রক্ত '''তঞ্চনরক্ততঞ্চন''' একটি শারীররবৃত্তীয়শারীরবৃত্তীয় প্রক্রিয়া যাতে রক্ত জমাট বেঁধে তঞ্চন-পিণ্ড বা থ্রম্বাস (বহুবচনে থ্রম্বাই) তৈরি হয়। পরপর অনেকগুলি [[উৎসেচক]] ও তাদের কোফ্যাকটরের স্তরীভূত শৃঙ্খল বিক্রিয়ার দ্বারা শেষে [[থ্রম্বিন]] নামক একটি উৎসেচকের বিস্ফোরক মাত্রায় উৎপাদন ঘটলে [[ফাইব্রিনোজেন]] থেকে ফাইব্রিন জমাট তৈরি হয়ে তার মধ্যে [[অণুচক্রিকা]] ও অন্যান্য [[রক্তকণিকা]] আটকা পড়ে তঞ্চন-পিণ্ড তৈরি হয়। শরীরের মধ্যে তঞ্চনের কাজ ক্ষতস্থান থেকে রক্তক্ষরণ বন্ধ করা। তঞ্চনের অভাবে ক্ষতস্থান থেকে রক্তক্ষরণ হয়ে মৃত্যু পর্যন্ত ঘটতে পারে। আবার অত্যধিক তঞ্চন রক্তবাহী শিরা বা [[ধমনী|ধমনীর]] মধ্যে হলে রক্ত প্রবাহ বন্ধ হয়ে গিয়ে স্থানীয় কলার ইস্কিমিয়া (রক্তাভাব পরিবর্তনীয় আঘাত) বা ইনফার্কশান (রক্তাভাব জনিত স্থায়ী কলা মৃত্যু) হয়ে পারে। (যেমন [[হৃৎযন্ত্র|হৃৎযন্ত্রের]] পক্ষে [[হার্ট অ্যাটাক]] বা [[মস্তিষ্ক|মস্তিষ্কের]] ক্ষেত্রে থ্রম্বোটিক [[স্ট্রোক]])
রক্তবাহের আভ্যন্তরীন আস্তরণ অর্থাৎ এ্ণ্ডোথেলিয়াম-এএন্ডোথেলিয়ামে চোট লাগলে তার নিম্নবর্তী কলার সঙ্গে রক্তের সংস্পর্শে ▼
শরীরের মধ্যে তঞ্চনের কাজ ক্ষতস্থান থেকে রক্তক্ষরণ বন্ধ করা। তঞ্চনের অভাবে ক্ষতস্থান থেকে রক্তক্ষরণ হয়ে মৃত্যু পর্যন্ত ঘটতে পারে। আবার অত্যধিক তঞ্চন রক্তবাহী সশিরা বা [[ধমনী|ধমনীর]] মধ্যে হলে রক্ত প্রবাহ বন্ধ হয়ে গিয়ে স্থানীয় কলার ইস্কিমিয়া (রক্তাভাব পরিবর্তনীয় আঘাত) বা ইনফার্কশান (রক্তাভাব জনিত স্থায়ী কলা মৃত্যু) হয়ে পারে। (যেমন [[হৃৎযন্ত্র|হৃৎযন্ত্রের]] পক্ষে [[হার্ট অ্যাটাক]] বা [[মস্তিষ্ক|মস্তিষ্কের]] ক্ষেত্রে থ্রম্বোটিক [[স্ট্রোক]])
▲রক্তবাহের আভ্যন্তরীন আস্তরণ অর্থাৎ এ্ণ্ডোথেলিয়াম-এ চোট লাগলে তার নিম্নবর্তী কলার সঙ্গে রক্তের সংস্পর্শে
তঞ্চনের অনুকূল অবস্থার সৃষ্টি হয়।
এই তঞ্চন শুরু করার মূল উৎস [[রক্ত]] ও অণুচক্রিকাদের[[অণুচক্রিকা]]দের সঙ্গে রক্তবাহের নিম্নবর্তী কলার [[ফাইব্রোব্লাস্ট]] বা মসৃণ পেশী কলার গায়ের [[ট্যিস্যুটিস্যু ফ্যাকটরফ্যাক্টর]] নামক একটি [[প্রোটিন]] ও ঋণাতমকঋণাত্মক আধান বিশিষ্ট কয়েকধরনের ফস্ফোলিপিডফসফোলিপিড (যাদের একত্রে টিশ্যুটিস্যু থ্রম্বোপ্লাস্টিন বলে)।