শিবাজী: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

বিজাপুর রাজ্যে বিশৃঙ্খলার সুযোগ নিয়ে শিবাজী ১৬৪৭ খ্রিষ্টাব্দে সর্বপ্রথম তোরণা দুর্গটি দখল করে নেন। এরপর তিনি একে একে বড়মতি, রায়গড়, পুরন্দর, প্রভৃতি স্থানের দুর্গগুলি দখল করে নেন। পরিস্থিতির গুরুত্ব উপলব্ধি করে এবং শিবাজীকে উপযুক্ত শিক্ষা দেওয়ার উদ্দেশ্যে বিজাপুরের সুলতান শিবাজীর পিতা শাহজীকে কারারুদ্ধ করেন। এই অবস্থায় শিবাজী দাক্ষিণাত্যের মোঘল শাসককর্তা মুরাদের সাহায্য চান। বিজাপুরের সুলতান ভীত হয়ে শাহজীকে মুক্ত করে দেন। কিছুকাল শিবাজী নিশ্চুপ থাকেন। ১৬৫৬ খ্রিষ্টাব্দে দাক্ষিণাত্যের শাসনকর্তা ঔরাঙ্গজেবের সঙ্গে বিজাপুরের সুলতানের সংঘাতের সুযোগ নিয়ে শিবাজী জাওলি নামে এক অঞ্চল দখল করেন। ইতিমধ্যে ঔরাঙ্গজেব শাহজাহানের অসুস্থতার সংবাদে দিল্লী চলে গেলে, বিজাপুরের সুলতান শিবাজীকে দমন করার জন্য সেনাপতি আফজল খাঁকে পাঠান। আফজল খাঁ শিবাজীকে শান্তিচুক্তির জন্য শান্তি শিবিরে আমন্ত্রণ জানান। শিবাজী আফজল খাঁরর উপর আস্থা না রেখতে পেরে বাঘনখ নিয়ে যান। সুতরাং তিনি প্রস্তুত হয়েই আফজল খাঁর শিবিরে আসেন। আফজল খাঁ আলিঙ্গনের সুযোগে শিবাজীকে ছুরির আঘাত করতে উদ্দ্যত হলে শিবাজী লোহার তৈরি '<nowiki/>''[[বাঘনখ]]''' অস্ত্রের সাহায্য-এ আফজল খাঁর বক্ষ বিদীর্ণ করেন। সেনাপতির মৃত্যুতে বিজাপুরের সেনাবাহিনী ছত্রভঙ্গ হয়ে পড়ে। সেই সুযোগে শিবাজী কোলাপুর দখল করে নেন।<ref>{{ওয়েব উদ্ধৃতি|ইউআরএল=https://en.m.wikipedia.org/wiki/Shivaji|শিরোনাম=Shivaji - Wikipedia, the free encyclopedia|ওয়েবসাইট=en.m.wikipedia.org|সংগ্রহের-তারিখ=2016-09-08}}</ref>[[File:Death of Afzal Khan.jpg|thumb|শিবাজীর আফজল খাঁকে দমন]]

 

শিবাজীর আফজল হত‍্যায় উদ্বিগ্ন হয়ে মোঘল বাদশা আওরঙ্গজেব বিজাপুরের সঙ্গে সন্ধি করেন। সেই সন্ধি অনুযায়ী মোঘল ও বিজাপুরি সেনা দুদিক থেকে শিবাজীর রাজ‍্য আক্রমণ করে। শিবাজী প্রথমে বিজাপুরের আক্রমণ প্রতিহত করেন এরপর বিজাপুরের সেনাপতি রুস্তম উজ জামানের মাধ্যমে বিজাপুরের সঙ্গে সন্ধি স্থাপন করেন। কিন্তু ততদিনে আওরঙ্গজেবের সেনাপতি শায়েস্তা খাঁ ও যশবন্ত সিং পুনা শহরের দখল নিয়ে নেন। পুনায় শিবাজীর বাড়ি লালমহলে মোঘল সেনাপতি থাকতে শুরু করেন। এই সময় শিবাজী রণকৌশল পালটে শায়েস্তা খাঁকে হঠাৎ আক্রমণের সিদ্ধান্ত নেন। পুনায় শায়েস্তা খাঁর আশি হাজার সৈন‍্যের চোখে ধুলো দিয়ে শিবাজী চারশো মারাঠা সৈন্য সহ লালমহলে প্রবেশ করেন। শিবাজী সরাসরি শায়েস্তা খাঁর শয়নকক্ষে ঢুকে পড়লে শায়েস্তা খাঁ জানলা দিয়ে পালিয়ে যান। যদিও শিবাজীর তরবারির আঘাতে তাঁর তিনটি আঙ্গুল কাটা যায়। শায়েস্তা খাঁর ছেলে, কয়েকজন বেগম মারা যান। মারাঠারা যে পথে এসেছিলেন, সেপথেই ফিরে যান। আওরঙ্গজেবের কাছে এই খবর পৌছোলে তিনি শায়েস্তা খাঁকে সুবা বাংলায় শাস্তিমূলক বদলি করেন।<ref>Name ="News">url=https://indianexpress.com/article/cities/pune/pune-recalls-shivaji-cutting-off-shaista-khans-fingers/lite/&ved=2ahUKEwjqga6R0sT5AhUcxjgGHcqVCPcQFnoECFcQAQ&usg=AOvVaw3u80tfd2uY249osaWs5DGL</ref>