তপন সিংহ: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
MdaNoman (আলোচনা | অবদান)
MdaNoman তপন সিংহ কে তপন সিং শিরোনামে স্থানান্তর করেছেন: সংশোধন
ট্যাগ: মোবাইল সম্পাদনা মোবাইল ওয়েব সম্পাদনা উচ্চতর মোবাইল সম্পাদনা
MdaNoman (আলোচনা | অবদান)
আলোচনা অনুসারে (By FindAndReplace)
ট্যাগ: মোবাইল সম্পাদনা মোবাইল ওয়েব সম্পাদনা উচ্চতর মোবাইল সম্পাদনা
১ নং লাইন:
{{ তথ্যছক ব্যক্তি
|name= তপন সিংহসিং
| image =Tapan Sinha 2013 stamp of India.jpg
| caption = ভারত সরকার প্রকাশিত তপন সিংহেরসিংের ডাকটিকিট
| office =
| order =
৩০ নং লাইন:
| awards = [[দাদাসাহেব ফালকে]] পুরস্কার
}}
'''তপন সিংহসিং''' (জন্ম: [[অক্টোবর ২|২ অক্টোবর]], ১৯২৪ — মৃত্যু: [[জানুয়ারি ১৫|১৫ জানুয়ারি]], ২০০৯) একজন বিখ্যাত ভারতীয় বাঙালি চলচ্চিত্র পরিচালক। অভিনেত্রী [[অরুন্ধতী দেবী]] তার পত্নী ছিলেন।
 
== জন্ম ও শিক্ষাজীবন ==
১৯২৪ সালের ২রা অক্টোবর বীরভূম জেলার মুরারই থানার জাজিগ্রাম প্রসিদ্ধ সিংহসিং পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। এই তথ্যটি ভুল। বীরভূম নয় হবে মুর্শিদাবাদ।জাজিগ্রাম নয় হবে হিলোড়া। [[কলিকাতা বিশ্ববিদ্যালয়]] থেকে পদার্থবিদ্যায় স্নাতোকত্তর করার পর তিনি ১৯৪৬ সালে নিউ থিয়েটার্স স্টুডিওতে সহকারী শব্দগ্রহণকারী হিসাবে যোগ দেন। পরবর্তীকালে তিনি [[দাদাসাহেব ফালকে]] পুরস্কার লাভ করেন।<ref>[http://www.rediff.com/movies/2009/jan/15filmmaker-tapan-sinha-passes-away.htm রিডিফ.কম]</ref><ref>{{ওয়েব উদ্ধৃতি|ইউআরএল=http://timesofindia.indiatimes.com/India/Filmmaker_Tapan_Sinha_dead_/articleshow/3985551.cms|শিরোনাম=Filmmaker Tapan Sinha dead -India-The Times of India|প্রকাশক=indiatimes.com|সংগ্রহের-তারিখ=2009-01-16|শেষাংশ=|প্রথমাংশ=}}</ref>
 
== কর্মজীবন ==
৫৬ নং লাইন:
সিনহার আরোহিতে কালী বন্দ্যোপাধ্যায়, বিকাশ রায়, শিপ্রা এবং ভানু বন্দ্যোপাধ্যায়ের অভিনেতারা অভিনয় করেছেন। হিনিকেশ মুখার্জি হিন্দিতে এটির পুনর্নির্মাণ করেছিলেন অর্জুন পণ্ডিত। অরোহি বনোফুলের একটি গল্প অবলম্বনে নির্মিত হয়েছিল। হিন্দিতে নির্মিত শিশুদের চলচ্চিত্র সাফেদ হাথিতে শত্রুঘ্ন সিনহা ও মালা জাগি এবং গায়ত্রী অভিনয় করেছেন atri কল্যান চ্যাটারজি একজন পোস্টম্যান হিসাবে একটি ক্যামের চরিত্রে অভিনয় করেছিলেন। গল্পটি লিখেছেন সিনহা নিজেই।
 
