জেমা ফ্রিজিয়াস: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য
বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
অ হটক্যাটের মাধ্যমে বিষয়শ্রেণী:১৬শ শতাব্দীর দার্শনিক যোগ |
অ বানান সংশোধন (কিভাবে ⇢ কীভাবে) |
||
৭ নং লাইন:
ফ্রিজিয়াস ডোককুম, ফ্রিজল্যান্ড (বর্তমান নেদারল্যান্ডস)-এর এক দরিদ্র পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। খুব অল্পবয়সেই তিনি অভিভাবকহীন হয়ে পড়েন। পরে তিনি গ্রোনিঞ্জেনে চলে আসেন এবং ১৫২৫ সালের শুরুর দিকে বেলজিয়ামের লুভেন (লুভাইন) বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা শুরু করেন। ১৫৩৬ সালে তিনি তার এম.ডি. ডিগ্রি গ্রহণ করার পর লুভেনেই 'মেডিসিন বিভাগে' যোগ দেন এবং আজীবন সেখানেই কর্মরত থাকেন। তিনি মূলত মেডিসিন বা ঔষধীশাস্ত্র বিষয়ের শিক্ষক ছিলেন কিন্তু তার পাশাপাশি তিনি গণিতশাস্ত্র, জ্যোতির্বিজ্ঞান এবং ভূগোলও পড়াতেন। তার মৃত্যুর পর তার সন্তান কর্নেলিয়াস জেমা তার সমস্ত কাজকে বিশ্ববাসীর জন্য প্রকাশিত করেছিলেন।
[[File:Gemma_Frisius_terrestrial_globe_(4).jpg|thumb|left|জেমা ফ্রিজিয়াসের বিখ্যাত ১৫৩৬ সালের ''পার্থিব গ্লোব''। সবুজ চিহ্নিত অঞ্চলটি মাদাগাস্কার।]][[File:Gemma_Frisius_-_Driehoeksmeting.jpg|thumb|জেমা ফ্রিজিয়াসের ১৫৩৩ সালের অঙ্কিত নকশা যেখানে জমি জরিপে
লুভেনে তার প্রভাবশালী শিক্ষকদের মধ্যে একজন ছিলেন ফ্রান্সিসকাস মোনাকাস, যিনি সম্ভবত ১৫২৭ সালের বা তার কাছাকাছি কোনো সময়ে লুভেনের স্বর্ণকার গাস্পার ভ্যান ডার হেইডেনের সহযোগিতায় একটি বিখ্যাত গ্লোব তৈরি করেছিলেন।<ref name="Nationaal Biografisch Woordenboek">There is no English biography of Van der Heyden (or Gaspar a Myrica c1496—c1549) but he has an entry in the Dutch [http://resources.huygens.knaw.nl/retroboeken/nbwv/#source=1&page=314&view=pdfPane&size=634&accessor=accessor_index Nationaal Biografisch Woordenboek].</ref> মোনাকাসের নেতৃত্বে এবং ভ্যান ডার হেইডেনের প্রযুক্তিগত সহায়তায় ফ্রিজিয়াস গ্লোবস এবং গাণিতিক যন্ত্র তৈরির জন্য একটি কর্মশালা স্থাপন করেছিলেন যা টাইকো ব্রাহের মতো সমসাময়িক জ্যোতির্বিদদের দ্বারা তাদের গুণমান এবং যথার্থতার জন্য প্রশংসিত হয়েছিল।তাদের দ্বারা প্রস্তুত ১৫৩৬ সালের ''পার্থিব গ্লোব'' এবং ১৫৩৭ সালের ''স্বর্গীয় গ্লোবের'' বিশেষ খ্যাতি ছিল। প্রথম গ্লোবটি তৈরির সময় ফ্রিজিয়াস ভ্যান ডার হেইডেনের ''সহায়ক লেখক'' ছিলেন এবং প্রযুক্তিগত কাজেও তিনি হেইডেনকে সহায়তা করেন। জেরার্ডাস মার্কেটর যিনি সেই সময় ফ্রিজিয়াসের অধীনস্থ ছাত্র ছিলেন, তিনি খোদাইয়ের কাজে সহায়তা করেছিলেন। দ্বিতীয় গ্লোবটির কাজ শুরু করার সময় মার্কেটর সহ-লেখক হিসাবে পদোন্নতি পেয়েছিলেন।
১৫৩৩ সালে, তিনি প্রথমবার জরিপ বা ''সার্ভে'' করার কাজে তার বিখ্যাত ত্রিভূজায়নের (ট্রায়াঙ্গুলেসন) পদ্ধতির প্রচলন করেন যা আজও ব্যবহার হয় (চিত্রটি দেখুন)।এই পদ্ধতিতে একটি ভূমিরেখা বা ''বেসলাইন'' স্থাপন করে, (উদাঃ, এক্ষেত্রে ব্রাসেলস এবং অ্যান্টওয়ার্প শহরের সংযোগকারী রেখা) অন্যান্য শহরের অবস্থান (যেমন, মিডেলবার্গ, গেন্ট ইত্যাদি) নির্ণয় করা যায়। কোনো নির্দিষ্ট শহরের অবস্থান নির্ণয় করার জন্য একটি কম্পাস-এর সাহায্যে ভূমিরেখার দুই প্রান্ত থেকেই এক এক করে দিকনির্দেশ গ্রহণ করা হয় ও দুই প্রান্ত থেকেই দুটি দিকনির্দেশকারী রেখা অঙ্কন করা হয়। যেখানে দুটি রেখা পরস্পরকে ছেদ করছে সেখানেই অনুসন্ধানকারী শহরের অবস্থান চিহ্নিত করা হয়। এটি ত্রিভূজায়নের ধারণার একটি তাত্বিক উপস্থাপনা মাত্র-অবস্থানভিত্তিক বিধিনিষেধের কারণে ব্রাসেলস বা অ্যান্টওয়ার্প থেকে মিডেলবার্গকে দেখা অসম্ভব। তবুও, এই ধারণাটি শীঘ্রই পুরো ইউরোপ জুড়ে প্রসিদ্ধ হয়ে ওঠে।
[[File:Ringsundial_open.jpg|thumb|জেমা'স রিংস|alt=]]এর বিশ বছর পর ১৫৫৩ সালে,
ফ্রিজিয়াস ক্রস-স্টাফ, জ্যোতির্বিজ্ঞান এবং জ্যোতির্বিদ্যা সংক্রান্ত রিং ("জেমা'স রিংস" নামে পরিচিত) সহ অনেক নতুন যন্ত্রের আবিষ্কার ও উন্নতিসাধন করেছিলেন। তার ছাত্রদের মধ্যে উল্লেখ্য, জেরার্ডাস মারকেটর (যিনি তার সহযোগী হয়েছিলেন), জোহানেস স্টাডিয়াস, জন ডি, আন্দ্রেস ভেসালিয়াস এবং রেমবার্ট ডডোয়েন্স।
|