ফারাও: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
ট্যাগ: মোবাইল সম্পাদনা মোবাইল ওয়েব সম্পাদনা
Limonjd (আলোচনা | অবদান)
হালনাগাদ করা হল
৩ নং লাইন:
{{Hiero|pr-aa<br/>"গ্রেট ঘর"|<hiero>O1:O29</hiero>|align=right|era=egypt}}
 
====== '''ফারাও ([[ফারাও|ফেরাউন]])''' ({{IPAc-en|ˈ|f|eɪ|.|r|oʊ}}, {{IPAc-en|f|ɛr|.|oʊ}}<ref>''Merriam-Webster's Collegiate Dictionary, Eleventh Edition''. Merriam-Webster, 2007. p. 928</ref><ref name="df">''[[Dictionary.com|Dictionary Reference]]'': [http://dictionary.reference.com/browse/pharaoh pharaoh]</ref> বা {{IPAc-en|f|ær|.|oʊ}}<ref name="df" />) হলো গ্রিক-রোমান কর্তৃক বিজয়ের পূর্ব পর্যন্ত [[প্রাচীন মিশর|প্রাচীন মিশরীয়]] রাজবংশের রাজাদের প্রচলিত উপাধি।<ref>{{বই উদ্ধৃতি | শেষাংশ = Beck | প্রথমাংশ = Roger B. | লেখক-সংযোগ = | coauthors = Linda Black, Larry S. Krieger, Phillip C. Naylor, Dahia Ibo Shabaka, | শিরোনাম = World History: Patterns of Interaction | প্রকাশক = [[McDougal Littell]] | বছর = 1999 | অবস্থান = Evanston, IL | পাতাসমূহ = | ইউআরএল =https://archive.org/details/mcdougallittellw00beck| ইউআরএল-সংগ্রহ = registration | ডিওআই = | আইডি = | আইএসবিএন = 0-395-87274-X }}</ref> ফারাও ([[প্রাচীন মিশর|Pharaoh]]) আদি [[প্রাচীন মিশরীয় ধর্ম|মিশরীয়]] সভ্যতা। [[মিশর|মিশরে]] নগর সভ্যতা গড়ে উঠেছিল খ্রীস্টপূর্ব ৫০০০ অব্দে।[[নীল নদ]]কে কেন্দ্র করে [[মিশর|মিশরে]]র এ সভ্যতা গড়ে উঠেছিল বলে গ্রিক ইতিহাসবিদ [[হিরোডোটাস|হেরোডোটাস]] মিশরকে বলেছেন “[[নীল নদ|নীল নদে]]র দান”(Gift of the [[নীল নদ|Nile]])। ৫০০০-৩২০০ খ্রীস্টপূর্বাব্দ পর্যন্ত সময়ের মিশরকে প্রাক-রাজবংশীয় যুগ বলা হয়।এ সময় মিশর কতগুলো ছোট ছোট নগর রাষ্ট্রে বিভক্ত ছিল। এগুলোকে বলা হয় [[নোম]]।৩২০০ খ্রীষ্টপুর্বাব্দে “[[মেনেস]]” নামের এক রাজা সমগ্র মিশরকে একত্রিত করে একটি নগর রাষ্ট্র গড়ে তোলেন। দক্ষিণ মিশরের “[[মেম্ফিস|মেস্ফিস]]” হয় এর রাজধানী। এভাবে মিশরে রাজবংশের সূচনা হয়।{{Hiero|nesu-bit<br/>"King of Upper <br/>and Lower Egypt"|<hiero>sw:t L2:t</hiero><br/><br/><hiero>A43 A45</hiero><br/><br/><hiero>S1:t S3:t</hiero><br/><br/><hiero>S2 S4</hiero><br/><br/><hiero>S5</hiero>|align=right|era=egypt}}====
