খুলনা নেছারিয়া কামিল মাদ্রাসা: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
নতুন পৃষ্ঠা: {{কাজ চলছে}} '''খুলনা নেছারিয়া কামিল মাদ্রাসা''' বাংলাদেশের খুলনা বিভাগের একটি গুরুত্বপূর্ণ আলিয়া মাদ্রাসা। মাদ্রাসাটি খুলনা শহরের...
 
সম্পাদনা সারাংশ নেই
২ নং লাইন:
 
'''খুলনা নেছারিয়া কামিল মাদ্রাসা''' বাংলাদেশের খুলনা বিভাগের একটি গুরুত্বপূর্ণ [[আলিয়া মাদ্রাসা]]। মাদ্রাসাটি খুলনা শহরের মুজগুন্নি নামক স্থানে অবস্থিত, এটি ১৯৬২ সালে প্রতিষ্ঠা হবার পর, খুলনা বিভাগের মধ্যে শীর্ষস্থানীয় মাদ্রাসায় পরিণত হয়েছে এবং দাখিল -আলিম ফলাফলের দিক থেকে শীর্ষে থাকে।
 
== ইতিহাস ==
বাগেরহাট জেলার মোড়লগঞ্জ উপজেলার চালিতাবুনিয়া গ্রামের হাফেজ আব্দুল হাকিম আজাদী নামে এক ব্যক্তি এই মাদ্রাসা প্রতিষ্ঠার জন্য খুলনা যশোর মহাসড়কের নিকটে ২৫ শতক জমি দান করেন। এই জমি খুলনা শহরের নিকটেই খুলনা-যশোর মহাসড়কের জোড়াগেট নূরনগর বয়রা নামক এলাকায় অবস্থিত ছিলো, এই জমির উপরই ১৯৬০ সালে [[হাফেজিয়া মাদ্রাসা|হেফজখানা]] ও এতিমখানা প্রতিষ্ঠা করা হয়। মাদ্রাসার কার্যক্রম বৃদ্ধি পেলে ১৯৬২ সালে খুলনার শিল্প নগরী খালিশপুরের মুজগুন্নি নামক স্থানে আরো এক বিঘা জমি ক্রয় করা হয়। এই জমি কেনার ব্যয় বহন করে হাকিম আজাদী ও খুলনার পাওয়ায় কোল্ড স্টোরেজের মালিক।
 
আব্দুল হাকিম আজাদীর বড় ভাইয়ের নাম ছিলো একেএম আব্দুল মজিদ, তিনি [[ছারছিনা মাদ্রাসা|ছারছিনা মাদ্রাসার]] তৎকালীন উপাধ্যক্ষ ছিলেন। ১৯৬২ সালে মাদ্রাসা নতুন জমিতে পুনঃস্থাপনের সময় দুই ভাই পরামর্শ করে [[ছারছিনা দরবার শরীফ|ছারছিনা দরবার শরীফের]] পীর ও ছারছিনা মাদ্রাসার প্রতিষ্ঠাতা [[নেছারউদ্দীন আহমদ|নেছার উদ্দীনের]] সাথে মিল করে মাদ্রাসার নাম রাখেন খুলনা নেছারিয়া হেফজখানা ও এতিমখানা।
 
== শিক্ষা কার্যক্রম ==
এই মাদ্রাসায় প্রাথমিক শিক্ষাস্তর ইবতেদায়ী থেকে শুরু করে আলিয়া মাদ্রাসার সর্বোচ্চ পর্যায় কামিল শ্রেণী পর্যন্ত রয়েছে। এছাড়ারাও এই মাদ্রাসার দাখিল ও আলিম উভয় স্তরে বিজ্ঞান ও মানবিক শাখা বিদ্যমান রয়েছে। এই মাদ্রাসার শিক্ষার্থীরা পড়াশোনা সংক্রান্ত বিভিন্ন প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করে থাকে। বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থীরা বিজ্ঞান মেলায় অংশগ্রহণ করে থাকে। এছাড়াও এই মাদ্রাসার ফাজিল ও কামিল পর্যায়ে আল কুরআন এন্ড ইসলামিক স্টাডিজ, আল হাদিস এন্ড ইসলামিক স্টাডিজ, দাওয়াহ প্রভৃতি বিভাগ চালু আছে। ফাজিল ও কামিল পর্যায়ের ছাত্রদের বিষয়ভিত্তিক গবেষণার সুযোগ রয়েছে। মাদ্রাসার প্রাতিষ্ঠানিক রেজাল্ট সবসময় খুলনা বিভাগের শীর্ষস্থানে থাকে।
 
মাদ্রাসা ছাত্রদের আত্মনির্ভরশীল ও বাস্তবসম্মত কর্মসংস্থানের উপযোগী করে তোলার জন্য ১৯৬৪ ও ১৯৯৬ সালে মাদ্রাসায় কারিগরি বিভাগ চালু করা হয়।
 
== সুযোগ-সুবিধা ==