সিংহেরসিংের জিন্দেগি জিন্দেগী সুনীল দত্ত ও ওয়াহিদা রেহমানের নিয়ে একটি হিন্দি ছবি। এটি খারাপভাবে প্রমাণিত হয়েছিল, সম্ভবত কারণটি হিন্দি দর্শকদের পক্ষে খুব সূক্ষ্ম ছিল [[উদ্ধৃতি প্রয়োজন]]। অতীথিতে পার্থ মুখোপাধ্যায়, স্মিতা সিনহা এবং অজিতেশ বন্দ্যোপাধ্যায় উপস্থিত ছিলেন। টনসিল একটি কৌতুক চলচ্চিত্র, যেখানে মাধবী মুখার্জি আত্মপ্রকাশ করেছিলেন।
 
তার ঝিন্দার বান্দি বাংলা সাহিত্যের সুপরিচিত historicalতিহাসিক গল্প লেখক সরদিন্দু বন্দ্যোপাধ্যায়ের একটি গল্প অবলম্বনে নির্মিত হয়েছে, যদিও এটি অ্যান্টনি হোপের ইংরেজি উপন্যাস "দ্য প্রিজনার অফ জেনদা" অবলম্বনে ছিল। অভিনেতাদের মধ্যে রয়েছেন উত্তম কুমার, অরুন্ধতী দেবী, সৌমিত্র চ্যাটার্জী, রাধামোহন ভট্টাচারজি, তরুণ কুমার, দিলীপ রায়, সন্ধ্যা রায়। উত্তম ও সৌমিত্র প্রথম যে সিনেমায় একসঙ্গে অভিনয় করেছিলেন তা হলেন সিনহার ঝিণ্ডার বান্দি, যেখানে সৌমিত্র প্রথমবারের মতো ভিলেন চরিত্রে অভিনয় করেছিলেন, "ময়ূরবাহন"। সংগ্রামী অপু ট্র্যাজেডির wavesেউয়ের হাতছানি দিয়ে শুরু করার আগে থেকে শুরু করে সবেমাত্র মুষ্টিমেয় কয়েকটি ছবিতে কাজ করেছিলেন তিনি। ছবিটি একটি সাফল্য ছিল, এবং এখনও সৌমিত্রকে কোনও ভিলেনের স্থায়ী চিহ্ন দিয়ে টাইপকাস্ট করেনি, কারণ এটি অন্যান্য অভিনেতাদের সাথে করার জন্য উপযুক্ত ছিল। [উদ্ধৃতি প্রয়োজন]
৬২ নং লাইন:
সিনহার সাগিনা মাহাতোকে একটি রাজনৈতিক চলচ্চিত্র হিসাবে শ্রেণীবদ্ধ করা যেতে পারে, যদিও এটি প্রকৃতিতে প্রতিক্রিয়াশীল ছিল এবং এটি বামপন্থী রাজনীতির প্রত্যক্ষ আক্রমণ ছিল। এটি কোনও শ্রমিকের স্বতন্ত্র বীরত্বকে জয়ী করে সংগঠিত সংগ্রামকে অসন্তুষ্ট করার চেষ্টা করেছিল। দিলীপ কুমার ও সায়রা বানু কেন্দ্রীয় চরিত্রে অভিনয় করেছেন। অনিল চ্যাটার্জিরও সহায়ক ভূমিকা রয়েছে। ছবিটির হিন্দি সংস্করণ, "সগিনা" নামেও কেন্দ্রীয় চরিত্রে অভিনয় করেছেন দিলপ কুমার। ছবিটি 7 তম মস্কো আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবে প্রবেশ করেছে [[5]]
 
সিংহেরসিংের কালামতি হ'ল প্রথম চলচ্চিত্র যা কয়লাখনী অঞ্চলে ক্রাচের জীবন নিয়ে কাজ করেছিল। 1957 সালে তৈরি, এটি তার সময়ের চেয়ে অনেক এগিয়ে ছিল। ছবিতে অনিল চ্যাটারজির একটি ভূমিকা রয়েছে। রাজা অভিনয় করেছেন দেবরাজ রায়, শমিত ভাজা, আরতি ভট্টাচার্জী, মহুয়া রায়চৌধুরী, অনিল চ্যাটারজি, সন্তু মুখার্জি প্রমুখ।
 
