বাংলাদেশের জনশুমারি ও গৃহগণনা ২০২২: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
সংশোধন
৮ নং লাইন:
|topic4=ধর্ম
|topic5=শিক্ষা
|topic6=অর্থনৈতিঅর্থনৈতিক বৈশিষ্ট্য
|topic7=অভিবাসন
|topic8=খানা
১৮ নং লাইন:
}}
 
'''বাংলাদেশের জনশুমারি'''{{efn|পূর্বে বাংলাদেশের "আদমশুমারি" শব্দটি ব্যবহৃত হলেও বর্তমানে সরকারিভাবে "জনশুমারি" ব্যবহৃত হচ্ছে।}} '''ও গৃহগণনা-২০২২''' হচ্ছে বাংলাদেশের জনসংখ্যার [[জনশুমারি|বিস্তারিত গণনার]] লক্ষ্যে অনুষ্ঠিত দেশের ষষ্ঠ জাতীয় আদমশুমারি।<ref name="Init1">{{ওয়েব উদ্ধৃতি |শিরোনাম=১১ বছর পর জনশুমারি, গণনায় ডিজিটাল পদ্ধতি |ইউআরএল=https://www.jagonews24.com/national/news/769869 |ওয়েবসাইট=jagonews24.com |সংগ্রহের-তারিখ=২৭ জুলাই ২০২২ |ভাষা=bn}}</ref><ref name="Init2">{{ওয়েব উদ্ধৃতি|তারিখ=7 April 2022|প্রকাশক=New Age|শিরোনাম=Next population, housing census June 15–21|ইউআরএল=https://www.newagebd.net/article/167496/next-population-housing-census-june-15-21|ইউআরএল-অবস্থা=live|আর্কাইভের-ইউআরএল=https://web.archive.org/web/20220407150322/https://www.newagebd.net/article/167496/next-population-housing-census-june-15-21|আর্কাইভের-তারিখ=7 April 2022|সংগ্রহের-তারিখ=13 April 2022|ওয়েবসাইট=Next population, housing census June 15–21}}</ref><ref name="Init3">{{ওয়েব উদ্ধৃতি|তারিখ=8 April 2022|প্রকাশক=Prothom Alo|শিরোনাম=Sixth population and housing census 15–21 June|ইউআরএল=https://en.prothomalo.com/bangladesh/sixth-population-and-housing-census-15-21-june|ইউআরএল-অবস্থা=live|আর্কাইভের-ইউআরএল=https://web.archive.org/web/20220413221918/https://en.prothomalo.com/bangladesh/sixth-population-and-housing-census-15-21-june|আর্কাইভের-তারিখ=13 April 2022|সংগ্রহের-তারিখ=13 April 2022|ওয়েবসাইট=Sixth population and housing census 15–21 June &#124; Prothom Alo}}</ref> এটি বাংলাদেশের প্রথম ডিজিটাল আদমশুমারি।<ref name="Init1"/> [[বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো|বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর]] তত্ত্বাবধানে ২০২২ সালের ১৫ জুন থেকে ২১ জুন পর্যন্ত এক সপ্তাহব্যাপী অনুষ্ঠিত হয়। সিলেট, সুনামগঞ্জ, মৌলভীবাজা ও নেত্রকোণা জেলায় বন্যা থাকায় ২৮ জুন ২০২২ পর্যন্ত তথ্য সংগ্রহ কার্যক্রম চলমান ছিল। তবে উক্ত আদমশুমারিতে সংগৃহীত তথ্যের মানদণ্ড হিসেবে ১৫ জুন ২০২২ তারিখটি ব্যবহৃত হয়েছে। <ref name="Init1" /><ref name="Init2" /><ref name="Init3" />হয়। দশ বছর পর পর আদমশুমারি হওয়ার ধারাবাহিকতায় ২০১১ সালের পর ২০২১ সালে এই অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা থাকলেও [[কোভিড-১৯ এর বৈশ্বিক মহামারী]], [[সিলেটে বন্যা]] এবং সরঞ্জামের অভাবের কারণে সৃষ্ট জটিলতার ফলে এই আদমশুমারি বিলম্বিত হয়েছে।হয়।
 
