|
| website = <!-- {{URL|example.com}} -->
}}
'''গোপেশ্বর বন্দ্যোপাধ্যায়''' (১৮৮০-১৯৬৩) একজন [[ভারতীয় শাস্ত্রীয় সংগীত]] গায়ক এবং সংগীতজ্ঞসঙ্গীতজ্ঞ ছিলেন। তিনি [[হিন্দুস্তানি শাস্ত্রীয় সংগীত|হিন্দুস্তানি শাস্ত্রীয় সংগীতের]] [[বিষ্ণুপুর ঘরানা]]য় গান গাইতেন, যার উদ্ভব পশ্চিমবঙ্গের [[বিষ্ণুপুর, বাঁকুড়া|বিষ্ণুপুর]] থেকে।<ref name="KuppuswamyHariharan1979">{{বই উদ্ধৃতি|লেখক১=Gowri Kuppuswamy|লেখক২=Muthuswamy Hariharan|শিরোনাম=Readings on Indian music|ইউআরএল=https://books.google.com/books?id=2_QHAQAAMAAJ|পাতা=126|বছর=1979|প্রকাশক=College Book House}}</ref> তিনি [[রবীন্দ্রসঙ্গীত]] ছাড়াও [[খেয়াল]] এবং [[ধ্রুপদ]] গানের জন্য খ্যাতিমান ছিলেন। তিনি [[ঠুংরী]]ও গাইতেন এবং তার গাওয়া একটি বিখ্যাত ঠুংরী হল [[খাম্বাজ|মিশ্র খাম্বাজ]] রাগের ''কন গলি গ্যায়ো শ্যাম''। গানটি খুব জনপ্রিয় হয়েছিল।<ref name="tele">{{ওয়েব উদ্ধৃতি | শিরোনাম = Sweet tributes to music | লেখক = M. Ganguly | ইউআরএল = http://www.telegraphindia.com/1080507/jsp/jharkhand/story_9235797.jsp | প্রকাশক = The Telegraph | তারিখ = 7 May 2008 | সংগ্রহের-তারিখ = 19 July 2013 | আর্কাইভের-তারিখ = ২ মে ২০১৪ | আর্কাইভের-ইউআরএল = https://web.archive.org/web/20140502002359/http://www.telegraphindia.com/1080507/jsp/jharkhand/story_9235797.jsp | ইউআরএল-অবস্থা = অকার্যকর }}</ref> সংগীতজ্ঞসঙ্গীতজ্ঞ হিসাবে তিনি ''ধ্রুপদ'' ও রবীন্দ্রসঙ্গীতের [[স্বরলিপি]]সহ কয়েকটি বিরল গানের বই প্রকাশ করেছিলেন।
তিনি ১৮৯৫ সালে [[বর্ধমানের মহারাজা]]র সভায় সংগীতশিল্পীসঙ্গীতশিল্পী হিসাবে তার সঙ্গীত জীবন শুরু করেছিলেন এবং ১৯২৪ সাল পর্যন্ত ২৯ বছর ধরে সেখানে কাজ করেছিলেন। এরপরে তিনি কলকাতায় চলে আসেন। তার সঙ্গীত জীবনের শেষের দিকে, ১৯৬২ সালে তাঁকে [[সংগীত নাটক আকাদেমি ফেলোদের তালিকা|সংগীত নাটক আকাদেমি ফেলোশিপে]] ভূষিত করা হয়েছিল, এটি ভারতের জাতীয় সংগীতসঙ্গীত, নৃত্য ও নাটক একাডেমি [[সংগীত নাটক আকাদেমি]]র দেওয়া সর্বোচ্চ সম্মান।
==প্রথম জীবন এবং পটভূমি==
গোপেশ্বর বন্দ্যোপাধ্যায়ের জন্ম ১৮৮০ খ্রিস্টাব্দের ১০ই জানুয়ারি (১২৮৬ বঙ্গাব্দের ২৫শে পৌষ) অবিভক্ত বাংলার [[বিষ্ণুপুর, বাঁকুড়া]]য়।<ref>{{বই উদ্ধৃতি|শিরোনাম=Sangeet Natak, Issues 11–14|ইউআরএল=https://books.google.com/books?id=wZmfAAAAMAAJ|পাতা=64|বছর=1969|প্রকাশক=Sangeet Natak Akademi}}</ref> তিনি ছিলেন তার পিতা অনন্তলাল ব্যানার্জীর দ্বিতীয় পুত্র, যিনি বিষ্ণুপুরের রামকৃষ্ণ সিংহদেবের সভাগায়ক ছিলেন। তিনি রামশঙ্কর ভট্টাচার্যের শিষ্য ছিলেন,<ref name="Society1986"/> পরে বিষ্ণুপুরের আবাসিক সংগীতসঙ্গীত বিদ্যালয় "বিষ্ণুপুর সংগীত বিদ্যালয়" এর প্রথম শিক্ষক হন। পরে এর নামকরণ করা হয় রাম সরণ মিউজিক কলেজ।