ ও প্রথার সাহায্য ছাড়া স্রেফ যুক্তি দিয়ে বস্তু জগতকে ব্যাখ্যা করার প্রয়াস নেন, অতএব, তাঁদেরকেই প্রথম গ্রীকগ্রিক মানবতাবাদী বলা যায়। থেলিস [[নরাত্বারোপ|নরাত্বারুপ]] ঈশ্বরের ধারণাকে প্রশ্নবিদ্ধ করেছিলেন এবং থেলিস তাঁর সময়কার ঈশ্বরদের প্রত্যাখ্যান করেছিলেন। এই আয়োনীয় গ্রীকরাই প্রথম দাবি করেছিলেন যে প্রকৃতিকে অলৌকিকতা ছাড়াই ব্যাখ্যা করা যায়। [[আনাক্সাগোরাস]] দর্শনশাস্ত্র ও যুক্তিবাদী অনুসন্ধানকে আয়োনিয়া থেকে [[এথেন্স|এথেন্সে]] আমদানি করেছিলেন। এথেন্সের নেতা [[পেরিক্লিস]] [[আনাক্সাগোরাস|আনাক্সাগোরাসের]] গুণমুগ্ধ ছিলেন। [[প্রোতাগোরাস]] ও [[দেমোক্রিতোস|দেমোক্রিতোসও]] একই ঘরানার [[দার্শনিক]]। এসব দার্শনিকদের রচনাসমগ্র প্রায় পুরোটাই হারিয়ে গিয়েছে, [[প্লাতো]] এবং [[আরিস্ততল|আরিস্ততলের] কর্ম থেকেই মূলত এঁদের সম্পর্কে জানা গিয়েছে। খ্রীষ্টপূর্ব তৃতীয় শতকে [[এপিকুরোস]] পাপের সমস্যা প্রস্তাব করে বিখ্যাত হয়েছিলেন। তিনি ছিলেন প্রথম গ্রীকগ্রিক দার্শনিক যিনি নারী শিক্ষার্থী গ্রহণ করেছিলেন। তিনি পরকালে অবিশ্বাসী ছিলেন।
 
===প্রাচীন এশীয় মানবতাবাদ===
৫৬ নং লাইন:
একজন মানবতাবাদীর মৌলিক প্রশিক্ষণ ছিল স্পষ্ট করে কথা বলায় এবং সুন্দর করে লেখায়। পেত্রারকের অন্যতম শিষ্য ছিলেন কলুচ্চিও স্যালুতাতি যাঁকে ফ্লোরেন্সের মুখ্যমন্ত্রী নিয়োগ দেওয়া হয়েছিল। তিনি তাঁর সাহিত্যিক ক্ষমতা ব্যবহার করে তাঁর স্বার্থ রক্ষা করতেন। মিলানের ভিসকন্ত দাবি করেছিলেন যে সালুতাতির কলম তিরিশ স্কোয়াড্রন অশ্বারোহী বাহিনীর চেয়ে বেশি ক্ষতি করেছিল।<ref>{{cite book|last=Johnson|first=Paul|title=The Renaissance|year=2000|publisher=The Modern Library|location=New York|page=37}}</ref> সাধারণত রেনেসাঁসের মানবতাবাদকে একটি দার্শনিক আন্দোলন মনে করা হয়, এবং এও মনে করা হয় যে এই আন্দোলনটি খ্রীষ্ট-বিরোধী অথবা যাজকবিরোধী ছিল। পিটার পার্টনারের মত আধুনিক ইতিহাসবেত্তারা এই মনোভাবকে বাতিল করে দিয়ে বলেন যে রেঁনেসা মানবতাবাদ কোন দার্শনিক আন্দোলন না, বরং সাহিত্যিক জ্ঞান ও ভাষাতাত্ত্বিক দক্ষতার কেবল একটি শাখা ছিল।<ref>Peter Partner, Renaissance Rome, Portrait of a Society 1500-1559 (University of California Press 1979) pp. 14-15.</ref>
 
