রমজান (মাস): সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
সম্পাদনা সারাংশ নেই
AstroWizard (আলোচনা | অবদান)
Mehediabedin (আলাপ)-এর করা 5687891 নং সংস্করণে ফেরত: ভালো সংস্করণে ফিরত
ট্যাগ: টুইংকল পূর্বাবস্থায় ফেরত মোবাইল সম্পাদনা মোবাইল ওয়েব সম্পাদনা উচ্চতর মোবাইল সম্পাদনা
১৮ নং লাইন:
 
==ঘটনাবলী==
ﺭﻣﻀﺎﻥ শব্দটি ﺭﻣﺾ শব্দ হতে নির্গত। এর অর্থ পুড়িয়ে ফেলা। রোযা রাখলে গুনাহ মাফ হয়। রমযান গুনাহকে জ্বালিয়ে পুড়িয়ে শেষ করে দেয়। তাই এর নাম রমযান। পরিভাষায় সুবহে সাদিক হতে সুর্যাস্ত পর্যন্ত পানাহার ও যৌনসম্ভোগ হতে বিরত
থাকার নাম রোযা। রমযানের রোযা কেন ফরজ করা হয়েছে এ
 
প্রসঙ্গে মহান আল্লাহ বলেন:﴿ ﻳَٰٓﺄَﻳُّﻬَﺎ ﭐﻟَّﺬِﻳﻦَ ﺀَﺍﻣَﻨُﻮﺍْ ﻛُﺘِﺐَ ﻋَﻠَﻴۡﻜُﻢُ ﭐﻟﺼِّﻴَﺎﻡُ ﻛَﻤَﺎ ﻛُﺘِﺐَ ﻋَﻠَﻰ ﭐﻟَّﺬِﻳﻦَ ﻣِﻦ ﻗَﺒۡﻠِﻜُﻢۡ
 
ﻟَﻌَﻠَّﻜُﻢۡ ﺗَﺘَّﻘُﻮﻥَ ١٨٣ ﴾ [ ﺍﻟﺒﻘﺮﺓ : ١٨٣ ]
 
‘‘হে ঈমানদারগণ! তোমাদের উপর রোযা ফরয করা হয়েছে, যেমন করে তোমাদের পূর্ববর্তীদের উপরও ফরয করা হয়েছিল।সম্ভবতঃ এর ফলে তোমরা তাকওয়া অর্জন করতে পারবে।’’(সূরা আল বাকারা: ১৮৩) এই আয়াতে রোযা ফরয করার উদ্দেশ্যসম্পর্কে পরিষ্কার বলা হয়েছে। রোযার মূল উদ্দেশ্য তাকওয়া অর্জন। তাকওয়া শব্দটি ﻭﻗﻰ হতে। যার অর্থ বাঁচা। মহান আল্লাহ বলেন- ﴿ ﻓَﻮَﻗَﻯٰﻬُﻢُ ﭐﻟﻠَّﻪُ ﺷَﺮَّ ﺫَٰﻟِﻚَ ﭐﻟۡﻴَﻮۡﻡِ ١١ ﴾ [ ﺍﻻﻧﺴﺎﻥ : ١١ ] ‘আল্লাহ তাদেরকে ঐ দিনের ক্ষতি থেকে বাঁচিয়েছেন।’ রোযার ফযীলত রমযানের রোযার ফযীলত অনেক। ইসলামের যে সকল ইবাদতের সওয়াব ও পুরষ্কার সর্বাধিক তার মধ্যে রমযানের রোযা অন্যতম। অন্য কোনো ইবাদতের ফযীলত এতো বেশী বর্ণিত হয় নি। এখানে আমরা রমযানের রোযার ফযীলত সম্পর্কে আলোচনা করব। আবু হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন: « ﻣﻦ ﺻﺎﻡ ﺭﻣﻀﺎﻥ ﺇﻳﻤﺎﻧﺎً ﻭﺍﺣﺘﺴﺎﺑﺎً ﻏﻔﺮ ﻟﻪ ﻣﺎ ﺗﻘﺪﻡ ﻣﻦ ﺫﻧﺒﻪ » ‘যে ঈমান ও এহতেছাবের সাথে সওয়াবের নিয়তে রমযানের রোযা রাখবে আল্লাহ তার অতীতের সকল গুণাহ মাফ করে দেবেন।’ [1] এখানে ঈমান বলতে সত্যিকার ও যথার্থ ঈমান এবং সওয়াবের নিয়ত ও আল্লাহর সন্তুষ্টি ছাড়া লোক দেখানো কিংবা অন্য কোনো দুনিয়াবী উদ্দেশ্যে রোযা না রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
 
« ﻛُﻞُّ ﻋَﻤَﻞِ ﺍﺑْﻦِ ﺁﺩَﻡَ ﻳُﻀَﺎﻋَﻒُ ﺍﻟْﺤَﺴَﻨَﺔُ ﻋَﺸْﺮُ ﺃَﻣْﺜَﺎﻟِﻬَﺎ ﺇِﻟَﻰ ﺳَﺒْﻌِﻤِﺎﺋَﺔِ ﺿِﻌْﻒٍ ﻗَﺎﻝَ ﺍﻟﻠَّﻪُ ﻋَﺰَّ ﻭَﺟَﻞَّ ﺇِﻻَّ ﺍﻟﺼَّﻮْﻡَ ﻓَﺈِﻧَّﻪُ ﻟِﻰ ﻭَﺃَﻧَﺎ ﺃَﺟْﺰِﻯ ﺑِﻪِ ﻳَﺪَﻉُ ﺷَﻬْﻮَﺗَﻪُ ﻭَﻃَﻌَﺎﻣَﻪُ
 