অপঞ্জন বেকার যুবকদের গল্প, স্বরূপ দত্ত এবং শমিত ভাজা, ছায়া দেবী, রবি ঘোষ, নির্মল কুমার, সুমিতা সান্যাল অভিনীত। প্রথম দিকের এই ছবিটি পরবর্তী সময়ে নকশালবাদের অনুরূপ একটি আন্দোলনের উপর দৃষ্টি নিবদ্ধ করে। আপন জানকে হিন্দিতে পুনর্নির্মাণ করেছিলেন গুলজার, মেরে আপনে রূপে। ছবিটিতে ছায়া দেবী, রবি ঘোষ, ভানু বন্দ্যোপাধ্যায়, কল্যাণ চ্যাটারজি, পার্থ মুখোপাধ্যায়, নির্মল কুমার প্রমুখ।
৯৬ নং লাইন:
সিনহার 5 পার্ট ফিচার ফিল্ম ডটার অফ দ্য সেঞ্চুরি ভারতীয় সিনেমায় একটি নতুন সূচনা করেছে। কেন্দ্রীয় চরিত্রে শাবানা আজমি, জয়া বচ্চন, নন্দিতা দাস, দীপা সাহি, এবং সুলাভা দেশপাণ্ডে অভিনীত এই চলচ্চিত্রটি শেশা নাথ বন্দ্যোপাধ্যায় ও মোহন দাসের পরিচালনায় শূন্য যোগাযোগ দ্বারা নির্মিত হয়েছিল। চলচ্চিত্রটি বহু শতাব্দী জুড়ে বিশিষ্ট লেখকদের কাহিনী অবলম্বনে নির্মিত হয়েছিল যা আমাদের দেশের মহিলা লোকের প্রতি অবহেলা ও উদাসীনতা তুলে ধরেছিল। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের "জিবিতো ও মৃটো" দিয়ে শুরু করে, এটি শরৎচন্দ্র চ্যাটারজি, গৌর কিশোর ঘোষ, প্রফুল্ল সেন এবং দিব্যেন্দু পালিতের মতো অন্যান্য উল্লেখযোগ্য বাঙালি লেখকদের গল্পও অন্তর্ভুক্ত করেছিল। পাঁচ অভিনেত্রী কেন্দ্রীয় চরিত্রে অভিনয় করেছিলেন এবং টালিগঞ্জের কে ছিলেন তার সমর্থিত ছিলেন এতে জিত, দেবশ্রী রায়, অর্জুন চক্রবর্তী, রিতা কৈরাল, জ্ঞানেশ মুখোপাধ্যায়, অমিত ব্যানার্জি, কৌশিক সেন, জয় বদলানি, পাপিয়া সেন এবং আরও অনেকেই ছিলেন। পরিচালক এই বার্তাটি বলতে চেয়েছিলেন যে অসাধারণ বৈজ্ঞানিক অগ্রগতি সত্ত্বেও, এক শতাব্দীর ব্যবধানে নারীর প্রতি মনোভাব খুব বেশি বদলায়নি।
 
তপন সিনহার বিষয়ে রাজা সেনের প্রামাণ্যচিত্রটি চলচ্চিত্র নির্মাতার স্বাধীনতার শিরোনামে রয়েছে। সিংহসিং একটি গোয়েন্দা টিভি সিরিয়াল হুতুমার নকশায় তৈরি করেছিলেন সৌমিত্র চ্যাটারজি, মনোজ মিত্র, ধীমান চক্রবর্তী, রবি ঘোষ প্রমুখ।
 
সিনহার স্ত্রী, চলচ্চিত্র নির্মাতা অরুন্ধুতি দেবী ১৯৯০ সালে মারা যান।
১০৫ নং লাইন:
 
== চলচ্চিত্র জীবন ==
সিনহার প্রথম ছবি অঙ্কুশ নারায়ণ গাঙ্গুলির গল্প সৈনিক অবলম্বনে নির্মিত, কেন্দ্রীয় চরিত্রে একটি হাতি ছিল। তার পরবর্তী ছবি উপহার এ উত্তম কুমার, মঞ্জু দে, সাবিত্রী চট্টোপাধ্যায় এবং নির্মলকুমার অভিনয় করেছিলেন। তপন সিংহেরসিংের চতুর্থ ছবি রবীন্দ্রনাথের ছোটগল্প নিয়ে কাবুলিওয়ালা (১৯৫৭)। তপন সিংহসিং রাতারাতি বাঙালি দর্শক সমাজের মন জয় করে ফেলেন। ছবিটি শ্রেষ্ঠ ভারতীয় ছবি হিসেবে রাষ্ট্রপতির স্বর্ণপদক এবং শ্রেষ্ঠ বাংলা ছবি হিসেবে রৌপ্যপদক পেল। তপন সিংহেরসিংের খ্যাতি দেশজুড়ে ছড়িয়ে পড়ল। এছাড়া বার্লিন চলচ্চিত্র উৎসবে শ্রেষ্ঠ আবহসংগীতের জন্য রবিশঙ্কর পেলেন রৌপ্য ভাল্লুক পুরস্কার ।
 
