মুহাম্মদ ইয়াকুব শরীফ: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
সম্পাদনা সারাংশ নেই
সম্পাদনা সারাংশ নেই
১ নং লাইন:
'''মাওলানা মুহাম্মদ ইয়াকুব শরীফ''' বাংলাদেশি একজন শিক্ষক, অধ্যক্ষ, আলেম ও শিক্ষাবিদ ছিলেন। তিনি [[সরকারি মাদ্রাসা-ই-আলিয়া, ঢাকার অধ্যক্ষের তালিকা|ঢাকা আলিয়া মাদ্রাসার]] ৩৮ তম অধ্যক্ষ হিসাবে ১ বছর ও পরবর্তীতে ৪০ তম অধ্যক্ষ হিসাবে ৪ বছর দায়িত্ব পালন করেছিলেন।<ref name=":0" /> এছাড়াও তিনি [[সিলেট সরকারি আলিয়া মাদ্রাসা|সিলেট সরকারি আলিয়া মাদ্রাসার]] অধ্যক্ষ হিসাবেও দায়িত্ব পালন করেছেন। তিনি [[আলিয়া মাদ্রাসা|আলিয়া মাদ্রাসায়]] ধর্মীয় শিক্ষার পাশাপাশি আধুনিক শিক্ষার প্রবর্তন করেন।
 
== জন্ম ও পরিচয় ==
ইয়াকুব শরীফ ১৯২০ সালের ০৯ অক্টোবর নোয়াখালী জেলার [[সেনবাগ উপজেলা]] মইজদীপুর গ্রামে জন্মগ্রহন করেন। তার পিতার নাম মাওলানা বশির উল্লাহ।
 
== শিক্ষাজীবন ==
মাওলানা মুহাম্মদ ইয়াকুব শরীফ, বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ
ইয়াকুব শরীফ সাদেকপুর প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ১ম ও ২য় শ্রেণী এবং অর্জুনতলা প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ৩য় শ্রেণী পর্যন্ত পড়াশোনা করেছেন। এরপর তিনি [[বেগমগঞ্জ উপজেলা]]<nowiki/>র মীর আহম্মদপুর সিনিয়র মাদ্রাসায় ভর্তি হন, এখানে তিনি ৭ম শ্রেণী পর্যন্ত পড়াশোনা করেছেন। এই মাদ্রাসায় পড়াকালীন তিনি আরবি, ইংরেজি বিষয়ের জন্য হাজি মহসিন বৃত্তি ও ব্রিটিশ সরকার কতৃক বৃত্তি পান। এসব বৃত্তির টাকা জমা করে তিনি উচ্চ শিক্ষার জন্য [[মাদ্রাসা-ই-আলিয়া, কলকাতা|কলকাতা আলিয়া মাদ্রাসায়]] ভর্তি হন। কলকাতা মাদ্রাসা থেকে ১৯৪১ সালে আলিম ও ১৯৪৩ সালে ফাজিল পাশ করেন। একই মাদ্রাসা থেকে প্রথম স্থান লাভ করে ১৯৪৫ সালে কামিল পাশ করেন।
 
তিনি মাদ্রাসা পড়াশোনা শেষ করার পরে সাধারণ শিক্ষা লাভ করার জন্য তৎকালীন যশোর জেলার [[সরকারি হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী কলেজ, মাগুরা|মাগুরা কলেজে]] ইন্টারমিডিয়েট ক্লাশে ভর্তি হন। তিনি এখানে [[আব্দুল মালেক উকিল|আবদুল মালেক উকিলকে]] সহপাঠি হিসাবে পেয়েছিলেন। ইন্টারমিডিয়েট পাশ করার পর তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইসলামিক স্টাডিজের অনার্স কোর্সে ভর্তির সুযোগ পান। তিনি ১৯৪৯ সালে অনার্স ও ১৯৫০ সালে এমএ ডিগ্রি অর্জন করেন। বিভাগে ১ম স্থান দখল করার জন্য স্বর্ণপদক পুরস্কার পান।
জন্ম-০৯ অক্টোবর ১৯২০ খ্রীষ্টাব্দঃ মৃত্যু-
 
== কর্মজীবন ==
পিতা- আলহাজ্ব মাওলানা বশির উল্যাহ, গ্রাম-মইজদীপুর।
তিনি কর্মজীবনে বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে চাকুরি করেছেন। ১৯৫৩ সনে ইপিসিএস পরীক্ষায় প্রথম স্থান দখল করে মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ডে যোগদান করেন। তিনি [[আলিয়া মাদ্রাসা|আলিয়া মাদ্রাসায়]] ধর্মীয় শিক্ষার পাশাপাশি আধুনিক শিক্ষার প্রবর্তন করেন। তিনি ১৯৭৩ সালে একবছর ও ১৯৭৯ সালে ৪ বছর সালে ঢাকা সরকারি আলিয়া মাদ্রাসার অধ্যক্ষের দায়িত্ব পালন করেছিলেন। এছাড়াও [[সিলেট সরকারি আলিয়া মাদ্রাসা|সিলেট সরকারি আলিয়া মাদ্রাসায়]] একাধিকবার অধ্যক্ষের দায়িত্ব পালন করেছিলেন। ১৯৮৫ সনে চাকরি থেকে অবসর গ্রহন করেন।
 
