বৈষ্ণব পদাবলি: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
হটক্যাটের মাধ্যমে বিষয়শ্রেণী:হিন্দু সঙ্গীত যোগ
ট্যাগ: মোবাইল সম্পাদনা মোবাইল ওয়েব সম্পাদনা
৪ নং লাইন:
বৈষ্ণব কবিতার মুখ্য বিষয় রাধা ও কৃষ্ণের ভালোবাসা।তাঁরা একে অপরকে চায়।পাওয়ার আকুলতা প্রকাশ করে।কিন্তু তাঁদের মিলনের মাঝে পাহাড়সম বাঁধা।এই বাঁধা সরাতে চেয়েছেন কবিরা।
শ্রীকৃষ্ণ হলেন সৎ-চিৎ-আনন্দের মূর্তিমান বিগ্রহরূপ পরমাত্মা।রাধা তারই প্রকাশাত্মিকা শক্তিরূপ জীবাত্মা।শ্রীকৃষ্ণের হ্লাদিনী অংশ সঞ্জাত রাধা সৃষ্টি হয়েছেন তারই
লীলাসুখানুভবের জন্য।শ্রীরাধা আয়ান বধূ।তাই শ্রীকৃষ্ণের সাথে তার প্রেম অসামাজিক, পরকীয়া।জীবও তেমনই তত্ত্বের দিক থেকে শ্রীকৃষ্ণের স্বকীয় হলেও রূপ-রস-গন্ধযুক্ত জগতের সঙ্গে সে এমনই নিবিড়ভাবে আবদ্ধ যে সে তার স্বকীয়তা ভুলে যায়।সেই ভুল ভাঙলে জীব ভগবানের ডাকে সাড়া দেয়, তখন ঘটে তার অভিসার।জাগতিক ভাবে এটি পরকীয়া অভিসার।এভাবেইভাবলেও,পারমার্থিক অর্থে এটি ঈশ্বরে বিলীন হওয়ার প্রেম।এভাবেই তৈরী হয়েছে বৈষ্ণব পদাবলীর তত্ত্ব। বৈষ্ণব পদাবলিতে পরমাত্মার সাথে জীবাত্মার মিলনই মুখ্য।
 
হুমায়ুন আজাদ লিখেছেন,"বৈষ্ণব কবিতায় এসে দেখা যায় মনের রাজত্ব,যেনো মন আর তার আকুলতা ছাড়া বিশ্বের সব কিছু মিথ্যে।বৈষ্ণব কবিরা তাঁদের কবিতায় ঘর সংসার সমাজ বিশ্ব সকল কিছুকে মিথ্যে ব'লে ঘোষণা করেছেন;একমাত্র সত্যি ব'লে দেখিয়েছেন হৃদয়কে।তাই বৈষ্ণব কবিতার সর্বত্র দেখা যায় হৃদয়ের জয়।হৃদয়ই বৈষ্ণব পদাবলির বিশ্ব।"