১৯৫৮ সালে তপন সিংহসিং পরিচালিত লৌহ-কপাট জরাসন্ধের লেখা জেল কয়েদিদের জীবনের করুণ আলেখ্য। মতামত আর আবেগের কাহিনী। ছবিটি  কলকাতার রূপবাণী-অরুনা-ভারতী হল তিনটিতে বেশ অনেকদিন ধরে চলেছিল।
 
ক্ষণিকের অতিথি (১৯৫৯) একটি বিয়োগান্তক প্রেমের কাহিনী, সেই সঙ্গে মানবিক আবেদনেও ভরপুর। এই ছবির কাহিনীকার তপন সিংহসিং নিজেই (নির্মল কুমার সেনগুপ্ত ছদ্মনামে)।
 
১৯৬১ সালে, ঝিন্দের বন্দি বাংলা সাহিত্যের সুপরিচিত সাহিত্যিক শরদিন্দু বন্দ্যোপাধ্যায়ের একই নামের উপন্যাস অবলম্বনে নির্মিত। অভিনেতাদের মধ্যে ছিলেন উত্তম কুমার, অরুন্ধতী দেবী, সৌমিত্র চ্যাটার্জী, রাধামোহন ভট্টাচার্য, তরুণ কুমার, দিলীপ রায়, সন্ধ্যা রায়। উত্তম ও সৌমিত্র প্রথম এই সিনেমায় একসঙ্গে অভিনয় করেছিলেন। সৌমিত্র প্রথমবার ভিলেন "ময়ূরবাহন" চরিত্রে অভিনয় করেছিলেন।
 
ঝিন্দের বন্দী তে উত্তম-সৌমিত্র জুটির অভিনয়ের পর তপন সিংহসিং এবার হাত দিলেন হাঁসুলী বাঁকের উপকথা-এ (১৯৬২)। ছবিটিতে এত চরিত্র যে, চরিত্র চিত্রণই ছিল খুব কঠিন কাজ। আর সে কাজও অসাধারণভাবে করেছিলেন তপন সিংহ।সিং। [[তারাশঙ্কর বন্দ্যোপাধ্যায়|তারাশঙ্কর বন্দ্যোপাধ্যায়ের]] লেখা [[হাঁসুলি বাঁকের উপকথা|হাঁসুলী বাঁকের উপকথা]] ছিল বীরভূমের লাভপুরকে কেন্দ্র করে লেখা। সেখানেই শ্যুটিং হয়েছিল এই ছবির। কোপাই নদী যেখানে হাঁসুলীর মত বাঁক নিয়েছে, সেখানেও কাজ হয়েছিল। প্রত্যেকটি চরিত্র ছিল জীবন্ত। ছবিতে কোন ডাবিং হয়নি, পুরোটাই আউটডোর সাউন্ড রাখা হয়েছিল। ছবির জন্য গানগুলো লিখেছিলেন তারাশঙ্কর বন্দ্যোপাধ্যায়। এই ছবিটি ১৯৬২ সালে সান ফ্রান্সিস্কো ফেস্টিভ্যালে পুরস্কার পেয়েছিল। এই উৎসবে তপন সিংহওসিংও একজন জুরি ছিলেন। ওখানকার মেয়র তপন সিংহরসিংর হাতে ওই শহরের চাবি তুলে দিয়ে সম্মান জানিয়েছিলেন ।
 
নির্জন সৈকেতে ছবিতে (১৯৬৩) অনিল চ্যাটার্জি, শর্মিলা ঠাকুর, ছায়া দেবী, রুমা গুহ ঠাকুরতা, ভারতীদেবী, রেণুকাদেবী, রবি ঘোষ, পাহাড়ি সান্যাল, নবদ্বীপ হালদার এবং জহর গাঙ্গুলির মতো শিল্পী অভিনয় করেছেন। এটি ভ্রমণ কাহিনী, কালকূটের (সমরেশ বসুর ছদ্মনাম ) একই নামের উপন্যাসের উপর ভিত্তি করে নির্মিত।
 