'''ফারাও''' ({{IPAc-en|ˈ|f|eɪ|.|r|oʊ}}, {{IPAc-en|f|ɛr|.|oʊ}}<ref>''Merriam-Webster's Collegiate Dictionary, Eleventh Edition''. Merriam-Webster, 2007. p. 928</ref><ref name="df">''[[Dictionary.com|Dictionary Reference]]'': [http://dictionary.reference.com/browse/pharaoh pharaoh]</ref> বা {{IPAc-en|f|ær|.|oʊ}}<ref name="df"/>) হলো
{{Hiero|nesu-bit<br/>"King of Upper <br/>and Lower Egypt"|<hiero>sw:t L2:t</hiero><br/><br/><hiero>A43 A45</hiero><br/><br/><hiero>S1:t S3:t</hiero><br/><br/><hiero>S2 S4</hiero><br/><br/><hiero>S5</hiero>|align=right|era=egypt}}
গ্রিক-রোমান কর্তৃক বিজয়ের পূর্ব পর্যন্ত [[প্রাচীন মিশর|প্রাচীন মিশরীয়]] রাজবংশের রাজাদের প্রচলিত উপাধি।<ref>{{বই উদ্ধৃতি | শেষাংশ = Beck | প্রথমাংশ = Roger B. | লেখক-সংযোগ = | coauthors = Linda Black, Larry S. Krieger, Phillip C. Naylor, Dahia Ibo Shabaka, | শিরোনাম = World History: Patterns of Interaction | প্রকাশক = [[McDougal Littell]] | বছর = 1999 | অবস্থান = Evanston, IL | পাতাসমূহ = | ইউআরএল =https://archive.org/details/mcdougallittellw00beck| ইউআরএল-সংগ্রহ = registration | ডিওআই = | আইডি = | আইএসবিএন = 0-395-87274-X }}</ref> ফারাও ([[প্রাচীন মিশর|Pharaoh]]) আদি [[প্রাচীন মিশরীয় ধর্ম|মিশরীয়]] সভ্যতা। [[মিশর|মিশরে]] নগর সভ্যতা গড়ে উঠেছিল খ্রীস্টপূর্ব ৫০০০ অব্দে।[[নীল নদ]]কে কেন্দ্র করে [[মিশর|মিশরে]]র এ সভ্যতা গড়ে উঠেছিল বলে গ্রিক ইতিহাসবিদ [[হিরোডোটাস|হেরোডোটাস]] মিশরকে বলেছেন “[[নীল নদ|নীল নদে]]র দান”(Gift of the [[নীল নদ|Nile]])। ৫০০০-৩২০০ খ্রীস্টপূর্বাব্দ পর্যন্ত সময়ের মিশরকে প্রাক-রাজবংশীয় যুগ বলা হয়।এ সময় মিশর কতগুলো ছোট ছোট নগর রাষ্ট্রে বিভক্ত ছিল। এগুলোকে বলা হয় [[নোম]]।৩২০০ খ্রীষ্টপুর্বাব্দে “[[মেনেস]]” নামের এক রাজা সমগ্র মিশরকে একত্রিত করে একটি নগর রাষ্ট্র গড়ে তোলেন। দক্ষিণ মিশরের “[[মেম্ফিস|মেস্ফিস]]” হয় এর রাজধানী। এভাবে মিশরে রাজবংশের সূচনা হয়।{{Hiero|nesu-bit<br/>"King of Upper <br/>and Lower Egypt"|<hiero>sw:t L2:t</hiero><br/><br/><hiero>A43 A45</hiero><br/><br/><hiero>S1:t S3:t</hiero><br/><br/><hiero>S2 S4</hiero><br/><br/><hiero>S5</hiero>|align=right|era=egypt}}
 