তাঁরতার রচিত ১০টি বই এবং অসংখ্য প্রবন্ধ বিভিন্ন পত্রিকা ও প্রকাশনায় মুদ্রিত হয়েছে।<ref name=":0">{{ওয়েব উদ্ধৃতি|শিরোনাম=সেনবাগ উপজেলার উল্লেখযোগ্য ব্যক্তিত্ব|ইউআরএল=http://senbug.noakhali.gov.bd/bn/site/page/AJeB-%E0%A6%AA%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A6%96%E0%A7%8D%E0%A6%AF%E0%A6%BE%E0%A6%A4-%E0%A6%AC%E0%A7%8D%E0%A6%AF%E0%A6%95%E0%A7%8D%E0%A6%A4%E0%A6%BF%E0%A6%A4%E0%A7%8D%E0%A6%AC|সংগ্রহের-তারিখ=১৭ অগাস্ট ২০২২|ওয়েবসাইট=সরকারি বাতায়ন}}</ref>
লেখাপড়া : সাদেকপুর প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ১ম ও ২য় শ্রেণী, অর্জুনতলা প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ৩য় শ্রেণী পাশ করে বেগমগঞ্জ উপজেলার মীর আহম্মদপুর সিনিয়র মাদ্রাসায় ভর্তি হন। এই মাদ্রাসা থেকে হাপ্তুম শ্রেণীতে জামেয়া বৃত্তি পরীক্ষায় প্রথম বিভাগে ২য় স্থান অর্জন করে মাসিক দুই টাকা হারে বৃত্তি লাভ করে। এক বছরের টাকা একত্রে ২৪ টাকা পেয়ে উন্নত শিক্ষা গ্রহনের জন্য কলিকাতা আলিয়া মাদ্রাসায় ভর্তি হন। মাদ্রাসার জুনিয়র বৃত্তি পরীক্ষায় অংশ গ্রহন করে আরবী ও ইংরেজীতে প্রথম স্থান অর্জন করায় দু’টি বৃত্তি লাভ করেন। আরবীর জন্য হাজী মহসিন বৃত্তি দশ টাকা এবং ইংরেজীর জন্য বৃট্রিশ সরকারের বৃত্তি পাঁচ টাকা। কলিকাতা আন্দিরা মাদ্রাসা থেকেই ১৯৪১ সনে আলিম, ১৯৪৩ সনে ফাযিল এবং ১৯৪৫ সনে কামিল পাশ করেন। প্রতিটি পরীক্ষায় তিনি প্রথম শ্রেণিতে প্রথম স্থান অর্জন করেন। এরপর সাধারন শিক্ষা গ্রহনের মানসে তৎকালীন যশোহর জেলার মাগুরা কলেজে আই এ ক্লাশে ভর্তি হন। এই কলেজে তাঁর সহপাঠি ছিলেন নোয়াখালী জেলার কৃতি সন্তান এডভোকেট আবদুল মালেক উকিল (সাবেক মন্ত্রী ও স্পীকার) মাগুরা কলেজ থেকে আই এ পাশ করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ইসলামিক স্টাডিজে অনার্স কোর্সে ভর্তি হন। এখানেও সাবসিডিয়ারী বিষয় রাষ্ট্র বিজ্ঞানের ক্লাসে জনাব মালেক উকিল সহপাঠি হলেন। তিনি ১৯৪৯ সনে অনার্স এবং ১৯৫০ সনে এম, এ পরীক্ষায় প্রথম শ্রেণীতে প্রথম স্থান অধিকার করেন। মেধা সম্পন্ন ফলাফলের জন্য তাঁকে স্বর্ণপদক দেয়া হয় এবং কনভোকেশনে তৎকালীন গভর্নর ফিরোজ খান নুন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চ্যান্সেলর হিসাবে স্বর্ণপদক পরিয়ে দেন।
 
কর্মজীবন : এম এ পাশ করার পর বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে চাকুরী করেছেন। হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষক, মাদ্রাসার সুপারিনটেনডেন্ট ও কলেজের প্রভাষক হিসেবে কাজ করেছেন। ১৯৫৩ সনে ইপিসিএস পরীক্ষায় প্রথম স্থান অর্জন করে মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ডে যোগদান করেন । তিনি মাদ্রাসা ধর্মীয় শিক্ষার পাশাপাশি আধুনিক শিক্ষা প্রবর্তন করেন। পরবর্তিতে তিনি ঢাকা সরকারী আলিয়া মাদ্রাসা এবং সিলেট সরকারী আলিয়া মাদ্রাসায় অধ্যক্ষ পদে নিয়োজিত থাকেন। সরকারী চাকুরী বিধি মোতাবেক ১৯৮৫ সনে চাকুরী থেকে অবসর গ্রহন করেন।
 
তাঁর রচিত ১০টি বই এবং অসংখ্য প্রবন্ধ বিভিন্ন পত্রিকা ও প্রকাশনায় মুদ্রিত হয়েছে।<ref name=":0">{{ওয়েব উদ্ধৃতি|শিরোনাম=সেনবাগ উপজেলার উল্লেখযোগ্য ব্যক্তিত্ব|ইউআরএল=http://senbug.noakhali.gov.bd/bn/site/page/AJeB-%E0%A6%AA%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A6%96%E0%A7%8D%E0%A6%AF%E0%A6%BE%E0%A6%A4-%E0%A6%AC%E0%A7%8D%E0%A6%AF%E0%A6%95%E0%A7%8D%E0%A6%A4%E0%A6%BF%E0%A6%A4%E0%A7%8D%E0%A6%AC|সংগ্রহের-তারিখ=১৭ অগাস্ট ২০২২|ওয়েবসাইট=সরকারি বাতায়ন}}</ref>
 
== তথ্যসূত্র ==