রেনেসাঁ: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
BanglaBot (আলোচনা | অবদান)
ত্রুটি সংশোধন, আইডি: ৪৬
সম্পাদনা সারাংশ নেই
১৪ নং লাইন:
নিক অর্থ হল পুনর্জন্ম বা পুনর্জাগরণ বা নবজাগরণ। এই যুগের ব্যাপ্তিকাল ছিল আনুমানিক চতু্র্দশ থেকে ষোড়শ শতাব্দী পর্যন্ত। আধুনিক ইউরোপের উদ্ভবের ক্ষেত্রে রেনেসাঁস অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। এটি মূলত একটি দীর্ঘস্থায়ী সমাজ পরিবর্তন প্রক্রিয়া। এই রেনেসাঁসের ভেতর দিয়ে আধুনিক পাশ্চাত্য সভ্যতার উত্থান ঘটেছে এবং একইসঙ্গে অবসান ঘটেছে মধ্যযুগের। প্রচলিত অর্থে রেনেসাঁস বলতে বোঝায় প্রাচীন যুগের গ্রিক ও রোমান সাহিত্য , সংস্কৃতি , দর্শন , প্রযুক্তি , [[বিজ্ঞান]] , শিল্পকলা , ভাস্কর্যকলা প্রভৃতি অধ্যয়ন করা এবং এসবের ভিত্তিতে জীবনকে পরিচালনা করা <ref>Burke, P., ''The European Renaissance: Centre and Peripheries'' 1998)</ref> এ যুগের প্রধান বৈশিষ্ট্য ছিল প্রাচীন পুস্তক অধ্যয়নের অনুশীলন বৃদ্ধি, রাজকীয় ও ধর্মীয় পৃষ্ঠপোষকতার উত্থান{{citation needed}}, চিত্রকলায় দৃষ্টিভঙ্গির ব্যবহার এবং বিজ্ঞানের সামগ্রিক উন্নতি। অর্থাৎ , আর্থ সামাজিক ব্যবস্থার উন্মেষ ও বিকাশ এর মধ্য দিয়ে ইউরোপের সামাজিক জীবনে যে ব্যাপক পরিবর্তনের সূচনা ঘটে , তাকেই বলা হয় রেনেসাঁস। [[ইসলামি স্বর্ণযুগ]] পরে, মধ্য এশিয়ায় [[তিমুরিদ রেনেসাঁ নবজাগরণ]] শুরু হয়, যা [[উসমানীয়]] তুর্কি, [[সাফাভিদ]] ইরান এবং [[মুঘল]] ভারতকে প্রভাবিত করেছিল।<ref name="A Companion to the Worlds of the Renaissance">{{বই উদ্ধৃতি|ইউআরএল=https://books.google.com/books?id=fx0Dlwb18WYC&q=Timurid+renaissance&pg=PA59|শিরোনাম=A Companion to the Worlds of the Renaissance, Guido Ruggiero|তারিখ=15 April 2008|আইএসবিএন=9780470751619|আর্কাইভের-ইউআরএল=https://web.archive.org/web/20161108052706/https://books.google.com/books?id=fx0Dlwb18WYC&pg=PA59&lpg=PA59&dq=Timurid+renaissance&source=bl&ots=oRBca6Ril-&sig=91TIV5mBBnYFwGah_7x6b0NP-jA&hl=en&sa=X&ved=0ahUKEwijusmUk5fQAhVHKsAKHeqdDn8Q6AEITTAI#v=onepage&q=Timurid%20renaissance&f=false|আর্কাইভের-তারিখ=8 November 2016|ইউআরএল-অবস্থা=dead|সংগ্রহের-তারিখ=7 November 2016|শেষাংশ১=Ruggiero|প্রথমাংশ১=Guido}}</ref><ref name="Journal1988">{{সাময়িকী উদ্ধৃতি|ইউআরএল=https://www.cambridge.org/core/journals/international-journal-of-middle-east-studies/article/socioeconomic-bases-of-cultural-patronage-under-the-later-timurids/2A0F3018EE155F23FC4A7F5F25D7DE6D|শিরোনাম=Socioeconomic Bases of Cultural Patronage under the Later Timurids|শেষাংশ=Subtelny|প্রথমাংশ=Maria Eva|তারিখ=November 1988|পাতাসমূহ=479–505|ডিওআই=10.1017/S0020743800053861|সংগ্রহের-তারিখ=7 November 2016|সাময়িকী=International Journal of Middle East Studies|খণ্ড=20|সংখ্যা নং=4}}</ref>
 