প্রাচীন মিশরের নতুন রাজ্যের সময় ফারাওরা ধর্মীয় এবং রাজনৈতিক নেতা ছিল। "বড় বাড়ি" বলতে তখন রাজাদের বাড়িকে বোঝানো হত কিন্তু মিশরীয় ইতিহাসের গতিপথের সাথে সাথে তা হারাতে বসে ছিল এমনকি রাজা, nswt এর জন্য ঐতিহ্যবাহী মিশরীয় শব্দের পরস্পরিক পরিবর্তনে মধ্যে প্রকাশ করা হয়েছিল। যদিও মিশরের শাসকরা সাধারণত [[পুরুষ]] ছিল, ফারাও শব্দটা বিরলভাবে মহিলা শাসকদের হ্মেত্রেও ব্যবহার করা হত। ফারাওরা বিশ্বাস করত যে তাদের মরণের পর তাদের আত্মা দেবতা হরুসের সাথে মিলে যাবে।
২৮ নং লাইন:
== বিজ্ঞান ==
মিশরীয়রা সর্বপ্রথম ১২ মাসে ১ বছর, ৩০ দিনে ১ মাস-এই গণনা রীতি চালু করে। যেহেতু ফারাও মৃত্যুর পরে [[রাজা]] হবেন সেহেতু তাঁর মৃতদেহকে সংরক্ষনের জন্য তারা [[মমি]] তৈরি করতে শেখেন।
 
== '''ফেরাউনের মৃ'''ত্যু ==
‘আজ আমি তোমার (ফেরাউন) দেহ রক্ষা করব, যাতে তুমি তোমার পরবর্তীদের জন্য নিদর্শন হয়ে থাকো। অবশ্যই মানুষের মধ্যে অনেকে আমার নিদর্শন সম্পর্কে উদাসীন। ’ (সুরা : ইউনুুস, আয়াত : ৯২)
 
তাফসির : আগের আয়াতে বলা হয়েছিল, আল্লাহর আজাব দেখে ফেরাউন তাওবা করার চেষ্টা করেছিল। কিন্তু তার তাওবা গৃহীত হয়নি।
 
আল্লাহ তাআলা তাকে নদীতে ডুবিয়ে মেরেছেন। আলোচ্য আয়াতে আল্লাহ তাআলা এই ঘোষণা দিয়েছেন যে পরবর্তীদের জন্য ফেরাউনের লাশ সংরক্ষিত রাখা হবে। ইতিহাস সাক্ষ্য দেয়, আল্লাহর এই ঘোষণা সত্য প্রমাণিত হয়েছে। এ বিষয়ে আসমানি ধর্মগ্রন্থ বিশেষজ্ঞ ড. মরিস বুকাইলি লিখেছেন, সব সাক্ষ্য-প্রমাণ থেকে এ কথাই প্রতীয়মান হয় যে লোরেট ১৮৯৮ সালে রাজাদের উপত্যকায় (কিংস ভ্যালি) থিবিসে দ্বিতীয় রামাসিসের পুত্র ও মহাযাত্রাকালীন ফেরাউন মারনেপতাহর (মিনফাতাহ) মমি করা লাশ আবিষ্কার করেন। সেখান থেকে তা কায়রোয় নিয়ে যাওয়া হয়। ১৯০৭ সালের ৮ জুলাই এলিয়ট স্মিথ এ মমির আবরণ অপসারণ করেন। তিনি তাঁর ‘দ্য রয়্যাল মমিজ’ নামক গ্রন্থে (১৯১২) এর প্রক্রিয়া ও লাশ পরীক্ষার বিস্তারিত বিবরণ দিয়েছেন। কয়েকটি জায়গায় কিছু ক্ষতিগ্রস্ত হওয়া সত্ত্বেও মমিটি তখন সন্তোষজনকভাবেই সংরক্ষিত ছিল। তখন থেকেই তার মাথা ও গলা খোলা। অবশিষ্ট দেহ কাপড়ে ঢাকা অবস্থায় দর্শকদের দেখার জন্য কায়রো জাদুঘরে রাখা আছে। সম্ভবত ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কায় লাশের ঢাকনা আর খুলতে দেওয়া হয় না। ১৯১২ সালে এলিয়ট স্মিথের তোলা ছবি ছাড়া পুরো লাশের আর কোনো ছবিও জাদুঘরে নেই।
 