<ref name="DasguptaBiswas2009">{{বই উদ্ধৃতি|লেখক১=Samira Dasgupta|লেখক২=Rabiranjan Biswas|লেখক৩=Gautam Kumar Mallik|শিরোনাম=Heritage Tourism: An Anthropological Journey to Bishnupur|ইউআরএল=https://books.google.com/books?id=_0_o9Qj1LOEC&pg=PA110|সংগ্রহের-তারিখ=19 July 2013|বছর=2009|প্রকাশক=Mittal Publications|আইএসবিএন=978-81-8324-294-3|পাতাসমূহ=110–}}</ref> তার তিন পুত্র রামপ্রসন্ন বন্দ্যোপাধ্যায়, গোপেশ্বর বন্দ্যোপাধ্যায় এবং সুরেন্দ্রনাথ বন্দ্যোপাধ্যায় সকলেই ছিলেন গায়ক এবং সংগীতজ্ঞ।সঙ্গীতজ্ঞ। তারা ভারতীয় শাস্ত্রীয় সংগীতেরসঙ্গীতের ক্ষেত্রে মূল্যবান দলিল রচনা এবং সংগীতসঙ্গীত স্বরলিপি কাজ করেছিলেন।<ref name="Society1986"/><ref name="śarmā1993">{{বই উদ্ধৃতি|লেখক=Amal Das Sharma|শিরোনাম=Musicians of India: Past and Present : Gharanas of Hindustani Music and Genealogies|ইউআরএল=https://books.google.com/books?id=FKWfAAAAMAAJ|পাতাসমূহ=176, 213|সংগ্রহের-তারিখ=19 July 2013|বছর=1993|প্রকাশক=Naya Prokash|আইএসবিএন=978-81-85421-18-6}}</ref> সবচেয়ে বড়, রামপ্রসন্ন বন্দ্যোপাধ্যায় লিখেছিলেন, ''সংগীত মঞ্জরি'' (১৯৩৫), যাতে ছিল সংগীতসঙ্গীত ধারণার উপর তাত্ত্বিক নিবন্ধ। এছাড়াও এতে ছিল আবৃত্তিতে অনুকূল অনুশীলন ছাড়াও বিভিন্ন ধারা যেমন ধ্রুপদ, খেয়াল, ঠুংরী এবং [[টপ্পা গান|টপ্পার]] স্বরলিপি।<ref name="Society1986">{{বই উদ্ধৃতি|লেখক=Indian Musicological Society|শিরোনাম=Journal of the Indian Musicological Society|ইউআরএল=https://books.google.com/books?id=JskJAQAAMAAJ|সংগ্রহের-তারিখ=20 July 2013|পাতা=56|বছর=1986|প্রকাশক=Indian Musicological Society}}</ref>
তার ছোট ভাই সুরেন্দ্রনাথ বন্দ্যোপাধ্যায়ও ছিলেন বিশিষ্ট সংগীতশিল্পীসঙ্গীতশিল্পী এবং বিষ্ণুপুর ঘরানার অন্যতম পথিকৃৎ। পরে [[বিষ্ণুপুর, বাঁকুড়া|বিষ্ণুপুরের]] রামশরণ মিউজিক কলেজের অধ্যক্ষ হিসাবে দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৬৩ সালের ২৮শে জুলাই বিষ্ণুপুরে তার মৃত্যু হয়।<ref>{{ওয়েব উদ্ধৃতি|শিরোনাম=Obituary|ইউআরএল=https://news.google.com/newspapers?nid=P9oYG7HA76QC&dat=19630730&printsec=frontpage|সংবাদপত্র=The Indian Express|সংগ্রহের-তারিখ=25 April 2017|পাতা=5|তারিখ=30 July 1963}}</ref>
