জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (জাসদ): সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
Shishir2022 (আলোচনা | অবদান)
নতুন তথ্য যোগ করেছি
ট্যাগ: দৃশ্যমান সম্পাদনা মোবাইল সম্পাদনা মোবাইল ওয়েব সম্পাদনা
ট্যাগ: মোবাইল সম্পাদনা মোবাইল অ্যাপ সম্পাদনা অ্যান্ড্রয়েড অ্যাপ সম্পাদনা
৫৯ নং লাইন:
 
=== জাসদের গঠন ও [[জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস|৭ নভেম্বরের অভ্যুত্থান]] প্রসঙ্গ ===
১৯৭২ সালের ৩১ অক্টোবর দলটির সাত সদস্যবিশিষ্ট আহ্বায়ক কমিটির ঘোষণা দেয়া হয়। [[ মোহাম্মদ আবদুল জলিল]] হন সভাপতি এবং [[এ. এস. এম. আবদুর রব|আ স ম আবদুর রব]] হন যুগ্ম আহ্বায়ক। একই বছরে ২২ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত অতিরিক্ত কাউন্সিলে ১০৫ সদস্যের কেন্দ্রীয় কমিটি ঘোষণা করা হয়। এই সম্মেলনে জাসদ তার ঘোষণাপত্রও অনুমোদন করে। সেই ঘোষণাপত্রে সামাজিক বিপ্লবের মাধ্যমে [[বৈজ্ঞানিক সমাজতন্ত্র]] তথা শ্রেণিহীন শোষণহীন কৃষক শ্রমিকরাজ প্রতিষ্ঠা করার ঘোষণা দেয়া হয়। <ref name="জাসদ">জয়নাল আবেদীন, উপমহাদেশের জাতীয়তাবাদী ও বামধারার রাজনীতি, প্রেক্ষিত বাংলাদেশ, বাংলাপ্রকাশ, ঢাকা, ফেব্রুয়ারি, ২০১৩, পৃষ্ঠা- ২৬২, ২৬৬, ৪৫৩</ref> ৭ মার্চ ১৯৭৩ সালে বাংলাদেশের প্রথম জাতীয় নির্বাচনে ২৩৭টি আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে, শতকরা ৭ ভাগ(১,২২৯,১১০) ভোট পেয়ে ৫টি আসনে বিজয়ী হয় ।<ref name="জাসদ"/> ১৯৭৪ সালের শুরু থেকে শেখ মুজিব সরকারকে অনিয়ম, দুর্নীতি, লুটপাট, নির্যাতনের বিরুদ্ধে নতুন মাত্রায় আন্দোলনের কর্মসূচি প্রণয়ন করে । ৮ ফেব্রুয়ারি, ১৯৭৪ সালে আহ্বান করে হরতাল। ১৭ মার্চ পল্টন ময়দানের জনসভা শেষে প্রায় হাজার ত্রিশ উত্তেজিত জনতার এক বিক্ষোভ মিছিল স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে স্মারকলিপি দেবার উদ্দেশ্যে রওয়ানা দেয়। মিছিল স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর বাড়ির সামনে পৌঁছলে পুলিশের সংগে জনতার খণ্ডযুদ্ধ হয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রক্ষীবাহিনী তলব করা হয় এবং রক্ষীবাহিনীর গুলিতে প্রায় ২২/২৩ জন জাসদ কর্মী নিহত হয়। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে সারাদেশে ১৪৪ ধারা জারি করা হয়। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট শেখ মুজিবকে হত্যাকারী খুনী ফারুক-রশিদের তল্পী বাহক খন্দকার মোস্তাকের বিরুদ্ধে জাসদ অবস্থান নেয়। যার ফলশ্রুতিতে খন্দকার মোস্তাকের স্বল্পকালীন শাসন আমলে কয়েকশ নেতা-কর্মী নিহত হন। <ref name="জাসদ"/> সেনাবহিনী শৃংখলা (চেইন অব কমান্ড) ফিরিয়ে আনার নামে ৩ নভেম্বর খালেদ মোশারফ পাল্টা ক্যু করলেও ৩ নভেম্বর জেল হত্যার ঘটনা ঘটে, বঙ্গবন্ধুর খুনীরা নির্বিঘ্নে বিদেশে চলে যায়। এই পটভুমিতে ১৯৭৫ সালের [[নভেম্বর ৭|৭ই নভেম্বর]] [[আবু তাহের|লেফটেন্যান্ট কর্নেল আবু]] তাহেরের নেতৃত্বে সিপাহি-জনতার বিপ্লব সংঘটিত হয়, যা [[খালেদ মোশাররফ]] স্বল্পকালীন সরকারের অবসান ঘটায়। বন্দি জেনারেল [[জিয়াউর রহমান|জিয়াউর রহমানকে]] মুক্ত হন, তাকে অভ্যুত্থানকারী সৈনিকরা বিভিন্ন দাবি দাওয়া উত্থাপন করে (-তার মধ্যে ছিল জাতীয় নির্বাচনের ব্যবস্থা করা) । আবু তাহের ছিলেন জাসদের গণবাহিনীর সর্বাধিনায়ক<ref>{{সংবাদ উদ্ধৃতি|শিরোনাম=শেখ মুজিব সম্পর্কে জাসদ নেতাদের মূল্যায়ন নিয়ে বিতর্ক Reports|ইউআরএল=http://www.bbc.co.uk/bengali/news/2014/08/140815_mh_jsd_politics|সংগ্রহের-তারিখ=১৫ অগাস্ট ২০১৪|কর্ম= বিবিসি বাংলা, ঢাকা|তারিখ=১৫ অগাস্ট ২০১৪}}</ref> এবং ৭ নভেম্বরের সিপাহী অভ্যুত্থানের নেতৃত্বদানকারী বিপ্লবী সৈনিক সংস্থার সাথে জড়িত। এই বিপ্লবী সৈনিক সংস্থা ছিলো গণবাহিনীর শাখা সংগঠন।<ref name="জাসদ"/> পরবর্তীতে জিয়াউর রহমানের সরকারের আমলে দায়েরকৃত এক হত্যা মামলায় সামরিক আদালতে তাহেরকে মৃত্যুদণ্ড দেয়া হয় এবং ১৯৭৬ সালের ২১শে জুলাই তার ফাঁসী কার্যকর হয়। <ref>{{বই উদ্ধৃতি |শিরোনাম= একাত্তরের বীরযোদ্ধা, খেতাব পাওয়া মুক্তিযোদ্ধাদের বীরত্বগাথা (দ্বিতীয় খন্ড)|শেষাংশ= |প্রথমাংশ= |লেখক-সংযোগ= |coauthors= |বছর=মার্চ ২০১৩ |প্রকাশক= প্রথমা প্রকাশন |অবস্থান= |আইএসবিএন= 9789849025375|পাতা= ৩৮|পাতাসমূহ= |সংগ্রহের-তারিখ= |ইউআরএল=}}</ref>
 
=== জাসদে ভাঙন===