তারেক রহমান: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

[অপরীক্ষিত সংশোধন][অপরীক্ষিত সংশোধন]
বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
ট্যাগ: পুনর্বহালকৃত মোবাইল সম্পাদনা মোবাইল ওয়েব সম্পাদনা
সম্পাদনা সারাংশ নেই
ট্যাগ: পুনর্বহালকৃত মোবাইল সম্পাদনা মোবাইল ওয়েব সম্পাদনা
৪২ নং লাইন:
=== উইকিলিক্সের তথ্য ===
২০০৮ সালের ৩ নভেম্বর সাড়াজাগানো ওয়েবসাইট [[উইকিলিক্স]] বাংলাদেশে অবস্থিত যুক্তরাষ্ট্রের দূতাবাসের গোপন তারবার্তা ফাঁস করে। বার্তায় বলা হয় যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাস বিশ্বাস করে, “গুরুতর রাজনৈতিক দুর্নীতির জন্য দোষী, মার্কিন জাতীয় স্বার্থের উপর একটি বিরূপ প্রভাব ফেলছে।” <ref>{{ওয়েব উদ্ধৃতি|ইউআরএল=http://wikileaks.org/wiki/CRS:_Bangladesh:_Political_Turmoil_and_Transition,_May_30,_2008|শিরোনাম=CRS: Bangladesh: Political Turmoil and Transition, May 30, 2008 - WikiLeaks|কর্ম=wikileaks.org}}</ref><ref>[http://ns.bdnews24.com/details.php?id=205164&cid=2 Protecting Tarique Khaleda's biggest failure]{{অকার্যকর সংযোগ|তারিখ=ফেব্রুয়ারি ২০১৯ |bot=InternetArchiveBot |ঠিক করার প্রচেষ্টা=yes }}, বিডিনিউস২৪.কম, প্রকাশিত হয়েছে ৫ই সেপ্টেম্বর, ২০১১।</ref>
 
== তত্ত্বাবধায়ক সরকার কর্তৃক গ্রেপ্তার ==
রাজনৈতিক দলগুলোর ধ্বংসাত্মক কর্মকাণ্ডের কারণে দেশে বিশৃঙ্খল অবস্থা সৃষ্টি হওয়ার পরিপ্রেক্ষিতে ১১ জানুয়ারি, ২০০৭ তারিখে নিয়মতান্ত্রিক তত্ত্বাবধায়ক সরকারকে অপসারণ করে সেনাসমর্থিত তত্ত্বাবধায়ক সরকার গঠিত হয় যার প্রধান ছিলেন [[ফখরুদ্দীন আহমদ]] এবং সেনাপ্রধান ছিলেন লেফটেন্যান্ট জেনারেল (পরে জেনারেল হিসেবে অবসর নেন) [[মঈন উদ্দিন আহমেদ]]। ১২ জানুয়ারি উপদেষ্টা পরিষদ নাম্নী একটি মন্ত্রিসভা গঠিত হওয়ার পর সরকারের পক্ষ থেকে দেশের শীর্ষ রাজনীতিবিদ ও ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ মামলা দায়ের করা হয়।<ref>{{ওয়েব উদ্ধৃতি |শিরোনাম=E-Bangladesh |ইউআরএল=http://www.e-bangladesh.org/ |সংগ্রহের-তারিখ=৪ ডিসেম্বর ২০০৯ |আর্কাইভের-ইউআরএল=https://web.archive.org/web/20100114071842/http://www.e-bangladesh.org/ |আর্কাইভের-তারিখ=১৪ জানুয়ারি ২০১০ |অকার্যকর-ইউআরএল=হ্যাঁ }}</ref> ৭ মার্চ, ২০০৭ তারিখে একটি দুর্নীতি মামলার আসামি হিসেবে তারেক রহমানকে তার ঢাকা ক্যান্টনমেন্টস্থ মইনুল রোডের বাসা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। তার বিরুদ্ধে আরও ১৩টি দুর্নীতির মামলা দায়ের করা হয় ও তাকে বিচারের সম্মুখীন করা হয়।<ref>{{ওয়েব উদ্ধৃতি |শিরোনাম=সংরক্ষণাগারভুক্ত অনুলিপি |ইউআরএল=http://www.newagebd.com/2007/sep/04/front.html |সংগ্রহের-তারিখ=৪ ডিসেম্বর ২০০৯ |আর্কাইভের-ইউআরএল=https://web.archive.org/web/20071216021117/http://www.newagebd.com/2007/sep/04/front.html |আর্কাইভের-তারিখ=১৬ ডিসেম্বর ২০০৭ |অকার্যকর-ইউআরএল=হ্যাঁ }}</ref>
 