অর্থাৎ সহজভাবে বলতে গেলে, অতীত ও বর্তমানের সম্মিলনই রেনেসাঁ। গ্রিক ক্লাসিক্যাল যুগে যে-সব কালজয়ী মহাপুরুষ জন্মগ্রহণ করেছিলেন এবং তাঁরাতারা জ্ঞানের যে আলো ছড়িয়ে দিয়েছিলেন, তাকেই নতুন করে জাগিয়ে, নতুন করে বুঝে, নতুন জ্ঞানের আলো দিয়ে সেই শিক্ষাকে এই রেনেসাঁর মাধ্যমে গ্রহণ করা হয়েছিল।<ref>{{বই উদ্ধৃতি|শিরোনাম=শিল্পকলার ইতিহাস|শেষাংশ=আহমেদ|প্রথমাংশ=কামাল}}</ref>
 
== রেনেসাঁর সূত্রপাত  ==
৬৪ নং লাইন:
'''১১. রেনেসাঁ যুগের চিত্রশিল্পীর প্রভাব:'''
 
এ সময়ে শিল্পকলায় [[জোত্তো দি বন্দোনে|জত্তো]], মেসাচ্চিও, দোনাতেল্লো, জ্যান-ভ্যান আইক, ব্রুনেলেস্কি, মিকেল এঞ্জলো, লিওনার্দো দা ভিঞ্চি, রাফয়েল, গিবার্টি প্রমুখ শিল্পীর আবির্ভাব ঘটে। এঁদের মধ্যে জত্তো চিত্রকলায় ত্রিমাত্রিকতার সৃষ্টি করেন, ব্রুনেলেস্কি পরিপ্রেক্ষিত আর জ্যান-ভ্যান আইক তেল রং আবিষ্কারের ফলে চিত্রকলা এগিয়ে যায় অনন্য উচ্চতায়। এই সময়ের শিল্পী লিওনার্দো দা ভিঞ্চি ছিল একাধারে চিত্রশিল্পী, স্থপতি, ভাস্কর, কবি, সাহিত্যিক, সঙ্গীতজ্ঞ ও বৈজ্ঞানিক। তিনি ছিলেন রেনেসাঁসের প্রতীকি স্বরূপ। তাঁরতার আঁকা ‘[[মোনা লিসা|মোনালিসা]]’ ও ‘[[দ্য লাস্ট সাপার (লিওনার্দো দা ভিঞ্চি)|শেষ ভোজ]]’ শিল্পীদের কাছে আজও বিষ্ময়ের বস্তু। রাফায়েলের ‘এঞ্জেল’ ও মিকেল এ্যাঞ্জেলোর ‘শেষ বিচার’ চিত্রগুলো শিল্পীদের অমূল্য সম্পদ।
 
'''১২. রেনেসাঁ যুগের বিজ্ঞান:'''
৭৩ নং লাইন:
 
