অ্যাডা লাভলেস: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
Integrity2020 (আলোচনা | অবদান)
আমি মূলত নিজের ব্লগে ইংরেজি উইকি থেকে অনুবাদ করেছিলাম সেটিই এখন যতটা সম্ভব দিয়ে দিলাম http://lenin9l.word
Ragib (আলোচনা | অবদান)
cpedit
৪ নং লাইন:
'''অগাস্টা অ্যাডা''' বা '''লাভলেসের কাউন্টেস'''([[ডিসেম্বর ১০]], [[১৮১৫]] - [[নভেম্বর ২৭]], [[১৮৫২]]) কে [[কম্পিউটার প্রোগ্রামিং]] ধারণার একজন প্রবর্তক মনে করা হয়। তিনি [[চার্লস ব্যাবেজ|চার্লস ব্যাবেজের]] [[অ্যানালাইটিক এঞ্জিন|অ্যানালাইটিক]] এঞ্জিনের একটি বর্ণনা লেখেন।
 
১০পুরো ডিসেম্বরনাম ১৮১৫তাঁর অ্যাডা অগাস্টা কিং, আর ডাকা হতো কাউন্টেস অফ লাভলেস বা শুধুই অ্যাডা লাভলেস সালেনামে। তাঁর জন্ম হয় লন্ডনের সম্ভ্রান্ত পরিবারে কবি লর্ড বায়রনের কন্যা এবং একমাত্র সন্তান হিসেবে। ক্ষণজন্মা এই নারী যাপন করে গেছেন একটি ছোট্ট অথচ বিশেষত্বময় এক জীবন।অ্যাডা মাত্র ৩৬ বছর বেঁচে ছিলেন। ১৮৫২ সালের ২৭ নভেম্বর তাঁর মৃত্যু হয়, জরায়ুর ক্যান্সার এবং অতিরিক্ত রক্তক্ষরণে।
পুরো নাম তাঁর অ্যাডা অগাস্টা কিং, আর ডাকা হতো কাউন্টেস অফ লাভলেস বা শুধুই অ্যাডা লাভলেস নামে।
 
আরেক বিশেষ স্মরণীয় ব্যক্তির বন্ধু ছিলেন তিনি, যিনি কম্পিউটারের জনক হিসেবে খ্যাত। স্যার চার্লস উইলিয়াম ব্যাবেজ যখন তার ডিফারেন্স মেশিন বা এনালিটিক্যাল এঞ্জিন নামক কম্পিউটার আবিষ্কারের নেশায় মত্ত, তখন এই তুখোড় প্রতিভাধর নারী ছিলেন তার পাশে। অ্যাডা তার গণিতবিষয়ক বিশ্লষণী ক্ষমতার দ্বারা বুঝতে পেরেছিলেন এই কম্পিউটারগুলোর নাম্বার ক্রাঞ্চিং এর অমিত সম্ভাবনা সম্পর্কে । সে সময় ইংল্যান্ড বিজ্ঞান থেকে কিছুটা দূরেই যেনো অবস্থান করছিল। চার্লস ব্যাবেজ তাই লিখে গেছেন তাঁর Decline of Science in England বইয়ে। আর এমন একটা সময়ে এই অসামান্যা নারী চার্লস ব্যাবেজকে যেসব সম্ভাবনার কথা জানান তা তার কাজকে আরো বেগবান করেছিল। অ্যাডা অগাস্টা’কে এখন বিশ্বের প্রথম কম্পিউটার প্রোগ্রামার ধরা হয়!হয়।
 
বায়রনের সৎ-বোন অগাস্টা লেই এর নামে মেয়ের নাম রাখা হয়, আর বায়রন তাকে অ্যাডা নাম দেন। মাত্র একমাস যখন অ্যাডা’র বয়স তখন থেকে তার মা অ্যানাবেলা তাকে নিয়ে আলাদা হয়ে যান।
 
ছোট থেকেই অ্যাডা কিছুটা অসুস্থ্তায় ভূগছিলেন, প্রচণ্ড মাথাব্যথা হতো এবং দৃষ্টি প্রতিবন্ধকতা হতো। ১৮২৪ সালে তাঁর বাবা মারা যান, যদিও তিনি তার দায় বহন করতেন না। ১৮২৯ থেকে তিনি হাম এবং পক্ষাঘাতগ্রস্ততায় ভূগছিলেন। কিন্তু ক্র্যাচে ভর দিয়ে হলেও শিক্ষা চালিয়ে গিয়েছেন। ১৮৩২ এ যখন তাঁর বয়স ১৭ তখন তার বিশেষ গাণিতিক প্রতিভার স্ফুরণ ঘটে। তাঁর ছেলেবেলা থেকেই মা তাঁকে গণিতে দক্ষ করে তুলতে চাইতেন বাবার প্রভাব(কবিত্ব, মা কী জানতেন কোডিংও এক ধরণের কবিতা? ;)) যাতে কোনোভাবেই মেয়ের মধ্যে প্রতিফলিত না হয় এই ভেবে(ভেবে। ১৮৪১ সালের আগেঅ্যাডা জানতেনই না লর্ড বায়রন তাঁর বাবা!)।বাবা। বাসায় গৃহশিক্ষকেরা বিভিন্ন বিষয়ে শিক্ষা দিতেন তাঁকে। আমরাগণিতজ্ঞ ও যুক্তিবিদ ডি-মরগ্যানেরমরগ্যান যুক্তিরতাঁর গণিতশিক্ষক পড়েছিলেন!। থাকিস্যার চার্লস ডিকেন্স, সেইস্যার ডি-মরগ্যানচার্লস সাহেবওহুইটস্টোন এবং বিজ্ঞানি মাইকেল ফ্যারাডে’র সাথেও তাঁর শিক্ষকজানাশোনা ছিলেন!ছিল। ১৮৩৩ সালের ৫ জুন তাঁর সাথে পরিচয় হয় বিশ্ববিখ্যাত স্যার চার্লস ব্যাবেজের :)সঙ্গে।
 