আবিষ্কৃত হওয়ার আগে মমিটি তিন হাজার বছরেরও বেশি সময় ধরে থিবিসের কবরস্থানে ছিল। বর্তমানে মমিটি একটি সাধারণ কাচের আবরণে রাখা আছে। প্রাচীনকালে গুপ্তধনসন্ধানী তস্কররা হয়তো এর কিছুটা ক্ষতি করে থাকতে পারে, কীটের আক্রমণও হয়ে থাকতে পারে। তবে অবস্থা দেখে মনে হয়, বর্তমানে যে অবস্থায় আছে সে তুলনায় মমিটি তখন অনেক অনুকূল পরিবেশে ছিল।
 
ঐতিহাসিক চিহ্ন-দ্রব্য সংরক্ষণ করা মানুষের স্বাভাবিক কর্তব্য। কিন্তু এ মমির ক্ষেত্রে সেই কর্তব্য অনেক বেশি বড় ও ব্যাপক হয়ে দেখা দিয়েছে। কারণ এ মমি হচ্ছে এমন একজনের লাশের বাস্তব উপস্থিতি, যে মুসা (আ.)-কে চিনত। তার পরও সে তাঁর হেদায়েত প্রত্যাখ্যান করেছিল। তাঁর পলায়নকালে তাঁর পশ্চাদ্ধাবন করেছিল এবং সেই প্রক্রিয়ায় প্রাণ হারিয়েছে। আর কোরআনের বর্ণনা অনুযায়ী তার লাশ পরবর্তী মানুষের জন্য নিদর্শনস্বরূপ। আল্লাহর হুকুমে তা ধ্বংস থেকে রক্ষা পেয়েছিল। (সূত্র : কোরআন, বাইবেল ও বিজ্ঞান)
 
সিনাই উপদ্বীপের পশ্চিম সাগরতীরে যেখানে ফেরাউনের লাশ সাগরে ভাসমান অবস্থায় পাওয়া গিয়েছিল, আজও জায়গায়টি অপরিবর্তিত আছে। বর্তমানে এ জায়গার নাম জাবালে ফেরাউন বা ফেরাউন পর্বত। এরই কাছাকাছি আছে একটি গরম পানির ঝরনা। স্থানীয় লোকেরা এর নাম দিয়েছে হাম্মামে ফেরাউন। এর অবস্থানস্থল হচ্ছে আবু জানিমের কয়েক মাইল ওপরে—উত্তরের দিকে। স্থানীয় লোকেরা জায়গাটি চিহ্নিত করে বলে, ফেরাউনের লাশ এখানে পড়ে থাকা অবস্থায় পাওয়া গিয়েছিল।
 
১৯০৭ সালে স্যার গ্রাফটিন এলিট স্মিথ তার মমির ওপর থেকে যখন পট্টি খুলেছিলেন তখন লাশের ওপর লবণের একটি স্তর জমাট বাঁধা অবস্থায় পাওয়া গিয়েছিল। এটি লবণাক্ত পানিতে তার ডুবে যাওয়ার একটি সুস্পষ্ট আলামত ছিল।
 
স্মরণ রাখতে হবে, ফেরাউন কেবল একজন ব্যক্তির নাম নয়, সে যুগে মিসরের সব বাদশাহকে ফেরাউন উপাধি দেওয়া হতো। মুসা (আ.)-এর সঙ্গে যে ফেরাউনের মোকাবিলা হয়েছিল, কেউ কেউ তার বলেছেন দ্বিতীয় রামাসিস। আর কেউ কেউ বলেন, সে ছিল দ্বিতীয় রামাসিসের পুত্র মারনেপতাহ বা মিনফাতাহ।
 
==তথ্যসূত্র==