মহাশোল: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

পাহাড়ি খরস্রোতা স্বচ্ছ জলের মাছ
বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
Rabbanituhin (আলোচনা | অবদান)
নতুন পৃষ্ঠা: মহাশোল এক জাতীয় বিলুপ্তপ্রায় মাছ।মহাশোলের দুটি প্রজাতি। এ...
(কোনও পার্থক্য নেই)

০৩:৪৬, ২২ জুলাই ২০১০ তারিখে সংশোধিত সংস্করণ

মহাশোল এক জাতীয় বিলুপ্তপ্রায় মাছ।মহাশোলের দুটি প্রজাতি। একটির বৈজ্ঞানিক নাম Tortor, অন্যটি Torputitora. আমাদের দেশে দুই প্রজাতির মহাশোলই পাওয়া যেত। পাহাড়ি খরস্রোতা স্বচ্ছ পানির নদীতে মহাশোল মাছের আবাস। নদীর পাথর-নুড়ির ফাঁকে ফাঁকে ‘পেরিফাইটন’ নামের এক রকমের শ্যাওলা জন্মে। এগুলোই মহাশোলের প্রধান খাদ্য। মহাশোল সর্বোচ্চ ১৫ মিটার গভীর পানিতে চলাচল করতে পারে। পানির উষ্ণতা ১৫ থেকে ৩০ ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত তাদের জীবনধারণের পক্ষে সহায়ক।মহাশোল দেখতে অনেকটা মৃগেল মাছের মতো। তবে এর আঁশগুলো আরও বড়। পরিণত মাছের আঁশ শক্ত, উজ্জ্বল সোনালি রঙের ও দীপ্তিমান। পাখনা ও লেজ রক্তিম। নাকের সামনে ছোট্ট দুটি গোঁফের মতো আছে। সব মিলিয়ে দেখতে খুব সুন্দর। আমাদের মিঠাপানির মাছের মধ্যে মহাশোল স্বাদেও সেরা।পুকুরে মহাশোলের চাষ বাণিজ্যিকভাবে সফল হয়নি। পুকুরে মাছটির বৃদ্ধি খুবই ধীর। দুই বছরে দেড় থেকে দুই কেজি পর্যন্ত ওজন হয়। এ কারণে মৎস্যচাষিরা বাণিজ্যিকভাবে মহাশোল চাষে উৎসাহিত হননি। তবে কেউ আগ্রহী হলে ময়মনসিংহের মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউট থেকে পোনা সংগ্রহ করতে পারেন। নেত্রকোনার দুর্গাপুরে কংস নদ ও সোমেশ্বরী নদী মহাশোলের আবাস। এই নদ-নদীর উৎসমুখ এখন প্রায় বন্ধ। শুকনো মৌসুমে নদী দুটি প্রায় শুকিয়ে যায়। বসবাস ও বংশবৃদ্ধির জায়গা নষ্ট হয়ে যাওয়ায় মহাশোল ধীরে ধীরে কমতে থাকে। একপর্যায়ে প্রায় বিলুপ্ত হয়ে পড়ে। সোমেশ্বরী ও কংস ছাড়াও বিচ্ছিন্নভাবে দু-একবার সাঙ্গু নদেও মহাশোল পাওয়া গেছে। তবে হাওর, বিল-ঝিল বা অন্য কোনো নদ-নদীতে মহাশোল পাওয়ার রেকর্ড নেই মৎস্য অধিদপ্তরে।