তিনি বিহারের [[বেতিয়া ঘরানা|বেতিয়া ঘরানার]] সংগীতজ্ঞদেরসঙ্গীতজ্ঞদের কাছ থেকে তার সংগীতসঙ্গীত প্রশিক্ষণ গ্রহণ করেছিলেন, যেমনটি বিষ্ণুপুর ঘরানার আর এক সমসাময়িক গায়ক, [[রাধিকাপ্রসাদ গোস্বামী]] করেছিলেন।<ref name="Karnani2005">{{বই উদ্ধৃতি|লেখক=Chetan Karnani|শিরোনাম=Form in Indian music: a study in Gharanas|ইউআরএল=https://books.google.com/books?id=dGIJAQAAMAAJ|সংগ্রহের-তারিখ=19 July 2013|পাতা=20|বছর=2005|প্রকাশক=Rawat Publications|আইএসবিএন=978-81-7033-921-2}}</ref>
==সঙ্গীত জীবন==
সঙ্গীত জীবনের প্রথমদিকে, ১৮৯৫ সালে তিনি [[বর্ধমানের মহারাজা]]র সভা গায়ক নিযুক্ত হন, এখানে তিনি পরবর্তী ২৯ বছর অর্থাৎ ১৯২৪ সাল পর্যন্ত কাজ করেছিলেন। এটি তার সঙ্গীত জীবনের সবচেয়ে ফলপ্রসূ সময় ছিল। তিনি ভারতীয় সংগীতেরসঙ্গীতের তত্ত্ব এবং ইতিহাসের গবেষণায় তার সময় উৎসর্গ করেছিলেন।<ref>[[#Na|Sangeet Natak, p. 67]]</ref> তিনি মহারাজার সাথে ভারত জুড়ে ভ্রমণ করেছিলেন এবং তৎকালীন বেশ কয়েকজন নামী সংগীতকারেরসঙ্গীতকারের সাথে পরিচিত হন। এর ফলে তার বিভিন্ন সংগীতেরসঙ্গীতের ঐতিহ্য এবং ঘরানার জ্ঞান প্রসারিত হয়েছিল।<ref name="Sangeet Natak, p. 68">[[#Na|Sangeet Natak, p. 68]]</ref> তিনি মহারাজা [[যতীন্দ্রমোহন ঠাকুর|যতীন্দ্রমোহন ঠাকুরের]] দরবারে কর্মরত সৈয়দ মোহাম্মদের কাছ থেকে ''[[সুরবাহার]]'' বাজাতে শিখেছিলেন, এরপরে তিনি [[ইমদাদ খান|ইমদাদ খানের]] কাছ থেকেও [[সেতার]] বাজাতে শেখেন। খানের সাথে তার '' সুরবাহার '' বাজনা, বাণিজ্যিকভাবে রেকর্ড করা হয়েছিল।<ref name="Sangeet Natak, p. 68"/> বর্ধমানে থাকাকালীন তিনি দুটি খণ্ডে '' সংগীত চন্দ্রিকা '' প্রকাশ করেছিলেন, এটি ছিল ভারতে সংগীতবিদ্যারসঙ্গীতবিদ্যার একটি প্রাথমিক এবং গুরুত্বপূর্ণ গবেষণা।<ref name="Bose1960">{{বই উদ্ধৃতি|লেখক=Narendra Kumar Bose|শিরোনাম=Melodic types of Hindusthān: a scientific interpretation of the rāga system of Northern India|ইউআরএল=https://books.google.com/books?id=3acHAQAAMAAJ|পাতা=160|বছর=1960|প্রকাশক=Jaico Pub. House}}</ref> এটিতে বাংলা এবং হিন্দি গানের সুরারোপিত একটি সংগ্রহও অন্তর্ভুক্ত ছিল।<ref>{{ওয়েব উদ্ধৃতি |শিরোনাম=Sangita Chandrika |ইউআরএল= http://www.nationallibrary.gov.in/ResultKeyword.php?start=13&p_f=13&id=sangit&id1=title|তারিখ= |প্রকাশক=National Library of India |সংগ্রহের-তারিখ=19 July 2013}}</ref> তার সংগীতশাস্ত্রসঙ্গীতশাস্ত্র সম্পর্কিত অন্যান্য বইগুলির মধ্যে রয়েছে ''গীত-দর্পণ'', ''গীত-প্রবেশিকা'' এবং ''সংগীত-লহরী'', সবগুলিই বাংলা ভাষায়।
==তথ্যসূত্র==
| 