ষষ্ঠ ডিজিটাল জনশুমারি ও গৃহগণনা ২০২২ -এর প্রাথমিক ফলাফল ২৭ জুলাই ২০২২ তারিখে ঘোষণা করা হয়েছে।হয়। এতেফলাফল অনুসারে বাংলাদেশের জনসংখ্যা এখন ১৬ কোটি ৫১ লাখ ৫৮ হাজার ৬১৬ জন। এর মধ্যে পুরুষের সংখ্যা ৮ কোটি ১৭ লাখ ১২ হাজার ৮২৪ জন, নারীর সংখ্যা ৮ কোটি ৩৩ লাখ ৪৭ হাজার ২০৬ জন এবং তৃতীয় লিঙ্গের জনগোষ্ঠী ১২ হাজার ৬২৯ জন। <ref>{{ওয়েব উদ্ধৃতি|ভাষা=bn|শিরোনাম=দেশে জনসংখ্যা এখন ১৬ কোটি ৫১ লাখ|ইউআরএল=https://www.ittefaq.com.bd/607495/%E0%A6%A6%E0%A7%87%E0%A6%B6%E0%A7%87-%E0%A6%9C%E0%A6%A8%E0%A6%B8%E0%A6%82%E0%A6%96%E0%A7%8D%E0%A6%AF%E0%A6%BE-%E0%A6%8F%E0%A6%96%E0%A6%A8-%E0%A7%A7%E0%A7%AC-%E0%A6%95%E0%A7%8B%E0%A6%9F%E0%A6%BF-%E0%A7%AB%E0%A7%A7-%E0%A6%B2%E0%A6%BE%E0%A6%96|সংগ্রহের-তারিখ=2022-07-27|ওয়েবসাইট=দৈনিক ইত্তেফাক}}</ref>
 
== পটভূমি ==
২৯ নং লাইন:
২০২১ সালের জুন মাসে [[বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো|পরিসংখ্যান ব্যুরো]] ২০১৮ সালের মাস্টার প্ল্যানে পরিবর্তন করে ও প্রচলিত পদ্ধতির বদলে ডিজিটাল পদ্ধতিতে আদমশুমারি করার সিদ্ধান্ত নেয়। এর ফলে কার্যক্রমের ব্যয় ১১% কমিয়ে ১,৫৭৫ কোটিতে নামিয়ে আনা সম্ভব হবে বলে আশা করা হয়েছিল। অক্টোবর আসলেও ট্যাব কেনাকাটার জটিলতার কারণে তৃতীয় দফার সময় পিছানো হয়।<ref name="১">{{ওয়েব উদ্ধৃতি |শেষাংশ1=রহমান |প্রথমাংশ1=আরিফুর |শিরোনাম=বর্ষায় জনশুমারি, বাড়তি ব্যয় ৩২ কোটি |ইউআরএল=https://www.prothomalo.com/bangladesh/%E0%A6%AC%E0%A6%B0%E0%A7%8D%E0%A6%B7%E0%A6%BE%E0%A7%9F-%E0%A6%9C%E0%A6%A8%E0%A6%B6%E0%A7%81%E0%A6%AE%E0%A6%BE%E0%A6%B0%E0%A6%BF-%E0%A6%AC%E0%A6%BE%E0%A7%9C%E0%A6%A4%E0%A6%BF-%E0%A6%AC%E0%A7%8D%E0%A6%AF%E0%A7%9F-%E0%A7%A9%E0%A7%A8-%E0%A6%95%E0%A7%8B%E0%A6%9F%E0%A6%BF |ওয়েবসাইট=প্রথম আলো |সংগ্রহের-তারিখ=২৭ জুলাই ২০২২ |ভাষা=bn}}</ref>
 
২০২২ সালের মার্চের আগ পর্যন্ত সরঞ্জাম সম্পর্কিত জটিলতা অব্যাহত ছিল এবং মার্চে সরকার প্রয়োজনীয় ট্যাবলেট কেনার অনুমোদন দেয়। পরের মাসে [[বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো|পরিসংখ্যান ব্যুরো]] আদমশুমারির জন্য নতুন সময়সূচি ঘোষণা করে।<ref name="সময়">{{ওয়েব উদ্ধৃতি |শিরোনাম=১৫-২১ জুন দেশব্যাপী ষষ্ঠ জনশুমারি ও গৃহগণনা |ইউআরএল=https://www.banglanews24.com/national/news/bd/933409.details |ওয়েবসাইট=banglanews24.com |সংগ্রহের-তারিখ=২৭ জুলাই ২০২২ |ভাষা=bn |তারিখ=২৯ মে ২০২২}}</ref>
 
== পদ্ধতি ==
বাংলাদেশের ২০২২ সালের আদমশুমারির জন্য ৩,৭০,০০০ গণনাকারী নিয়োগ করা হয়। প্রথমবারের মতো [[ভৌগোলিক তথ্য ব্যবস্থা]] (জিআইএস ম্যাপিং), ট্যাবলেট কম্পিউটার এবং তথ্য-উপাত্ত নথিবদ্ধ করার জন্য একটি কম্পিউটার-সহায়ক ব্যক্তিগত সাক্ষাৎকার ব্যবস্থা ব্যবহারের কারণে এটিই দেশের প্রথম ডিজিটাল আদমশুমারি।<ref name="Init1" /> এই কার্যক্রমের নির্ভুলতা নিশ্চিত করার জন্য ৩৫০ টি নির্বাচিত নমুনা এলাকায় আদমশুমারি-পরবর্তী একটি জরিপ পরিচালনা করা হবে।<ref name="Init1" /> পুরো আদমশুমারি প্রক্রিয়াটি ২০২২ সালের ১৫ জুন থেকে ২১ জুনের মধ্যে সম্পন্ন হয়। তবে ১৫ জুন ২০২২ মধ্যরাতের ভিত্তিতে তথ্য সংগ্রহ করা হয়।<ref name="Init2সময়" /> <ref name="Init3" /> এই শুমারিতে ৩ লাখ ৬৫ হাজার গণনাকারী ও ৬৩ হাজার সুপারভাইজার ছিল।<ref name="১" />
 