=== ১. লিওনার্দো দ্য ভিঞ্চি: ===
রেনেসাঁ যে ক’জন মহান ব্যক্তির সৃষ্টি করেছিল তাঁরতার মধ্যে নিঃসন্দেহে শ্রেষ্ঠ ছিলেন [[লিওনার্দো দা ভিঞ্চি]]। উচ্চ রেনেসাঁ যুগের সর্বশ্রেষ্ঠ তিনজন সৃজনশীল শিল্পীদের মধ্যে তিনি ছিলেন অগ্রগণ্য ও বিশ্বজনীন। তাঁকে শুধু রেনেসাঁ যুগেই নয় সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ একজন শিল্পী হিসেবে আখ্যায়িত করা হয়। তিনি এমন মানসিক শক্তিতে বলিয়ান ছিলেন যে সেসময়ের পরিপ্রেক্ষিতে ছিলেন এক বিস্ময়। তাঁরতার বুদ্ধিবৃত্তি এমন উচ্চস্তরের ছিল যে, সে সময়ের দেহ বিজ্ঞান, নৌ-বিদ্যা এবং বিংশ শতাব্দীর বহু বৈজ্ঞানিক আবিষ্কারের নেপথ্য জনক ছিলেন তিনি। কোন একটা নির্দিষ্ট বিষয় নিয়ে তিনি স্থির থাকতে পারেননি। তাঁরতার কাজের অনন্য বৈশিষ্ট্যগুলোর মূলে রয়েছে রঙের ব্যবহার, উদ্ভাবনী কৌশল, শরীরস্থান, আলো, উদ্ভিদতত্ত¡ এবং ভ‚-তত্ত¡ সম্পর্কে তাঁরতার বিস্তারিত জ্ঞান। একাধারে কবি, দার্শনিক, প্রকৌশলী, স্থপতিবিদ, ভাস্কর, সঙ্গীতজ্ঞ, সমরযন্ত্রশিল্পী, দেহতত্ত¡বিদসহ অন্যান্য পরিচয়েও সুবিদিত এই মানব ইতিহাসের বহু আবিষ্কারের পথিকৃৎ হিসেবে ইতিহাসের পাতায় স্বর্ণোজ্জল দৃষ্টান্ত স্থাপন করে গেছেন।<ref>{{বই উদ্ধৃতি|শিরোনাম=লিওনার্দো দা ভিঞ্চি|শেষাংশ=আলী|প্রথমাংশ=মোবাশ্বের}}</ref>
 
=== ২. মাইকেল এঞ্জেলো: ===
[[মাইকেলেঞ্জেলো|মাইকেল এঞ্জেলো]] রেনেসাঁ যুগের একজন ইতালীয় ভাস্কর, চিত্রকর, স্থপতি এবং কবি। তাঁরতার পুরো নাম মিকেল এঞ্জেলো দি লোদোভিকো বুনোরত্তি সিমোনি। তাঁরতার বৈচিত্রময়তার ব্যাপ্তি এবং বিস্তৃতির কারণে তাঁকে রেনেসাঁ মানব বলে বর্ননা করা হয়। তাঁরতার জীবিতকালেই তাঁকে শ্রেষ্ঠ জীবিত শিল্পী হিসেবে বিবেচনা করা হত এবং ইতিহাসেও তাঁকে সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ শিল্পীদের একজন হিসেবে ধরা হয়। ষোড়শ শতাব্দীর শিল্পীদের মধ্যে তাঁরইতারই বিভিন্ন কাজ ও খসড়া চিত্র বেশি পরিমাণে সংরক্ষিত আছে।
 
=== ৩. রাফায়েল: ===
উচ্চ রেনেসাঁর শিল্পীগণের মধ্যে স্বাতন্ত্র্যের অধিকারী ছিলেন [[রাফায়েল]]। তাঁরতার বেড়ে ওঠার ধরনটি ছিল অনেকটা পঞ্চদশ শতাব্দীর শিল্পীদের মতো। যদিও তিনি লিওনার্দো ও মিকেল এঞ্জেলোর দ্বারা প্রভাবিত হয়েছিলেন তথাপি তিনি নিজে এক স্বকীয় ধারা নির্মাণ করতে সক্ষম হন। উপরন্তু উচ্চ রেনেসাঁর শিল্পকর্মের সাথে তাঁরতার শিল্পকর্ম যথেষ্ট সাযুজ্যপূর্ণ। যাঁর কাছ থেকেই শিখুন না কেন তাঁরতার শক্তিশালী রীতি সবসময়ই  তাঁরতার শিল্পকর্মের মাঝে অনুধাবন করা যায়।
 
== তথ্যসূত্র ==