উইলিয়াম রক্সবার্গ: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
Jayantanth (আলোচনা | অবদান)
Jayantanth (আলোচনা | অবদান)
linkfix
৩৫ নং লাইন:
 
==কলকাতার জীবন==
[[কলকাতা বোটানিকবটানিক্যাল গার্ডেন|কলকাতা বটানিক্যাল গার্ডেনের]] প্রতিষ্ঠাতা [[রবার্ট কিড]] (Robert Kyd, ১৭৪৬-১৭৯৩)-এর মৃত্যুর পর রক্সবার্গ ১৭৯৩ সালের নভেম্বর মাসে এ উদ্যানের সুপাররিনটেনডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেন। তাঁর অদম্য উৎসাহ এবং নিরলস প্রচেষ্টায় বোটানিক গার্ডেন অল্প দিনের মধ্যেই এক বিশিষ্ট উদ্যানরূপে গড়ে ওঠে।রক্সবার্গ তাঁর এই নতুন পদ ও দায়িত্বকে এক বড় ধরনের চ্যালেঞ্জ হিসেবে গ্রহণ করেন। উপমহাদেশের বিভিন্ন স্থান থেকে সেগুন , বেঙ্গল হেম্প (Bengal hemp), ভার্জিনিয়া তামাক (Virginia tobacco), অ্যারাবিয়ান কফি (Arabian coffee) এবং নীলের (indigo) চারা সংগ্রহ করে পরীক্ষামূলকভাবে তিনি বাগানে চাষাবাদ শুরু করেন। ১৭৯৪ সালের জানুয়ারি মাসের মধ্যেই তিনি ২০০০-এর বেশি চারা অথবা বীজ ভারতের বিভিন্ন স্থানে, ইংল্যান্ড, ওয়েস্ট ইন্ডিজ এবং সেন্ট হেলেনায় পাঠান। যেসব বিদেশী নতুন গাছপালা তিনি কলকাতার বাগানে জন্মাবার চেষ্টা করেছিলেন তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য ফেঞ্চ ওলিভ (French olive) এবং জ্যামাইকার মসলা (Jamaican spice)। এছাড়া তিনি ফসল উৎপাদনের জন্য মাত্র গুটিকয়েক শস্যজাতের ওপর সাধারণ কৃষকের নির্ভরশীলতা কমিয়ে আনার প্রচেষ্টা চালান। ১৭৯৭ সালের অক্টোবর মাসে রক্সবার্গ জায়ফলের (nutmeg) কয়েকটি চারা নমুনা হিসেবে আদালত প্রাঙ্গনে রোপণ করেন যা দীর্ঘদিন টিকে ছিল। নভেম্বরে তিনি প্রায় ১৭০টি উদ্ভিদের চারা এবং প্রায় ১২০টি উদ্ভিদ প্রজাতির বীজ রোপণের জন্য বিভিন্ন স্থানে প্রেরণ করেন। পরীক্ষামূলকভাবে উদ্ভিদ জন্মাবার প্রচেষ্টার মধ্যে ভারতীয় শন (Indian hemp), তিসি এবং আঁশবিশিষ্ট আরও কয়েকটি ফসল উল্লেখযোগ্য।এসব উৎসাহী এবং গবেষণামূলক কর্মকাণ্ডের স্বীকৃতিস্বরূপ [[ইংল্যান্ডের সোসাইটি অব আর্টস]] (Society of Arts) তিন বার তাঁকে স্বর্ণপদক প্রদান করে।
 
==কর্মকান্ড==