সমুদ্রগুপ্ত: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
ট্যাগ: মোবাইল সম্পাদনা মোবাইল ওয়েব সম্পাদনা
সম্পাদনা সারাংশ নেই
ট্যাগ: পুনর্বহালকৃত মোবাইল সম্পাদনা মোবাইল ওয়েব সম্পাদনা
৪৩ নং লাইন:
[[এলাহাবাদ স্তম্ভ|এলাহাবাদ প্রশস্তি]] থেকে জানা যায়, প্রথম চন্দ্রগুপ্ত তার একাধিক অপত্যের মধ্য থেকে সমুদ্রগুপ্তকে সিংহাসনের উত্তরাধিকারী নির্বাচিত করেন। তার সিংহাসনারোহণের বছর কোনটি – এই প্রশ্নে ঐতিহাসিকদের মধ্যে মতবিরোধ আছে। হেমচন্দ্র রায়চৌধুরী কোনও কারণ ব্যতিরেকেই ৩২৫ খ্রিষ্টাব্দকে সমুদ্রগুপ্তের রাজ্যারোহণের বছর হিসাবে চিহ্নিত করেছেন। <ref name="ReferenceA">''ভারতবর্ষের ইতিহাস : প্রাচীন ও আদি মধ্যযুগ'', গোপাল চন্দ্র সিন্‌হা, প্রগ্রেসিভ পাবলিশার্স, [[কলকাতা]], তৃতীয় সংস্করণ, ২০০৩</ref>{{rp|৫৯৮}} [[রমেশচন্দ্র মজুমদার|ডক্টর রমেশচন্দ্র মজুমদারের]] মতে ৩৪০ থেকে ৩৫০ খ্রিষ্টাব্দের মধ্যে কোনও এক সময়ে সমুদ্রগুপ্ত সিংহাসনে আরোহণ করেন। অধিকাংশ ঐতিহাসিক এই মতেরই অনুসারী। ডক্টর আর কে মুখোপাধ্যায়ের মতে, সমুদ্রগুপ্ত ৩২৫ খ্রিষ্টাব্দে সিংহাসনে বসেন। এ-কালের ঐতিহাসিকগণ ৩৩৫ খ্রিষ্টাব্দকেই সমুদ্রগুপ্তের সিংহাসনারোহণের বছর রূপে চিহ্নিত করে থাকেন।<ref name="ReferenceA"/>{{rp|৫৯৮}}
 
এলাহাবাদ প্রশস্তির বিবরণী অনুযায়ী, প্রথম চন্দ্রগুপ্ত প্রকাশ্যে সমুদ্রগুপ্তকে উত্তরাধিকার নির্বাচিত করলে তার ‘তুল্য-কুলজ’ বা আত্মীয়বর্গ অসন্তুষ্ট হন। <ref>''ভারতের ইতিহাস'' (প্রাচীন যুগ হইতে ১৫২৬ খ্রিস্টাব্দ পর্যন্ত), অতুল চন্দ্র রায় ও প্রণবকুমার চট্টোপাধ্যায়, মৌলিক লাইব্রেরি, [[কলকাতা]], ১৯৯৯, পৃ.১০২-০৩</ref> এই কারণে অনেকে মনে করেন প্রথম চন্দ্রগুপ্তের মৃত্যুর পর সিংহাসনকে কেন্দ্র করে কোনও জ্ঞাতিবিরোধের সূত্রপাত ঘটে থাকবে। এই সময়কার কয়েকটি স্বর্ণমুদ্রায় কচ নামে এক রাজার উল্লেখ পাওয়া যায়। কোনও কোনও ঐতিহাসিক মনে করেন, কচ ছিলেন সমুদ্রগুপ্তের প্রতিদ্বন্দ্বী ভ্রাতা এবং তাকে হত্যা করেই সমুদ্রগুপ্ত সিংহাসন অধিকার করেছিলেন। তবে অপর এক শ্রেণির মুদ্রা বিশেষজ্ঞ ও ঐতিহাসিকেরা সমুদ্রগুপ্তের মুদ্রা ও কচের মুদ্রার সাদৃশ্য দর্শিয়ে উভয় ব্যক্তিকে একই ব্যক্তি বলে প্রমাণ করতে প্রয়াসী। তাদের বক্তব্য সমুদ্রগুপ্তেরই পূর্বনাম ছিল কচ এবং পরে তিনি ‘সমুদ্রগুপ্ত’ নাম ধারণ করেন। [[রাখালদাস বন্দ্যোপাধ্যায়]] অবশ্য এই মত সমর্থন করেননি। তার মতে কচ ছিলেন সমুদ্রগুপ্তের ভ্রাতা। সাম্প্রতিককালে ব্রতীন্দ্রনাথ মুখোপাধ্যায়ও মনে করেন, গুপ্ত শাসকেরা যেখানে একক ব্যক্তিগত নামের অধিকারী ছিলেন, সেখানে সমুদ্রগুপ্তের দুটি নাম থাকা অসম্ভব। <ref name="ReferenceA"/>{{rp|৫৯৯}}<ref>''The Oxford History of India'', By Late Vincent A. Smith, C.I.E., Fourth Edition, Edited by Percival Spear, Oxford University Press, Chennai, 1981, p.166</ref>
 
=== দিগ্বিজয় ===