রেনেসাঁসের সময় মনে করা হত যে প্রাচীন জ্ঞানের অধ্যায়ন(যেমন গীর্জার ফাদারদের লেখা, গ্রীকগ্রিক ভাষার খ্রীষ্টিয় গসপেল, ইহুদিদের কাব্বালা) একটি সাধারণ বৈশ্বিক দৃষ্টিভঙ্গী গড়ে তুলতে সাহায্য করবে।<ref>To later generations, the Dutch humanist, [[Desiderius Erasmus]], epitomized this reconciling tendency). According to the ''[[Stanford Encyclopedia of Philosophy]]'', "[[European Enlightenment|Enlightenment]] thinkers remembered Erasmus (not quite accurately) as a precursor of modern intellectual freedom and a foe of both Protestant and Catholic dogmatism."[http://plato.stanford.edu/entries/erasmus/. Erasmus himself was not much interested in the Kabbala, but several other humanists were, notably Pico della Mirandola]. See [[Christian Kabbala]].)</ref> একারণে রেঁনেসার ধর্মীয় কর্তৃপক্ষ মানবতাবাদীদের, অতীত পর্যালোচনা করলে, বেশ ভালই মতস্বাধীনতা দিয়েছিল।<ref>{{cite book|last1=Bergin|first1=Thomas|last2=Speake|first2=Jennifer|title=The Encyclopedia of the Renaissance|year=1987|publisher=Facts On File Publications|location=Oxford|pages=216–217}}</ref><ref>"Only thirteen of Pico della Mirandola's nine hundred theses were thought theologically objectionable by the papal commission that examined them.... [This] suggests that, in spite of his publicly expressed contempt in his ''Apologia'' for their intellectual inadequacies, the Curial authorities hardly saw these theses as the work of a dangerous theological modernist like Luther or Calvin. Unorthodox though they were, most of the issues raised in them had been the subject of theological dispute for centuries and the commission . . . condemned him not for innovations but for 'reviving several of the errors of gentile philosophers which are already disproved and obsolete.'” Davies (1997), p 103.</ref>
 
====রেনেসাঁস মানবতাবাদের পরিণতি====
 
প্রাচীন পান্ডুলিপিগুলোর পুনঃআবিস্কার অতীতের দার্শনিক মতবাদ সম্পর্কে মানুষের জ্ঞানকে দৃঢ় করেছিল। এপিকুরোসবাদ এবং নব্য-প্লাতোবাদের পৌত্তলিক জ্ঞান এই মানবতাবাদীদের কাছে ঐশী মনে হয়েছিল এবং একারণে তাঁদের কাছে খ্রীষ্টীয় মূল্যবোধের সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ মনে হয়েছিল।<ref>{{cite encyclopedia|title=Humanism|encyclopedia=Encyclopedic Dictionary of Religion|volume=F-N|pages=1733|publisher=Corpus Publications|year=1979|isbn=0-9602572-1-7}} "Renaissance humanists rejoiced in the mutual compatibility of much ancient philosophy and Christian truths", M. A. Screech, ''Laughter at the Foot of the Cross'' (1997), p. 13.</ref> প্রাচীন গ্রীকগ্রিক ও রোমান সাহিত্য ইউরোপে বিজ্ঞানের উন্নয়ন সাধনে ভূমিকা রেখেছিল। কিন্তু রেনেসাঁসের মানবতাবাদীরা, যাঁরা প্রাচীন জ্ঞানে মুগ্ধ ছিলেন, বৈজ্ঞানিক আবিস্কারে মোটেই আগ্রহী ছিলেন না। ষোড়শ শতাব্দীর মধ্য ও শেষ ভাগে বিশ্ববিদ্যালয়গুলো, যদিও তারা স্কল্যাসটিসিজমের বিশ্বাস করত, আরিস্ততলের লেখাগুলোকে রেনেসাঁসের শব্দতত্ত্ব অনুযায়ী সম্পাদনা করে অধ্যায়ন করা শুরু করেছিল। এখানেই স্কল্যাসটিসিজমের সাথে গ্যালিলিওর ভবিষ্যত দ্বন্দ্বের মঞ্চ স্থাপিত হয়েছিল।<!-- scholasticism এর বাংলা অনুবাদ করে দিন -->
 
