[[File:Bengali Hindu Wedding Sindoor Daan and Ghomta Culture.jpg|থাম্ব|200px|হিন্দু বিবাহে সিঁদুরদান]]
হিন্দু ধর্ম অনুযায়ী, বিবাহের মধ্য দিয়ে একটি পুরুষ ও একটি স্ত্রীলোক এই সংকল্প নেয় ও প্রতিশ্রুতি দেয় যে তারা সারা জীবন ধরে এমনকি সাত জন্ম ধরে একে অপরের সুখ দুঃখে, আনন্দ বেদনায়, বিপদ আপদে একে অপরের পাশে দাঁড়াবে, সব সমান ভাগ করে নেবে, সমব্যথী হবে। এক্ষেত্রে সন্তান ধারণ ও জৌনকর্ম সর্বদাই গৌণ উদ্দেশ্য বলে সব থেকে পরে অন্তরালে রাখা হয়। কারন সন্তান ধারণ সামাজিক প্রয়োজনেই শুধু প্রাধান্য পায়। নিজ বংশ বিস্তার কখনও প্রাধান্য দেওয়া হত না। এই প্রাথমিক সামাজিক ধরনার উপর ভিত্তি করে এই প্রথা চলেছিল। পরবর্তীকালে কিছু অসামাজিক তত্ত্ব গর্হীত ভাবে প্রাধান্য পায় ও গৌন অংশগুলি প্রাধান্য পেয়ে বর্তমান পর্যায়ে পৌঁছায়।
সাধারন অর্থে ছেলেটি মেয়েটির সমস্ত পালনপোষণের দ্বায়িত্ব নেয় এবং মেয়েটি তাদের সংসারের খেয়াল রাখার দ্বায়িত্ব গ্রহণ করে। এইভাবে তারা দুই আলাদা আলাদা মানুষ এক হয়ে নিজেদের বংশ এগিয়ে নিয়ে যায়। বিবাহের লক্ষ হল সংসার ও সন্তানের লালনপালন করে বংশ এগিয়ে নিয়ে যাওয়া। আর এর জন্য একই সময়ে বাইরে থেকে দরকারী জিনিস উপার্জন করে আনা আর ঘরের ভেতরে সংসারের কাজ সামলাতে হয়। যেহেতু একজন মানুষ একই সময়ে এই দুটো কাজ করতে পারে না তাই দুটো কাজ দুজনের মধ্যে বন্টিত বয়ে যায়।যেহেতু পুরুষ বেশি বলবান হয় প্রাকৃতিকভাবেই আর মেয়েরা কোমল প্রকৃতির হয় এবং তাদের গর্ভে সন্তান জন্ম নেয় তাই বাইরে থেকে সংসারের জন্য প্রয়োজনীয় জিনিস উপার্জনের দ্বায়িত্ব পুরুষ নেয় আর ঘরে সংসারের দেখাশোনার দ্বায়িত্ব স্ত্রী নেয়।
দুইজনের মধ্যে ভালবাসা থাকলেই এই কাজগুলো বাধাহীনভাবে সম্পন্ন হয় কিন্তু দুইজনের মাঝে তৃতীয় কেউ আসলে সেই দুইজনের ভালবাসায় ফাটল তৈরী হয়।আর তাতে আগের কাজগুলো করার দ্বায়িত্ববোধ মন থেকে মিটতে শুরু করে। কষ্ট-হিংসার সৃষ্টি হয়।তাতে সংসারের ক্ষতি হয় যার ফলে সন্তানেরও পালন ঠিকভাবে হতে পারে না। আর এখানেই বিবাহের উদ্দেশ্য বিফল হয়ে যায়।এতে [[পরকীয়া]]র মতো অবস্থার সৃষ্টি হতে পারে তাই বিয়ের উদ্দেশ্যকে রক্ষা করতেই বিয়ে শুধু দুইজনের মাঝেই হয়।