১৯৬৪ সালে তপন সিংহসিং সুবোধ ঘোষের ছোটগল্প জতুগৃহ - এর চিত্র রূপ দেন। সুবোধ ঘোষের ছোট গল্পটি এক মধ্যবিত্ত মাঝ বয়সী দম্পতির বিবাহ বিচ্ছিন্নতার কাহিনী। সংযত আবেগের হীরক দ্যুতিতে উজ্জ্বল এই ছোটগল্পটিকে ছবির প্রয়োজনে পরিচালক অনেকখানি বাড়িয়ে নিলেন, পাশাপাশি আরও দুটি দম্পতির কাহিনীও জুড়ে দিলেন। সুবোধ ঘোষের কাহিনী তার তীক্ষ্ণতা কিছুটা হারালেও, ছবিটি একটি পরিচ্ছন্ন আবেগধর্মী শিল্পসৃষ্টি হতে পেরেছিল। মধ্যবিত্ত পরিশীলিত দর্শক এই ছবিটিকে মর্যাদার সঙ্গে গ্রহণ করেছিল। শতদল ও মাধুরীর মত দুটি সৎ এবং হৃদয়বান চরিত্রে উত্তম কুমার এবং অরুন্ধতী দেবীর অভিনয় অসাধারণ।
 
১৯৬৬ সালে তপন সিংহসিং এর নিজের লেখা গল্প নিয়ে মজাদার ফ্যান্টাসি [[গল্প হলেও সত্যি (১৯৬৬-এর চলচ্চিত্র)|গল্প হলেও সত্যি]] এক সমাজমনস্ক শিল্পীর রূপক ধর্মী ইচ্ছাপূরণের কাহিনী, জনগণকে যা প্রচুর পরিমাণে নির্মল আনন্দ দিতে পেরেছিল।এই ছবিতে বিখ্যাত অভিনেতা রবি ঘোষ শ্রেষ্ঠাংশে অভিনয় করেন। গল্প হলেও সত্যি শেষ পর্যন্ত প্রতিপন্ন হয় ভাঙ্গনশীল সাবেকি একান্নবর্তী পরিবারব্যবস্থার ইউটোপিয়াকে টিকিয়ে রাখার মরিয়া প্রয়াস রূপে। ধনঞ্জয় (চরিত্রায়নে রবি ঘোষ) যে তপন সিংহেরসিংের বয়ানে আদপে কোন চরিত্র নয়, নিছকই এক আইডিয়ামাত্র (যার আবির্ভাব এবং অন্তর্ধান উভয়ই কুয়াশার প্রেক্ষাপটে)।
 
১৯৬৭ সালে তপন সিংহসিং নির্মাণ করেন বনফুলের উপন্যাস অবলম্বনে হাটে বাজারে। অশোককুমার এবং বৈজয়ন্তিমালার মত সর্বভারতীয় গ্ল্যামারস অভিনেতা নিলেও তাদের দিয়ে পরিচালক অভিনয় করিয়েছিলেন একেবারে চরিত্রপোযোগী । নাটকের জগতের মানুষ অজিতেশ বন্দ্যোপাধ্যায়, খলনায়কের ভূমিকায় অসাধারণ অভিনয় করেছিলেন। হাটে বাজারে সর্বভারতীয় শ্রেষ্ঠ ছবি হিসেবে রাষ্ট্রপতির স্বর্ণপদক পায় এবং ক্যাম্বোডিয়ার নমপেন-এ এশিয়ান চলচ্চিত্র উৎসবে গভীর মানবিক আবেদনের জন্য একটি রৌপ্যপদক পায়।
 
