আবদুল গাফফার চৌধুরী: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
SalamAlayka (আলোচনা | অবদান)
সম্পাদনা সারাংশ নেই
৯ নং লাইন:
| death_place =
| পেশা = সাংবাদিক, সাহিত্যিক, কলাম লেখক
| relatives = [[আসাদ চৌধুরী]] (চাচাতো ভাই)
| বাসস্থান =
| জাতীয়তা = বাংলাদেশী
| উল্লেখযোগ্য_রচনাবলি = ''[[একুশের গান|আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙানো]]'' গানের গীতিকার
১৭ নং লাইন:
'''আবদুল গাফফার চৌধুরী''' (১২ ডিসেম্বর ১৯৩৪ — ১৯ মে ২০২২)<ref>{{Cite web |title=আবদুল গাফফার চৌধুরী আর নেই |url=https://www.jagonews24.com/national/news/762845 |access-date=2022-05-19 |website=www.jagonews24.com}}</ref> ছিলেন একজন বাংলাদেশী গ্রন্থকার, কলাম লেখক। তিনি [[ভাষা আন্দোলন|ভাষা আন্দোলনের]] স্মরণীয় গান ''[[একুশের গান|আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙানো]]''-এর রচয়িতা। তিনি স্বাধীনতা যুদ্ধে মুজিবনগর সরকারের মাধ্যমে নিবন্ধিত স্বাধীন বাংলার প্রথম পত্রিকা [[সাপ্তাহিক জয়বাংলা]]র প্রতিষ্ঠাতা ও সম্পাদক ছিলেন। তিনি তার কর্মের স্বীকৃতিস্বরূপ ১৯৬৭ সালে বাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরস্কার, ১৯৮৩ সালে একুশে পদক ও ২০০৯ সালে স্বাধীনতা পুরস্কার লাভ করেন।
 
 
== জন্ম ==
আব্দুল গাফফার চৌধুরী [[ডিসেম্বর ১২|১২ ডিসেম্বর]], ১৯৩৪ খ্রিষ্টাব্দে [[বরিশাল জেলা|বরিশাল জেলার]] [[মেহেন্দিগঞ্জ উপজেলা|মেহেন্দিগঞ্জ উপজেলার]] [[উলানিয়া ইউনিয়ন|উলানিয়া ইউনিয়নের]] এক জলবেষ্টিত গ্রাম উলানিয়ার চৌধুরী বাড়িতে ([[উলানিয়া জমিদার বাড়ি]]) জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর বাবা ছিলেন হাজি ওয়াহিদ রেজা চৌধুরী ও মা মোসাম্মৎ জহুরা খাতুন। তিন ভাই, পাঁচ বোনের মধ্যে বড় ভাই হোসেন রেজা চৌধুরী ও ছোট ভাই আলী রেজা চৌধুরী। পাঁচ বোন হলেন মানিক বিবি, লাইলী খাতুন, সালেহা খাতুন, ফজিলা বেগম ও মাসুমা বেগম। তিনি [[লন্ডন]] প্রবাসী ছিলেন।<ref>[http://gunijan.org.bd/GjProfDetails_action.php?GjProfId=24 গুণীজন ডটকম ওয়েবসাইটে গাফফার চৌধুরী]</ref>
 
== জন্ম ও বংশ==
আব্দুল গাফফার চৌধুরী ১২ ডিসেম্বর ১৯৩৪ খ্রীষ্টাব্দের তৎকালীন [[বেঙ্গল প্রেসিডেন্সি]]র [[বাকেরগঞ্জ জেলা (ব্রিটিশ ভারত)|বাকেরগঞ্জ জেলার]] [[মেহেন্দিগঞ্জ উপজেলা|মেহেন্দিগঞ্জ মহকুমার]] [[উলানিয়া জমিদার বাড়ি]]তে একটি সম্ভ্রান্ত বাঙ্গালী মোসলমান খান্দানে জন্মগ্রহণ করেন, যারা [[[উলানিয়া ইউনিয়ন|উলানিয়ার]] চৌধুরী বংশ হিসাবে পরিচিত। তাঁর পূর্বপুরুষ মহম্মদ হানিফ [[পারস্য]] হতে বাংলায় এসে সুবাহদার [[শায়েস্তা খাঁ|শায়েস্তা খাঁর]] অন্যতম সেনানায়ক হিসাবে [[মগ (জাতিগোষ্ঠী)|মগ]]-[[পর্তুগাল|পর্তুগিজ]] জলদস্যু দমনে কর্মরত ছিলেন এবং গোবিন্দপুরের [[সংগ্রাম কেল্লা]]র জমাদার ছিলেন। তাঁর বাদে হানিফ বৃহত্তর বরিশালের [[হিজলা উপজেলা|তেতুলিয়া গাঁওয়ে]] বসবাস শুরু করেন। এই বংশের [[মহম্মদ তকি]] তেঁতুলিয়া জমাদার বাড়ি ছেড়ে উলানিয়ায় বসতি কায়েম করেন। তাঁর ছেলে [[নয়া রাজা]] হলেন আব্দুল গাফফার চৌধুরীর পরদাদা এবং তিনি তাঁর দুই ভাই হাসন রাজা ও কালা রাজার সাথে সুপারি, লবণ, চালের ব্যবসা করে [[কলকাতা]]র [[মারোয়াড়ি|মারোয়াড়িদের]] বিখ্যাত বণিক [[হুকুম চাঁদ|হুকুম চাঁদের]] সাথে মিত্রতা পান। তিন পরদাদারা লালগঞ্জ, আলিগঞ্জ ও কালিগঞ্জ বন্দর কায়েম করেন এবং প্রচুর ফুলুস জমা করে ইদিলপুর জমিদারী কায়েম করেন। আব্দুল গাফফার চৌধুরীর নসবনামা হচ্ছেঃ আব্দুল গাফফার চৌধুরী ইবনে ওয়াহেদ রাজা চৌধুরী ইবনে ফজেল আলী ইবনে নয়া রাজা ইবনে মহম্মদ তকি।<ref>{{cite book|author=সাইফুল আহসান বুলবুল|title=বৃহত্তর বরিশালের ঐতিহাসিক নিদর্শন|location=[[ঢাকা]]|year=২০১২|publisher=গতিধারা|chapter=উলানিয়া চৌধুরীবাড়ি, মেহেন্দিগঞ্জ}}</ref><ref name=siraj>{{cite book|title=বরিশাল বিভাগের ইতিহাস|year=২০১০|author=[[সিরাজ উদদীন আহমেদ]]|volume=১|publisher=ভাস্কর প্রকাশনী|location=[[ঢাকা]]|chapter=উলানিয়ার চৌধুরী পরিবার}}</ref>
 
== শিক্ষাজীবন ==