ফিকহ: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
Mohammad kazi (আলোচনা | অবদান)
তথ্য সংযোজন
ট্যাগ: দৃশ্যমান সম্পাদনা মোবাইল সম্পাদনা মোবাইল ওয়েব সম্পাদনা
AstroWizard (আলোচনা | অবদান)
Mohammad kazi (আলাপ)-এর করা 1 টি সম্পাদনা বাতিল: অ-বিশ্বকোষীয়
ট্যাগ: টুইংকল পূর্বাবস্থায় ফেরত মোবাইল সম্পাদনা মোবাইল ওয়েব সম্পাদনা উচ্চতর মোবাইল সম্পাদনা
১ নং লাইন:
{{Islam}}
'''ফিকহ''' ([[আরবি ভাষা|আরবি ভাষায়]]: الفقه) হলো ইসলামি আইনশাস্ত্র,<ref>[http://www.britannica.com/EBchecked/topic/207723/fiqh Fiqh] Encyclopedia Britannica</ref> যা অধ্যয়নের মাধ্যমে মানুষের দৈনন্দিন জীবনের সকল বিষয়ে ইসলামী শরীয়তের বিধান জানা যায়।<ref>এসো ফিকহ শিখি। [[আবু তাহের মিসবাহ]] রচিত এবং দারুল কলম থেকে প্রকাশিত। পৃষ্ঠা-১</ref><ref>{{বই উদ্ধৃতি|ইউআরএল=https://books.google.com/books?id=-PfDuvnHMGoC&printsec=frontcover&dq=vogel+islamic+law&hl=en|শিরোনাম=Islamic Law and the Legal System of Saudí: Studies of Saudi Arabia|শেষাংশ=Vogel|প্রথমাংশ=Frank E.|তারিখ=2000|বছর=|প্রকাশক=BRILL|অবস্থান=|পাতাসমূহ=৪–৫|ভাষা=en|আইএসবিএন=978-90-04-11062-5}}</ref> কুরআন ও হাদীসের মৌলিক বিধানগুলোর প্রায়োগিক রূপ হলো ফিকহ শাস্ত্র। বাংলা ভাষায় এটিকে ফেকাহ, ফেকাহশাস্ত্র এবং ইলমুল ফিকহ-ও বলা হয়। ফিকহে প্রশিক্ষিত একজন ব্যক্তি '''ফকীহ''' (বহুবচন '''ফুকাহা''') নামে পরিচিত। ইমাম [[আবু হানিফা]] (রহ.) ফিকহ শাস্ত্রের জনক।<ref>{{বই উদ্ধৃতি|ইউআরএল=https://books.google.com.bd/books?id=focLrox-frUC&printsec=frontcover&dq=Glasse,+Cyril,+The+New+Encyclopedia+of+Islam&hl=bn&sa=X&ved=0ahUKEwj91czI8_fqAhXmxzgGHeRdCucQ6AEIKDAA#v=onepage&q&f=false|শিরোনাম=The New Encyclopedia of Islam|শেষাংশ=Glassé|প্রথমাংশ=Cyril|তারিখ=2003|বছর=|প্রকাশক=Rowman Altamira|অবস্থান=|পাতাসমূহ=১৪১|ভাষা=en|আইএসবিএন=978-0-7591-0190-6}}</ref>
 
 
কুরআনের বিভিন্ন আয়াতে ও হাদীসে ‘ফিকহ’ বলতে সুনির্দিষ্ট ভাবে দ্বীনের গভীর জ্ঞানকেই বোঝানো হয়েছে। প্রথম যুগে ‘ফিকহ’ বলতে তাই ইসলামী জ্ঞানের বিশেষ কোন শাখাকে বোঝানো হতো না বরং সামগ্রিক ভাবে গোটা দ্বীন সম্পর্কিত গভীর জ্ঞানকে বোঝানো হতো। কিন্তু পরবর্তীতে দ্বীনের প্রতিটি শাখা স্বতন্ত্র ভাবে বিস্তৃত ও বিকশিত হতে থাকলে ‘ফিকহ’ শব্দটি কুরআন-সুন্নাহ থেকে মানুষের ব্যবহারিক জীবনের হুকুম আগরনের যে বিজ্ঞান কেবল তার জন্যই সুনির্দিষ্ট হয়ে যায়।
 
 
ফিকহ’ শব্দটি আল কুরআনে ব্যবহৃত হয়েছে। (ফাতাওয়া ও মাসাইল. ১ম খন্ড, ইফাবা প্রকাশিত) যেমন,
 
"আর মুমিনদের সকলের একসাথে অভিযানে বের হওয়া সংগত নয়। অতঃপর তাদের প্রত্যেক দলের এক অংশ কেন বের হয় না, যাতে তারা  দ্বীনের গভীর জ্ঞান (ফিকহ) অর্জন করতে পারে (লি ইয়াতাফাক্কাহূ ফিদ-দ্বীনি) এবং তাদের সম্প্রদায়কে ভিতিপ্রদর্শন করতে পারে, যখন তারা তাদের কাছে ফিরে আসবে , যাতে তারা সতর্ক হয়।" (সূরা তাওবাহ :১২২)
 
হাদীসেও এই শব্দটি বহুল ব্যবহৃত যেমন-
 
“আল্লাহ যার কল্যান চান, তাকে তিনি দ্বীনের গভীর জ্ঞান (ফিকহ) (ইয়ুফাক্কিহহু ফিদ-দ্বীনি) দান করেন”। (বুখারী ৭১, মুসলিম ৪৮৫০ )
 