== ফলাফল ==
জনশুমারি ও গৃহগণনা ২০২২ এর প্রাথমিক ফলাফল ২৭ জুলাই ২০২২ তারিখে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলনকেন্দ্রে বাংলাদেশ জাতীয় সংসদের স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরী, পরিকল্পনামন্ত্রী জনাব এম. এ. মান্নান, জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী মো. ফরহাদ হোসেন, পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী শামসুল আলম, প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব ড. আহমদ কায়কাউস, পরিসংখ্যন ও তথ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগের সচিব শাহনাজ আরেফিনের উপস্থিতিতে আনুষ্ঠানিকভাবে প্রকাশ করা হয়।

জনশুমারির প্রাথমিক প্রতিবেদন অনুযায়ী, ২০২২ সালে শুমারি মুহূর্তে (১৪ জুন ২০২২ দিবাগত রাত ১২.০০ টায়) দেশের মোট জনসংখ্যা ১৬,৫১,৫৮,৬১৬ জন যার মধ্যে মোট পুরুষের সংখ্যা ৮১,৭১২,৮২৪ জন মহিলার সংখ্যা ৮৩,৩৪৭,২০৬ জন এবং হিজড়ার সংখ্যা ১২,৬২৯ জন। উল্লেখ্য, ২০২২ সালের শুমারিতে ১৭,৫০৭টি খানার ৮৫,৯৫৭ জনের আংশিক তথ্য পাওয়া গেছে। তাই মোট জনসংখ্যা ও লিঙ্গভিত্তিক জনসংখ্যার মধ্যে কিছুটা পার্থক্য রয়েছে। এছাড়া, প্রকাশিত প্রতিবেদন অনুযায়ী দেশে সর্বমোট বাসগৃহের সংখ্যা ৩৫,৯৯০,৯৫১ টি যার মধ্যে পল্লী এলাকায় ২৭,৮১১,৬৬৭টি এবং শহর এলাকায় ৮,১৭৯,২৮৪টি। সর্বাধিক বাসগৃহের সংখ্যা ঢাকা বিভাগে (৮,১১৯,২০৫ টি) এবং সর্বনিম্ন সিলেট বিভাগে (১,৮৮৫,০১৭ টি)।<ref>{{সংবাদ উদ্ধৃতি|ইউআরএল=https://www.bbc.com/bengali/news-62315139|শিরোনাম=জনসংখ্যা সাড়ে ১৬ কোটি, নারীর সংখ্যা বেশি, কমেছে হিন্দু জনগোষ্ঠী|কর্ম=বিবিসি বাংলা|সংগ্রহের-তারিখ=2022-07-27|ভাষা=bn}}</ref>
 
১৯৭৪ সালে অনুষ্ঠিত দেশের প্রথম আদমশুমারিতে (বর্তমানে জনশুমারি) গণনাকৃত জনসংখ্যা ছিল ৭,১৪,৭৯,০৭১ জন যা ৫০ বছরের ব্যবধানে দ্বিগুণেরও বেশি বৃদ্ধি পেয়েছে। এবারের শুমারি অনুযায়ী সর্বাধিক জনসংখ্যা ঢাকা বিভাগে ৪৪,২১৫,১০৭ জন যার মধ্যে পুরুষ, মহিলা ও হিজড়ার সংখ্যা যথাক্রমে ২,২৪,৫৯,৮২২ জন, ২,১৭,২১,৫৫৬ জন ও ৪,৫৭৭ জন এবং সর্বনিম্ন জনসংখ্যা বরিশাল বিভাগে ৯১,০০,১০২ জন যার মধ্যে পুরুষ, মহিলা ও হিজড়ার সংখ্যা যথাক্রমে ৪,৪৩৬,৭৫০ জন, ৪,৬৫৮,৪২১ জন ও ৫৬৩ জন। জনশুমারির প্রাথমিক প্রতিবেদন অনুয়ায়ী সর্বোচ্চ জনসংখ্যা ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনে ৫৯,৭৯,৫৩৭ জন এবং সর্বনিম্ন বরিশাল সিটি কর্পোরেশনে ৪,১৯,৩৫১ জন। ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন সর্বাধিক ঘনবসতিপূর্ণ (প্রতি বর্গ কিলোমিটারে ৩৯,৩৫৩ জন) এবং রংপুর সিটি কর্পোরেশন সর্বনিম্ন ঘনবসতিপূর্ণ (প্রতি বর্গকিলোমিটারে ৩,৪৪৪ জন)।