দরিয়া-ই-নূর: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
বহিঃসংযোগ & Robot Adding
Bellayet (আলোচনা | অবদান)
২৩ নং লাইন:
১৭৩৯ খ্রিস্টাব্দে প্রারস্যের শাসক [[নাদির শাহ]] ভারতের উত্তরাঞ্চল আক্রমণ করে [[দিল্লী]] দখল করে নেয় এবং বহু দিল্লীবাসীকে হত্যা করে। মূঘল সম্রাট মোহাম্মদের কাছে রাজশক্তি ফিরিয়ে দেওয়ার বিনিময়ে নাদির শাহ [[কোহিনূর হীরা]], [[ময়ূর সিংহাসন|ময়ূর সিংহাসনের]] সাথে দরিয়া-ই-নূর সহ মুঘল সম্রাটের সম্পূর্ণ বিপুল ধন-রত্নে পরিপূর্ণ কোষগার দখল করে নেয়। নাদির শাহ এ সমস্ত ধনরত্ন তার সাথে করে ইরান নিয়ে যান এবং দারিয়া-ই-নূর সেই থেকে সেখানেই রয়েছে।
 
নাদের শাহের মৃত্যুর পরে তার দৌহিত্র [[শাহরুখ মির্জা]] উত্তরাধিকার সূত্রে দরিয়া-ই-নূরের মালিক হন। এরপর এটি আলম খান খোজেইমেহের দখলে আসে এবং পরে পারস্যের [[ঝান্ড সম্রাজ্য|ঝান্ড সম্রাজ্যের]] সদস্য [[লুতফ্‌ আলি খান]] ঝান্ডের দখলে আসে। [[কাজার সম্রাজ্য|কাজার সম্রাজ্যের]] প্রতিষ্ঠাতা [[আগা মোহাম্মদ খান]] ঝান্ডদের যুদ্ধে পরাজিত করলে দরিয়া-ই-নূরও কাজারদের দখলে চলে আসে। [[ফাতেহ আলি শাহ]] কাজার তার নাম হীরা এক পিঠে খোদাই করান। পরবর্তীতে [[নাসের-আল-দীন শাহ]] কাজার এটি প্রায়ই তার বাহুবন্ধনীতে পড়তেন। তিনি বিশ্বাস করতে এটি হীরা [[সাইরাস]] রাজমুকুটকেও সুশোভিত করেছিল। যখন রাজকীয় রীতিতে বাহুবন্ধনীর রেওয়াজ কমে আসে তখন তিনি এটি তার পোষাকে পিনের সাথে পরিধান করতেন। বিভিন্ন সময়ে এই রত্ন সম্মানের প্রতীক হিসেবে রাজ্যের সম্মানী ব্যাক্তিদের কাছে গচ্ছিত রাখা হয়েছে। ১৯০২ সালে [[ইউরোপ]] ভ্রমণের সময় শাসক [[মোজাম্মর আল-দীন শাহ কাজার]] এ হীরাটি তার [[হ্যাট|হ্যাটের]] অলঙ্কার হিসেবে পরিধানের আগ পর্যন্ত এটি [[গোলিস্তান প্রাসাদ|গোলিস্তান প্রাসাদের]] কোষগারে লুকায়িত ছিল। [[পাহলভি সম্রাজ্য|পাহলভি সম্রাজ্যের]] প্রতিষ্ঠাতা [[রেজা শাহ]] ১৯২৬ সালে তার রাজ্যভিষেকের সময় এই হীরাটি তার সামরিক টুপিতে অলঙ্কার হিসেবে ব্যবহার করেন, এবং ১৯৬৭ সালেও মোহাম্মদ রেজা শাহ পাহলভির রাজ্যভিষেক অনুষ্ঠানে ব্যবহার করা হয়।
 
 
{{অসম্পূর্ণ}}