দরিয়া-ই-নূর: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
Bellayet (আলোচনা | অবদান)
++
Bellayet (আলোচনা | অবদান)
২৫ নং লাইন:
নাদের শাহের মৃত্যুর পরে তার দৌহিত্র [[শাহরুখ মির্জা]] উত্তরাধিকার সূত্রে দরিয়া-ই-নূরের মালিক হন। এরপর এটি আলম খান খোজেইমেহের দখলে আসে এবং পরে পারস্যের [[ঝান্ড সম্রাজ্য|ঝান্ড সম্রাজ্যের]] সদস্য [[লুতফ্‌ আলি খান]] ঝান্ডের দখলে আসে। [[কাজার সম্রাজ্য|কাজার সম্রাজ্যের]] প্রতিষ্ঠাতা [[আগা মোহাম্মদ খান]] ঝান্ডদের যুদ্ধে পরাজিত করলে দরিয়া-ই-নূরও কাজারদের দখলে চলে আসে। [[ফাতেহ আলি শাহ]] কাজার তার নাম হীরা এক পিঠে খোদাই করান। পরবর্তীতে [[নাসের-আল-দীন শাহ]] কাজার এটি প্রায়ই তার বাহুবন্ধনীতে পড়তেন। তিনি বিশ্বাস করতে এটি হীরা [[সাইরাস]] রাজমুকুটকেও সুশোভিত করেছিল। যখন রাজকীয় রীতিতে বাহুবন্ধনীর রেওয়াজ কমে আসে তখন তিনি এটি তার পোষাকে পিনের সাথে পরিধান করতেন। বিভিন্ন সময়ে এই রত্ন সম্মানের প্রতীক হিসেবে রাজ্যের সম্মানী ব্যাক্তিদের কাছে গচ্ছিত রাখা হয়েছে। ১৯০২ সালে [[ইউরোপ]] ভ্রমণের সময় শাসক [[মোজাম্মর আল-দীন শাহ কাজার]] এ হীরাটি তার [[হ্যাট|হ্যাটের]] অলঙ্কার হিসেবে পরিধানের আগ পর্যন্ত এটি [[গুলিস্তান প্রাসাদ|গুলিস্তান প্রাসাদের]] কোষগারে লুকায়িত ছিল। [[পাহলভি সম্রাজ্য|পাহলভি সম্রাজ্যের]] প্রতিষ্ঠাতা [[রেজা শাহ]] ১৯২৬ সালে তার রাজ্যভিষেকের সময় এই হীরাটি তার সামরিক টুপিতে অলঙ্কার হিসেবে ব্যবহার করেন, এবং ১৯৬৭ সালেও মোহাম্মদ রেজা শাহ পাহলভির রাজ্যভিষেক অনুষ্ঠানে ব্যবহার করা হয়।
 
==সম্ভাব্য সম্পৃক্ততাসংশ্লিষ্টতা==
১৯৬৫ সালে কানাডীয় এক গবেষক দল প্ররস্যের রাজমুকুটের রত্ন সম্পর্কিত একটি গবেষণায় বলা হয়েছিল, দরিয়া-ই-নূর একোটি বড় গোলাপি হীরার অংশ ছিল এবং তা মুঘল সম্রাট [[শাহজাহান|শাহজাহানের]] এর সিংহাসনে খচিত ছিল। ফরাসি জোহোরি জিন-বাপ্টিস্ট তাভেরনিয়ের ১৬৪২ খ্রিস্টাব্দের এক জার্নালে এ সম্পর্কে বর্ণনা রয়েছে, যিনি একে "Diamanta Grande Table" নামে ডেকেছেন। হীরাটি হয়তো দুই ভাগে কাটা হয়েছে; বড় ভাগটি দরিয়া-ই-নূর ("আলোর সাগর"); ছোট অংশটি [[নূর-আল-আইন]] হীরা যার ওজন মনে করা হয় ৬০ ক্যারেট (১২ গ্রাম), যা বর্তমানে ইরানের ইম্পেরিয়া কালেশনে একটি [[টায়রা|টায়রায়]] খচিত রয়েছে।