১৯৭০ সালে তপন সিংহসিং নির্মাণ করেন সাগিনা মাহাতো, কাহিনীকার গৌরকিশোর ঘোষ। চিত্র সমালোচক অমিতাভ চট্টোপাধ্যায়ের ক্রুদ্ধ আক্রমণ.... "এরপর তপন সিংহসিং আরেকটি কীর্তি করলেন গৌরকিশোর ঘোষের কুখ্যাত এবং অসদুদ্দেশ্য-প্রণোদিত গ্রন্থ সাগিনা মাহাতো অবলম্বনে ছবি তুলতে গিয়ে। ছবিতে শ্রমিক আন্দোলনকে যেভাবে চিত্রিত করা হয়, তার সঙ্গে বাস্তবের কোন মিল নেই। বোম্বে থেকে আমদানি করা হলো "স্টার"দের। মূল গল্প থেকে চিত্রনাট্য অনেক পালটাতে হলো রাজনৈতিক চাপে পড়ে। তবুও সত্যিকারের সংগ্রামী শ্রমিক চরিত্র সৃষ্টি হলো না। শ্রমিক আন্দোলনের বিকৃত চেহারা এবং সবাইকে ছেড়ে একজনকে "হিরো" বানাবার অযৌক্তিক প্রয়াস দেখা গেল।" ছবিটি প্রথমে বামপন্থী দর্শকের মনে একটা ধাক্কা দিলও তপন সিংহসিং কিন্তু নিজের জীবন দর্শন থেকে কোনদিনই একচুল বিচ্যুত হননি। আজীবন যা বিশ্বাস করেছেন তার শিল্পকর্মেও তারই প্রতিফলন ঘটেছে। নিজের বিশ্বাসের জগতে তিনি সৎ এবং নীতিনিষ্ঠ ।মস্কো ফিল্ম ফেস্টিভ্যালে এই ছবি অ্যাফ্রো-এশিয়ান অ্যাওয়ার্ড পায়।
 
১৯৮০ সালে মনোজ মিত্রের লেখা নাটক “সাজানো বাগান” -অবলম্বনে তপন সিনহা ‘বাঞ্ছারামের বাগান’ ছবি বানান৷ তাতে বাঞ্ছারামের ভূমিকায় তার অসাধারণ অভিনয়ের জন্য দর্শকদের কাছে জনপ্রিয় হয়ে ওঠেন মনোজ মিত্র।
 
১৯৮১ সালে তপন সিংহসিং পরিচালনা করেন আদালত ও একটি মেয়ে। কাহিনীকার তপনবাবু নিজেই। আদালত ও একটি মেয়ে একটি সামাজিক অবক্ষয়ের ছবি। ছবির বিষয়বস্তু ধর্ষণ এবং তার বিচার। মুখ্য ভূমিকায় অভিনয় করেন তনুজা। এই ছবিটি শ্রেষ্ঠ বাংলা চলচ্চিত্রের জন্য জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার অর্জন করে।
 
১৯৯১ সালে ডক্টর সুভাষ মুখোপাধ্যায়ের জীবন ও কর্মের ওপর ভিত্তি করে লেখা রমাপদ চৌধুরীর উপন্যাস 'অভিমন্যু' নিয়ে ছবি করেন তপন সিনহা। তার জীবনর ঘটনা নিয়ে তপন সিনহা এক ডক্টর কি মউত নামক হিন্দি চলচ্চিত্রটি পরিচালনা করেন।
 
১৯৯৪ সালে তপন সিংহসিং পরিচালনা করেন হুইল চেয়ার। হুইল চেয়ারে রয়েছে প্রতিবন্ধকতার বিরুদ্ধে অপরাজেয় মানুষের দুঃসাহসিক সংগ্রামের কাহিনী। শারীরিক প্রতিবন্ধকতা সত্ত্বেও অক্ষমতার বিরুদ্ধে অসীম মনোবল নিয়ে লড়াই চালিয়ে বেঁচে থাকার আনন্দ খুঁজে নিয়েছেন এই ছবির দুই কেন্দ্রীয় চরিত্র। হুইল চেয়ার বুক থেকে পায়ের আঙ্গুল পর্যন্ত বিকলাঙ্গ একটি যুবতী মেয়েকে স্বাভাবিক করে তোলার এক অমানুষিক যুদ্ধের কাহিনী।
 
==ছবির তালিকা==
১৭১ নং লাইন:
* {{আইএমডিবি নাম}}
 
{{তপন সিংহসিং}}
{{শিল্পকলায় পদ্মশ্রী পুরস্কার প্রাপক}}
{{কর্তৃপক্ষ নিয়ন্ত্রণ}}