স্যার চার্লস ডিকেন্স, স্যার চার্লস হুইটস্টোন এবং বিজ্ঞানি মাইকেল ফ্যারাডে’র সাথেও তাঁর জানাশোনা ছিল। ১৮৩৩ সালের ৫ জুন তাঁর সাথে পরিচয় হয় বিশ্ববিখ্যাত স্যার চার্লস ব্যাবেজের সঙ্গে!
 
চার্লস ব্যাবেজের সঙ্গে তাঁর বেশ ঘনিষ্ঠ এবং রোম্যান্টিক সম্পর্কও গড়ে ওঠে। ব্যাবেজ অ্যাডার অসাধারণ ধীশক্তি, সাবলিল লেখনী এবং প্রতিভায় মুগ্ধ ছিলেন। ব্যাবেজ অ্যাডা সম্পর্কে নিজের লেখায় অ্যাডাকে The Enchantress of Numbers অাখ্যা দিয়েছেন।
 
চার্লস ব্যাবেজ, যিনি তাঁর সময়ের লোকদের কাছে অনেকটা পাগল হিসেবেই পরিচিত ছিলেন, তাঁর নতুন ধ্যান ধারণাকে মাত্র গুটিকয়েক যে ক’জন বুঝতে পেরেছিলেন তন্মধ্যে অ্যাডা অগ্রগণ্য। যদিও ইতিহাসবেত্তাদের গলদঘর্ম হতে হয়, অ্যাডা কতোটা প্রভাব বিস্তার করেছিলেন ব্যাবেজের উদ্ভাবনী কাজে তা খুঁজে পেতে। কেননা, ব্যাবেজ কারো প্রতি কৃতজ্ঞতা সচেতনভাবে স্বীকার করেননি। লেডি অ্যানি ব্লান্ট ছিলেন, তাঁর কন্যা যিনি মধ্যপ্রাচ্য ভ্রমণ করেন এবং সেখানে উন্নত প্রজাতির ঘোড়ার সংকর ঘটান। তাঁকে মর্যাদা দিতে আমেরিকার প্রতিরক্ষা বিভাগের প্রণিত প্রোগ্রামিং ভাষার নামও রাখা হয় Ada Conceiving Ada নামে তাঁকে নিয়ে একটি মুভিও আছে। মাইক্রোসফটের প্রোডাক্ট অথেনটিসিটি হলোগ্রামে তাঁর ছবিও আছে।
 
অ্যাডা’র সম্পর্কে কিছু কুৎসা আছে যে, তিনি মদ্যপান করতেন, জুয়া খেলতেন, স্ক্যান্ডাল হতো তাকে নিয়ে.. কিন্তু খুব জোরালো প্রমাণ নেই সেসবের।
 
লেডি অ্যানি ব্লান্ট ছিলেন, তাঁর সুযোগ্যা কন্যা যিনি মধ্যপ্রাচ্য ভ্রমণ করেন এবং সেখানে উন্নত প্রজাতির ঘোড়ার সংকর ঘটান।
 
তাঁকে মর্যাদা দিতে আমেরিকার প্রতিরক্ষা বিভাগের প্রণিত প্রোগ্রামিং ভাষার নামও রাখা হয় Ada
 
Conceiving Ada নামে তাঁকে নিয়ে একটি মুভিও আছে। মাইক্রোসফটের প্রোডাক্ট অথেনটিসিটি হলোগ্রামে তাঁর ছবিও আছে জানা যায় উইকিপিডিয়া থেকে।
 
Woolley, Benjamin (February 2002). The Bride of Science: Romance, Reason, and Byron’s Daughter এ বইটি পড়ে দেখার খুব ইচ্ছে হচ্ছে।
 
আর হ্যাঁ তাঁর কম্পিউটিং এবং প্রোগ্রামিং এ বিশেষ অবদানের কারণে আজকের এই ২৪ মার্চকে Ada Lovelace Day হিসেবে বিশ্বব্যাপী উদযাপন করা হয়ে থাকে।
 
[http://go2.wordpress.com/?id=725X1342&site=lenin9l.wordpress.com&url=http%3A%2F%2Fwww.pledgebank.com%2FAdaLovelaceDay%23comments&sref=http%3A%2F%2Flenin9l.wordpress.com%2F2009%2F03%2F24%2Fada_lovelace%2F এখানে] তাকে নিয়ে ব্লগ করার অনুরোধ করা হয়েছে।
 
{{অসম্পূর্ণ}}