[[লিওনার্দো দা ভিঞ্চি]] যেমন মানবতাবাদী না হয়েও মানবদেহ, প্রকৃতি এবং আবহাওয়া নিয়ে গবেষণা কে উৎসাহিত করে রেনেসাঁসের শিল্প-সংস্কৃতিকে সমৃদ্ধ করতে চাইতেন, স্প্যানিশ মানবতাবাদী জোয়ান লুই ভিভও পর্যবেক্ষণ, শিল্প-কৌশল ইত্যাদিকে উৎসাহিত করে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে আরিস্ততোলিয় দর্শনের শিক্ষণ-পদ্ধতিকে উন্নত করার প্রয়াস নিয়েছিলেন। এভাবে তাঁরা মধ্যযুগীয় স্কল্যাসটিসিজমকে উৎখাত করতে চেয়েছিলেন।<ref>{{cite book|last=Gottlieb|first=Anthony|title=The Dream of Reason: a history of western philosophy from the Greeks to the Renaissance|publisher=W. W. Norton & Company|location=New York|year=2000|pages=410–411}}</ref> এভাবেই প্রকৃতির দর্শনে পর্যবেক্ষণ ও পরীক্ষণ জায়গা করে নিয়েছিল এবং রেঁনেসা পরবর্তীয় বৈজ্ঞানিক অনুসন্ধানের যুগের অবতারণা ঘটাতে সাহায্য করেছিল।<ref>{{cite encyclopedia|last=Alleby|first=Brad|title=Humanism|encyclopedia=Encyclopedia of Science & Religion|volume=1|edition=2nd|publisher=Macmillan Reference USA|year=2003|pages=426–428|isbn=0-02-865705-5}}</ref>
৬৯ নং লাইন:
 
<blockquote>
অথচ এই রেনেসাঁস মানবতাবাদ থেকেই আধুনিক ধর্মনিরপেক্ষ মানবতাবাদের জন্ম হয়েছিল এবং যুক্তি ও ধর্মের মাঝে একতি গুরত্বপূর্ণ ফাটল সৃষ্টি হয়েছিল। গির্জা দু’টো গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গনে স্বেচ্ছাচারিতা করায় এটি ঘটেছিল। বিজ্ঞানের অঙ্গনে গ্যালিলিও কোপারনিকাসের প্রতি সমর্থন জ্ঞাপন করে আঁরিস্ততলের তত্ত্বের প্রতি গীর্জার সমর্থনকে প্রশ্নবিদ্ধ করেছিল। ধর্মতত্ত্বে ডাচ পন্ডিত ইরাসমুস তাঁর গ্রীকগ্রিক পান্ডুলিপির সাহায্যে দেখিয়েছিলেন যে জেরোমের ভুলগাটের প্রতি রোমান ক্যাথলিক গীর্জার সমর্থন অনেকাংশেই ক্রুটিযুক্ত। যুক্তি ও কর্তৃত্বের মাঝে তখন এভাবেই একটি বিরোধ সৃষ্টি হয়েছিল
</blockquote><ref>Os Guinness - The Dust of Death (Intervarsity Press 1973) p. 5</ref>
 
৭৭ নং লাইন:
 
<blockquote>
পেইন নিজেকে ''থিওফিলান্থ্রোপিস্ট'', গ্রীকগ্রিক “ঈশ্বর”, “ভালবাসা” এবং “মানুষ” শব্দগুলো দিয়ে গঠিত একটি শব্দ, হিসেবে অভিহিত করতেন। এর দ্বারা বোঝা যায় যে তিনি স্রষ্টায় বিশ্বাসী হলেও বিরাজমান ধর্মগুলোর অলৌকিকতাকে সম্পূর্ণ প্রত্যাখ্যান করতেন। তিনি যে “সোসাইটি অব থিওফিলান্থ্রোপি” প্রতিষ্ঠা করেছিলেন, তার সম্পর্কে তাঁর জীবনীকার বলেন, “এটি পরবর্তীকালের মানবতাবাদী সংগঠণগুলোর পথপ্রদর্শক ছিল”। পেইনের বই “এইজ অব রীজন” ভলতেয়ারের ব্যঙ্গরীতি এবং পেইনের নিজস্ব লেখনশৈলীকে একীভূত করে লোককথার উপর ভিত্তি করে গঠিত ধর্মগুলোর অলৌকিক দাবিগুলোর তীব্র সমালোচনা করেছিল
</blockquote><ref>Tony Davies,'' Humanism'' (Routledge, 1997) p. 26-27.</ref>