=== আটকাবস্থায় শারীরিক নির্যাতনের অভিযোগ ===
গ্রেপ্তারের কিছুদিন পর তারেককে আদালতে হাজির করা হলে তার শারীরিক অবস্থার অবনতির জন্য তার আইনজীবীরা আদালতে অভিযোগ করেন যে জিজ্ঞাসাবাদের সময়ে তারেক রহমানের উপর শারীরিক নির্যাতন চালানো হয়েছে। আদালতের নির্দেশে চিকিৎসকদের একটি দল পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর আদালতকে জানায় যে তারেক রহমানের উপর শারীরিক নির্যাতনের অভিযোগ যুক্তিযুক্ত। এই পর্যায়ে আদালত রিমান্ডে নেয়ার আদেশ শিথিল করে তা কমিয়ে ১ দিন ধার্য করেন ও জিজ্ঞাসাবাদকারীদের সাবধানতা অবলম্বনের আদেশ দেন। এরপর তাকে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারের পরিবর্তে ঢাকার শাহবাগস্থ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়।<ref>[http://www.newagebd.com/2008/jan/18/edit.html ]{{Dead link}}</ref><ref>{{ওয়েব উদ্ধৃতি |ইউআরএল=http://nation.ittefaq.com/issues/2008/01/10/news0777.htm |শিরোনাম=সংরক্ষণাগারভুক্ত অনুলিপি |সংগ্রহের-তারিখ=৪ ডিসেম্বর ২০০৯ |আর্কাইভের-তারিখ=৮ মার্চ ২০১১ |আর্কাইভের-ইউআরএল=https://web.archive.org/web/20110308043738/http://www.nation.ittefaq.com/issues/2008/01/10/news0777.htm |ইউআরএল-অবস্থা=অকার্যকর }}</ref> ২৫ আগস্ট, ২০০৭ তারিখে খবর ছড়িয়ে পড়ে যে তারেক রহমান তার হাসপাতাল কক্ষে পা পিছলে পড়ে গিয়ে আহত হয়েছেন। এতে দেশের বিভিন্ন স্থানে বিক্ষোভ দেখা দেয়, বিশেষ করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়, ঢাকা কলেজ ও ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজে বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে।<ref>{{ওয়েব উদ্ধৃতি |শিরোনাম=সংরক্ষণাগারভুক্ত অনুলিপি |ইউআরএল=http://www.newagebd.com/2008/aug/26/front.html |সংগ্রহের-তারিখ=৪ ডিসেম্বর ২০০৯ |আর্কাইভের-ইউআরএল=https://web.archive.org/web/20090109185214/http://www.newagebd.com/2008/aug/26/front.html |আর্কাইভের-তারিখ=৯ জানুয়ারি ২০০৯ |অকার্যকর-ইউআরএল=হ্যাঁ }}</ref>
 
=== মুক্তিলাভ ===
২০০৮ এর আগস্টে তারেক রহমানের বিরুদ্ধে মামলাগুলো আদালতে গতি লাভ করে। প্রায় আঠারো মাস কারান্তরীণ থাকার পর ৩ সেপ্টেম্বর, ২০০৮ তারিখে সবগুলো মামলায় তারেক রহমানের জামিন লাভ করেন ও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মুক্তি লাভ করেন।
তারেক রহমানের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগগুলো এই মুহূর্তে জাতীয় রাজনৈতিক অঙ্গনে বিতর্কের কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হয়ে আছে। কোন কোন রাজনৈতিক বিশ্লেষক সন্দেহ পোষণ করেছেন তারেক রহমানের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ অনেকাংশেই রাজনৈতিক উদ্দেশ্য-প্রণোদিত।<ref>{{ওয়েব উদ্ধৃতি|ইউআরএল=http://www.sonarbangladesh.com/article.php?ID=260|শিরোনাম="সংবাদমাধ্যমের লুকানোর প্রবণতা", ফরহাদ মযহার|প্রকাশক=|সংগ্রহের-তারিখ=৪ ডিসেম্বর ২০০৯|আর্কাইভের-ইউআরএল=https://web.archive.org/web/20120804234704/http://www.sonarbangladesh.com/article.php?ID=260|আর্কাইভের-তারিখ=৪ আগস্ট ২০১২|অকার্যকর-ইউআরএল=হ্যাঁ}}</ref>
 
=== চিকিৎসা ও বিদেশে অবস্থান ===
১১ সেপ্টেম্বর, ২০০৮ তারিখে বিশেষ কারাগার থেকে বেগম খালেদা জিয়া মুক্তি পাওয়ার পর তিনি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে পুত্র তারেক রহমানকে দেখতে যান। সেদিন রাতেই তারেক রহমান উন্নত চিকিৎসার জন্য [[যুক্তরাজ্য|যুক্তরাজ্যের]] উদ্দেশ্যে রওনা হন। বর্তমানে [[লন্ডন|লন্ডনের]] সাউথ ওয়েলিংটন হসপিটাল ও লন্ডন হসপিটালে তার চিকিৎসা চলছে এবং চিকিৎসার সুবিধার্থে তিনি সেন্ট্রাল লন্ডনের এডমন্টনে সপরিবারে বসবাস করছেন।
 
তারেক বিদেশে অবস্থান করায় তার বিরুদ্ধে করা মামলাগুলো বর্তমানে অমীমাংসিত অবস্থায় রয়েছে। সিঙ্গাপুরে অর্থপাচার মামলায় দুর্নীতি দমন কমিশনের একজন কর্মকর্তার করা আবেদনের প্রেক্ষিতে, ২০১৩ সালের মে মাসে ঢাকার একটি আদালত তারেক রহমানকে ইন্টারপোলের মাধ্যমে গ্রেফতারের পরোয়ানা জারি করে। এর প্রতিবাদে বিএনপি দেশের বিভিন্ন এলাকায় হরতালসহ বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করে।<ref>[http://www.bbc.co.uk/bengali/news/2013/05/130527_mk_tarique_tareq_bnp_return_london.shtml তারেক রহমানের দেশে ফেরা কতটা কঠিন?], বিবিসি বাংলা নিউস, প্রকাশিত হয়েছে ২৭শে মে, ২০১৩।</ref><ref>[http://gulfnews.com/news/world/other-world/bangladeshi-court-orders-arrest-of-ex-pm-s-fugitive-son-for-graft-1.1188628Bangladeshi court orders arrest of ex-PM’s fugitive son for graft]{{অকার্যকর সংযোগ|তারিখ=ফেব্রুয়ারি ২০১৯ |bot=InternetArchiveBot |ঠিক করার প্রচেষ্টা=yes }}, Gulfnews, প্রকাশিত হয়েছে ২৬শে মে, ২০১৩।</ref>
 
== বিএনপির পঞ্চম জাতীয় কাউন্সিল ==