নেজামে ইসলাম পার্টি: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
223.29.213.19 (আলাপ)-এর সম্পাদিত 6195896 নম্বর সংশোধনটি বাতিল করা হয়েছে সুত্রহীন (mobileUndo)
ট্যাগ: পূর্বাবস্থায় ফেরত মোবাইল সম্পাদনা মোবাইল ওয়েব সম্পাদনা উচ্চতর মোবাইল সম্পাদনা
৩৪ নং লাইন:
 
=== নেজামে ইসলাম পার্টি ===
১৯৫২ সালে জমিয়তে উলামায়ে ইসলামের রাজনৈতিক সেল হিসাবে নেযামে ইসলামের প্রথম অস্তিত্ব। ১৯৬৭ সাল পর্যন্ত এভিত্তিতেই নেযামে ইসলাম ইসলামী শাসনতন্ত্র প্রতিষ্ঠার দাবীতে রাজনৈতিক তৎপরতা অব্যাহত রাখে। কিন্তু ১৯৬৭ সালে জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম ও নেযামে ইসলাম সংক্ষেপে নেযামে ইসলাম নামে একটি পৃথক দল হিসাবে এর কর্মতৎপরতা শুরু করে। ১৯৬৯ সালে নেযামে ইসলামের কেন্দ্রীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। এ নির্বাচনে মুফতী শফী কে প্রধান উপদেষ্টা, জফর আহমদ উসমানীকে সভাপতি, আতহার আলীকে কার্যকরী সভাপতি, আব্দুল ওয়াহহাব ও মুস্তফা আল মদনীকে সহ-সভাপতি, এহতেশামুল হক থানভীকে প্রধান কায়েদ বা নেতা ও সিদ্দিক আহমদ কে সেক্রেটারী জেনারেল নিযুক্ত করা হয়। পূর্ব পাকিস্তানের প্রতি কেন্দ্রীয় সরকারের বৈষম্যমূলক আচরণের বিরুদ্ধে নেযামে ইসলাম পার্টি প্রতিবাদ জানায় এবং পূর্ব পাকিস্তানের দাবী আদায়ের সংগ্রামে ভূমিকা পালন করে। এ পর্যায়ে তারা পাকিস্তানের কেন্দ্রীয় রাজধানী ঢাকায় ও নৌবাহিনীর সদর দফতর চট্টগ্রামে স্থানান্তরের দাবী জানায়। ১৯৭০ এর নির্বাচনে নেযামে ইসলাম অংশ গ্রহণ করে। তবে প্রার্থী মনোনয়নের ক্ষেত্রে তারা জামাতে ইসলামের সাথে এ মর্মে একটি চুক্তিতে আবদ্ধ হয় যে, নেযামে ইসলাম যেখানে তাদের প্রার্থীকে মনোনয়ন দিবে সেখানে জামাত প্রার্থী দিবে না, আর যেখানে জামাতে ইসলাম কোন প্রার্থীকে মনোনয়ন দিবে সেখানে নেযামে ইসলাম প্রার্থী দিবে না। পূর্ব পাকিস্তানে শেখ মুজিবের আওয়ামী লীগ ও পশ্চিম পাকিস্তানে ভুট্টোর পিপলস পার্টি এককভাবে বিজয়ী হয়। এ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ একক সংখ্যা গরিষ্ঠতা লাভ করে। ফলে সাংবিধানিকভাবে তারা সরকার গঠনের ক্ষমতা লাভ করে। ক্ষমতা হস্তান্তর না হওয়ায় বাংলাদেশ স্বাধীনতা লাভ করে এবং স্বাধীন বাংলাদেশে ধর্মভিত্তিক রাজনীতি নিষিদ্ধ হয়। এ সময় নেযামে ইসলামের কর্মতৎপরতাও বন্ধ থাকে। ১৯৮১ সালে ছিদ্দিক আহমদের আহ্বানে এদলটি আবার সংগঠিত হয়। ছিদ্দিক আহমদকে সভাপতি, মঞ্জুরুল আহসানকে সেক্রেটারী ও আশরাফ আলীকে সহকারী সেক্রেটারী এবং সরওয়ার কামাল আজিজীকে প্রচার ও জনকল্যাণ সম্পাদক করে দলের নতুন অবকাঠামো ঘোষণা করা হয়। ১৯৮৪ সালে দলের কেন্দ্রীয় নির্বাচনে সিদ্দিক আহমদকে উপদেষ্টা, আব্দুল মালেক হালিমকে সভাপতি, আতাউর রহমান ও সরওয়ার কামালকে সহ-সভাপতি, আশরাফ আলীকে সাধারণ সম্পাদক ও নুরুল হক আরমানকে সাংগঠনিক সম্পাদক পদে নির্বাচিত করা হয়। এ সময় দলটিতে আরেক বার নতুন প্রাণের সঞ্চার হয়েছিল। তখন দলটি বেশ কিছু সমাজ সেবামূলক কাজের উদ্যোগ গ্রহণ করেছিল। ১৯৮৮ সালের দলীয় নির্বাচনে আশরাফ আলীকে সভাপতি ও আব্দুর রকীবকে সাধারণ সম্পাদক নিযুক্ত করা হয়। ১৯৮৯ সালে আশরাফ আলী সভাপতি ও নুরুল হক আরমান সাধারণ সম্পাদক মনোনীত হন। ১৯৯৩ সালে দলীয় নির্বাচনে আশরাফ আলী পুনঃসভাপতি মনোনীত হন এবং এডভোকেট আব্দুর রকীবকে পুনরায় সাধারণ সম্পাদক পদে মনোনীত করা হয়। ১৯৯৭ এর নির্বাচনে এডভোকেট আব্দুর রকীবকে সভাপতি ও সাংবাদিক মাওলানা আব্দুল লতীফ নেযামীকে মহাসচিবসাধারণ হন।সম্পাদক করা হয়।<ref>দেওবন্দ আন্দোলন: ইতিহাস ঐতিহ্য ও অবদান, পৃ.২৪৭–২৪৯</ref> ২০১৪সালে আবদুল মালেক হালিমকে সভাপতি নিবাচিত হন। ২০১৬ সালে মাওলানা আবদুল লতিফ নেজামী নেজামে ইসলাম পাটির সভাপতি নিবাচিত হন। ২০২০সালের মাসে মে মাসে ইন্তেকাল করলে তার ছেলে মাওলানা ওবায়দুল হক প্রথমে দলের মহাসচিব ও ৩ই সেপ্টেম্বর ২০২০ইং তারিখে কাউন্সিলের মাধ্যমে বাংলাদেশ নেজামে ইসলাম পাটির সভাপতি নিবাচিত হন।
 
== আরও দেখুন ==