শ্রীকৃষ্ণকীর্তন: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
সম্পাদনা সারাংশ নেই
ট্যাগ: পুনর্বহালকৃত তথ্য অপসারণ ইমোজি মোবাইল সম্পাদনা মোবাইল ওয়েব সম্পাদনা
103.170.183.24 (আলাপ)-এর সম্পাদিত সংস্করণ হতে মো. তামিম আহমদ-এর সম্পাদিত সর্বশেষ সংস্করণে ফেরত
ট্যাগ: পুনর্বহাল মোবাইল সম্পাদনা মোবাইল ওয়েব সম্পাদনা উচ্চতর মোবাইল সম্পাদনা
১ নং লাইন:
{{বাংলা সাহিত্য}}
'''শ্রীকৃষ্ণকীর্তন''' হল [[বড়ু চণ্ডীদাস]] রচিত একটি [[মধ্যযুগীয় বাংলা সাহিত্য|মধ্যযুগীয় বাংলা কাব্য]]। এটি আদি মধ্যযুগীয় তথা প্রাক্-[[চৈতন্য মহাপ্রভু|চৈতন্য]] যুগে [[বাংলা ভাষা|বাংলা ভাষায়]] লেখা একমাত্র আখ্যানকাব্য এবং [[বৌদ্ধধর্ম|বৌদ্ধ]] সহজিয়া সংগীত-সংগ্রহ [[চর্যাপদ|চর্যাপদের]] পর আদি-মধ্যযুগীয় বাংলা ভাষার আবিষ্কৃত দ্বিতীয় প্রাচীনতম নিদর্শন। ১৯০৯ খ্রিস্টাব্দে [[বসন্তরঞ্জন রায় বিদ্বদ্বল্লভ]] [[বাঁকুড়া জেলা|বাঁকুড়া জেলার]] কাঁকিল্যা গ্রামের একটি গোয়ালঘর থেকে এই কাব্যের খণ্ডিত পুথিটি আবিষ্কার করেন। ১৯১৬ খ্রিস্টাব্দে তাঁরই সম্পাদনায় [[বঙ্গীয় সাহিত্য পরিষদ]] থেকে পুথিটি গ্রন্থাকারে প্রকাশিত হয়। তিনি এই পুথির নামকরণ "শ্রীকৃষ্ণকীর্তন" করলেও পুথির মধ্যে একটি চিরকুটে লিখিত '''শ্রীকৃষ্ণসন্দর্ভ''' নামটি দৃষ্টে কোনও কোনও গবেষক পুথিটির নাম "শ্রীকৃষ্ণসন্দর্ভ" রাখারই পক্ষপাতী ছিলেন; যদিও নামটি সংশয়াতীত নয় বলে বর্তমানে কাব্যটিকে "শ্রীকৃষ্ণকীর্তন" নামেই অভিহিত করা হয়।
(( সানি লিওন ))
 
'''শ্রীকৃষ্ণকীর্তন''' হল [[👌👈🤞🤘🤘
শ্রীকৃষ্ণকীর্তন কাব্যের মূল উপজীব্য [[রাধা]] ও [[কৃষ্ণ|কৃষ্ণের]] প্রণয়কাহিনি। সমগ্র কাব্যটি তেরোটি খণ্ডে বিভক্ত: জন্মখণ্ড, তাম্বুলখণ্ড,দানখণ্ড, নৌকাখণ্ড, ভারখণ্ড, ছত্রখণ্ড, বৃন্দাবনখণ্ড, কালিয়দমন খণ্ড, যমুনাখণ্ড, হারখণ্ড, বাণখণ্ড, বংশীখণ্ড ও রাধাবিরহ। রাধাবিরহ অবশ্য মূল কাব্যে প্রক্ষিপ্ত কিনা তা নিয়ে গবেষকদের মধ্যে দ্বিমত রয়েছে। কাব্যের প্রধান তিন চরিত্র রাধা, কৃষ্ণ ও বড়ায়ি। এই বড়ায়ি চরিত্রটি সৃষ্টি করা হয়েছে প্রাচীন [[সংস্কৃত সাহিত্য|সংস্কৃত সাহিত্যের]] "কুট্টনী" জাতীয় চরিত্রটির আদলে। এই তিনটি চরিত্র চিত্রণের দক্ষতার পরিপ্রেক্ষিতে কাব্যটিকে বড়ু চণ্ডীদাসের কবি-প্রতিভার সার্থক নিদর্শন মনে করা হয়। পরবর্তীকালের [[বৈষ্ণব পদাবলি]] সাহিত্যের মাথুর ও ভাবসম্মিলন পর্যায়ের পূর্বাভাস শ্রীকৃষ্ণকীর্তনের রাধাবিরহ অংশের মধ্যে নিহিত।
😱😱😱😋😙
 
মধ্যযুগের আদিপর্বে রচিত এই কাব্যের ভাষা আধুনিক দৃষ্টিকোণ থেকে কিছুটা দুরূহ মনে হলেও বাংলা সাহিত্যের প্রথম যুগের ভাষা হিসেবে তা [[চর্যাপদ|চর্যাপদের]] ভাষা অপেক্ষা অনেক বেশি সাবলীল, স্বাভাবিক ও স্বনির্ভর ছিল। মনে করা হয় যে, বড়ু চণ্ডীদাস সংস্কৃত ভাষা ও সাহিত্যে সুপণ্ডিত ছিলেন। শ্রীকৃষ্ণকীর্তনে যেমন একদিকে [[ভাগবত পুরাণ]] ও [[গীতগোবিন্দম্]] কাব্যের বহু পংক্তির ভাবানুবাদ স্থান পেয়েছে, তেমনই উপমা, রূপক, উৎপ্রেক্ষা প্রভৃতি অলংকারের প্রয়োগেও কবি যথেষ্ট দক্ষতার পরিচয় দিয়েছেন। এই কাব্যের ছন্দের বৈচিত্র্যও লক্ষণীয়। সাত প্রকারের পয়ার ও তিন প্রকারের ত্রিপদী ছন্দের প্রয়োগ দেখা যায় শ্রীকৃষ্ণকীর্তনে। বিষয়বস্তু ও ভাবের দিক থেকে শ্রীকৃষ্ণকীর্তন [[জয়দেব|জয়দেবের]] গীতগোবিন্দম্ ও চৈতন্যোত্তর বৈষ্ণব সাহিত্যের মধ্যে সেতুবন্ধনের কাজটি করেছে। তাছাড়া এই কাব্যে রাধা, কৃষ্ণ ও বড়ায়ির উক্তি-প্রত্যুক্তির মাধ্যমে যে নাটকীয় পরিবেশ সৃষ্টি হয়েছে তার মধ্যে নিহিত রয়েছে পরবর্তীকালের [[বাংলা নাটক|বাংলা নাট্যসাহিত্যের]] বীজও।
 
==পুথি আবিষ্কার==