রূপসা উপজেলা: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
AishikBot (আলোচনা | অবদান)
বানান সংশোধন (কিংবদন্তী ⇢ কিংবদন্তি)
৬০ নং লাইন:
অতীতকাল থেকে এ অঞ্চলের মানুষ সুন্দরবন থেকেই কাঠ সংগ্রহ করত। এ এলাকার যত কাঠ প্রয়োজন হতো তা আসত সুন্দরবন থেকে। কাঠ সংগ্রহকারী বাওয়ালী গোষ্ঠী ছাড়াও ছাড়াও মধু ও মোম আহোরন করতে ক্ষুদ্র এক গোষ্ঠি জড়িত ছিল। প্রচুর মাছ ছিল সুন্দরবনের নদী এ খাল গুলোয়। তবে এখান থেকে ব্যবসায়িক ভিত্তিতে মাছ আহোরনের চিন্তা অতীতে ছিল না। তবে সুন্দরবনে যারাই যেত জনপদের শেষ সীমা নয়াবাদ নামের এক জায়গায় তারা স্থান নিত। বন কেটে বসতি গড়ে তোলার নতুন আবাদ ছিল এটা। ভৈরব নদী সেনের বাজার কে উত্তরে ফেলে পূর্বে মোড় নিয়েছে যেখানে, এটা ছিল সে জায়গা। এখানে সুন্দরবনে প্রবেশের জন্য অপেক্ষা করত নৌকার বহর। রাতে কেউ নৌকা খুলতে চাইলে “বনদেবী” বারন করত, বলত, খুলো না। কালে কালে খুলনা নামের উৎপত্তি এখান থেকেই বলে অনেকের ধারণা।
 
তবে খুলনা নামের সূচনা নিয়ে আরও একটি গ্রহনযোগ্য কিংবদন্তীকিংবদন্তি আছে। তা হলো, অতীতে ধনপতি নামে এক সওদাগর বাস করতেন এ অঞ্চলে। তার দুই স্ত্রী ১) লহনা এ ২) খুল্লনা। লহনা সন্তানবর্তী তবে ঈর্ষাপরায়না ছিলেন। ধনপতি বানিজ্যে গেলে খুল্লনা কে কষ্ট দিতেন। অন্যদিকে অপরূপ সুন্দরী খুল্লনা ছিলেন বন্ধ্যা। এ জন্য দৃ:খের সীমা ছিল না তার। অবশ্য ধনপতি প্রচন্ড ভালবাসতেন খুল্লনা কে। তার নামে ভৈরবের পাড়ে খুল্লনেশ্বরী মন্দির গড়ে তোলেন। এখন থেকে প্রায় পৌনো দুশো বছর আগে এ মন্দির নদীগর্ভে (বর্তমান আঠারবেকী) বিলীন হয়ে যায়। তার পর থেকে ঐ গ্রামের নাম হয় খুলনা। পরবর্তীতে কিসমত খুলনা। দেখা যাচ্ছে, খুলনা নামের উৎপত্তি নিয়ে দুটো কিংবদন্তীইকিংবদন্তিই বর্তমান রূপসা উপজেলা অঞ্চলে প্রচলিত রয়েছে।