ফিকহ এর মূল উৎস হচ্ছে মানুষের প্রতি একমাত্র শরীয়ত প্রনেতা (অর্থাৎ আল্লাহ সুবহানাহু তা’আলা)’র আদেশ নিষেধ সম্বলিত বাণী, অতএব তাত্ত্বিকভাবে বলা যায় যে, নবুয়্যত প্রাপ্তির পর রাসূলুল্লাহ (সা) এর মক্কী জীবন থেকেই ফিকহ এর যাত্রা শুরু।
 
"অবশ্যই আল্লাহ মুমিনদের উপর অনুগ্রহ করেছেন, যখন তিনি তাদের মধ্য থেকে তাদের প্রতি একজন রাসূল পাঠিয়েছেন, যে তাদের কাছে তাঁর আয়াতসমূহ তিলাওয়াত করে এবং তাদেরকে পরিশুদ্ধ করে আর তাদেরকে কিতাব ও হিকমাত শিক্ষা দেয়। যদিও তারা ইতঃপূর্বে স্পষ্ট ভ্রান্তিতে ছিল।" (সূরা আলে ইমরান :১৬৪)
 
 
রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর যুগে ফিকহের যাবতীয় বিষয়ই সরাসরি তাঁর পবিত্র সত্তার  সাথে সম্পৃক্ত ছিল। তাঁর কাছে ছিল নাযিলকৃত প্রত্যক্ষ ওহী আল-কুরআন আর পরোক্ষ ওহী যা হাদীস রূপে আমাদের কাছে এসেছে। যেকোন বিষয়ে আইন প্রনয়ণ, উদ্ভূত বিভিন্ন পরিস্থিতিতে প্রয়োজনীয় ও যথোপযুক্ত ফতওয়া, ফারাইয, দ্বীনের ব্যাখ্যা বিশ্লেষণ, কুরআনের হুকুম আহকামের বিস্তৃত ব্যাখ্যা ইত্যাদি সবই ওহীর মাধ্যমে তিনি নিজেই সম্পাদন করতেন, সাহাবা (রা) দের তা শিক্ষা দিতেন এবং বাস্তবে সমাজে প্রয়োগ করে দেখাতেন।
 
 
'''ফিকহ''' ([[আরবি ভাষা|আরবি ভাষায়]]: الفقه) হলো ইসলামি আইনশাস্ত্র,<ref>[http://www.britannica.com/EBchecked/topic/207723/fiqh Fiqh] Encyclopedia Britannica</ref> যা অধ্যয়নের মাধ্যমে মানুষের দৈনন্দিন জীবনের সকল বিষয়ে ইসলামী শরীয়তের বিধান জানা যায়।<ref>এসো ফিকহ শিখি। [[আবু তাহের মিসবাহ]] রচিত এবং দারুল কলম থেকে প্রকাশিত। পৃষ্ঠা-১</ref><ref>{{বই উদ্ধৃতি|ইউআরএল=https://books.google.com/books?id=-PfDuvnHMGoC&printsec=frontcover&dq=vogel+islamic+law&hl=en|শিরোনাম=Islamic Law and the Legal System of Saudí: Studies of Saudi Arabia|শেষাংশ=Vogel|প্রথমাংশ=Frank E.|তারিখ=2000|বছর=|প্রকাশক=BRILL|অবস্থান=|পাতাসমূহ=৪–৫|ভাষা=en|আইএসবিএন=978-90-04-11062-5}}</ref> কুরআন ও হাদীসের মৌলিক বিধানগুলোর প্রায়োগিক রূপ হলো ফিকহ শাস্ত্র। বাংলা ভাষায় এটিকে ফেকাহ, ফেকাহশাস্ত্র এবং ইলমুল ফিকহ-ও বলা হয়। ফিকহে প্রশিক্ষিত একজন ব্যক্তি '''ফকীহ''' (বহুবচন '''ফুকাহা''') নামে পরিচিত।<ref>{{বই উদ্ধৃতি|ইউআরএল=https://books.google.com.bd/books?id=focLrox-frUC&printsec=frontcover&dq=Glasse,+Cyril,+The+New+Encyclopedia+of+Islam&hl=bn&sa=X&ved=0ahUKEwj91czI8_fqAhXmxzgGHeRdCucQ6AEIKDAA#v=onepage&q&f=false|শিরোনাম=The New Encyclopedia of Islam|শেষাংশ=Glassé|প্রথমাংশ=Cyril|তারিখ=2003|বছর=|প্রকাশক=Rowman Altamira|অবস্থান=|পাতাসমূহ=১৪১|ভাষা=en|আইএসবিএন=978-0-7591-0190-6}}</ref>
 
ফিকহ ঐতিহ্যগতভাবে উসুল আল ফিকাহ এবং ফুরু আল-ফিকহ নামক দুই ভাগে বিভক্ত।<ref>{{ওয়েব উদ্ধৃতি|ইউআরএল=http://www.oxfordislamicstudies.com/article/opr/t236/e0473|শিরোনাম=Law - Oxford Islamic Studies Online|ওয়েবসাইট=www.oxfordislamicstudies.com|সংগ্রহের-তারিখ=2020-07-31}}</ref><ref>{{বই উদ্ধৃতি|ইউআরএল=http://www.oxfordreference.com/view/10.1093/acref:oiso/9780199739356.001.0001/acref-9780199739356|শিরোনাম=The Oxford Encyclopedia of Islam and Politics|তারিখ=2014-01-01|প্রকাশক=Oxford University Press|ভাষা=en|ডিওআই=10.1093/acref:oiso/9780199739356.001.0001|আইএসবিএন=978-0-19-973935-6|সংস্করণ=1}}</ref>
'https://bn.wikipedia.org/wiki/ফিকহ' থেকে আনীত