ﻣِﻦْ ﺃَﺟْﻠِﻰ ﻟِﻠﺼَّﺎﺋِﻢِ ﻓَﺮْﺣَﺘَﺎﻥِ ﻓَﺮْﺣَﺔٌ ﻋِﻨْﺪَ ﻓِﻄْﺮِﻩِ ﻭَﻓَﺮْﺣَﺔٌ ﻋِﻨْﺪَ ﻟِﻘَﺎﺀِ ﺭَﺑِّﻪِ. ﻭَﻟَﺨُﻠُﻮﻑُ ﻓِﻴﻪِ ﺃَﻃْﻴَﺐُ ﻋِﻨْﺪَ ﺍﻟﻠَّﻪِ ﻣِﻦْ ﺭِﻳﺢِ ﺍﻟْﻤِﺴْﻚِ »
 
‘‘আদম সন্তানের প্রতিটি নেক কাজের জন্য ১০ থেকে ৭শ গুণ পর্যন্ত সওয়াব নির্ধারিত রয়েছে। কিন্তু মহান আল্লাহ বলেন, রোযা
 
এর ব্যতিক্রম। সে একমাত্র আমার জন্যই রোযা রেখেছে এবং আমিই নিজ হাতে এর পুরষ্কার দেবো। সে আমার জন্যই যৌন
 
বাসনা ও খানা-পিনা ত্যাগ করেছে। রোযাদারের রয়েছে দুইটা আনন্দ। একটা হচ্ছে ইফতারের সময় এবং অন্যটি হচ্ছে আল্লাহর সাথে সাক্ষাতের সময়। আল্লাহর কাছে রোযাদারের মুখের গন্ধ মেশক- আম্বরের সুঘ্রাণের চাইতেও উত্তম।’’[2] এই হাদীসে অন্যান্য ইবাদতের সওয়াবের পরিমাণ উল্লেখ করে রোযাকে ভিন্নধর্মী বলে আখ্যায়িত করা হয়েছে। মহান আল্লাহ বলেছেন, তিনি নিজ হাতে রোযার সওয়াব দান করবেন এবং সেটা হবে প্রচলিত হিসেবে চাইতে অনেক বেশি। অর্থাৎ আল্লাহ রোযাদারকে রোযার জন্য অনেক
 
বেশি সওয়াব, পুরষ্কার ও বিনিময় দান করবেন। সাহল ইবন সা‘দ রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু থেকে বর্ণিত। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি
 
ওয়াসাল্লাম বলেছেন: « ﺇﻥ ﻓﻲ ﺍﻟﺠﻨﺔ ﺑﺎﺑﺎ ﻳﻘﺎﻝ ﻟﻪ ﺍﻟﺮﻳﺎﻥ ﻳﺪﺧﻞ ﻣﻨﻪ ﺍﻟﺼﺎﺋﻤﻮﻥ ﻳﻮﻡ ﺍﻟﻘﻴﺎﻣﺔ ﻻ ﻳﺪﺧﻞ ﻣﻨﻪ ﺃﺣﺪ ﻏﻴﺮﻫﻢ ﻳﻘﺎﻝ ﺃﻳﻦ ﺍﻟﺼﺎﺋﻤﻮﻥ ﻓﻴﻘﻮﻣﻮﻥ ﻻ ﻳﺪﺧﻞ ﻣﻨﻪ ﺃﺣﺪ
 
ﻏﻴﺮﻫﻢ ﻓﺈﺫﺍ ﺩﺧﻠﻮﺍ ﺃﻏﻠﻖ ﻓﻠﻦ ﻳﺪﺧﻞ ﻣﻨﻪ ﺃﺣﺪ »
 
‘জান্নাতে ‘রাইয়ান’ নামক একটি দরজা আছে। রোযাদার ছাড়া আর কেউ সেই দরজা দিয়ে জান্নাতে প্রবেশ করবে না। রোযাদাররা প্রবেশ করলে তা বন্ধ করে দেওয়া হবে এবং ঐ দরজা দিয়ে আর কেউ প্রবেশ করবে না।’ [3] রোযার বিশেষ ফযীলত হচ্ছে জান্নাতের
 
রাইয়ান দরজা। এটা রোযাদারের বিশেষ সম্মান ও মর্যাদা। রাইয়ান শব্দটি আরবী ﺭﻯ এসেছে। এর অর্থ হলো চূড়ান্ত তৃপ্তি সহকারে পান করা। রোযাদাররা জান্নাতে প্রবেশের পর সুস্বাদু পানীয় পান করবে, যার ফলে কোনো দিন তারা তৃষ্ণার্ত হবে না। ইবনে খুযাইমা উপরোক্ত হাদীসের আরো একটু বর্ধিত বর্ণনা দিয়েছেন। তাহলো: যারা প্রবেশ করবে, তারা পান করবে এবং যে পান করবে সে আর কোনোদিন তৃষ্ণার্ত হবে না। রোযাদারের জন্য জান্নাতের দরজা রাইয়ান নামকরণের তাৎপর্যও তাই। রাইয়ানের শাব্দিক অর্থের সাথে
 
তাৎপর্যের মিল রয়েছে। রোযাদারের ক্ষুধার চাইতে পিপাসার কষ্টই বেশী। তাই ক্ষুধার তৃপ্তির পরিবর্তে পানীয় পান করার তৃপ্তি উল্লেখ করা হয়েছে। যদিও জান্নাতে সকল খাবারই মওজুদ রয়েছে।
 
এই মাসের কিছু গুরুত্বপূর্ণ ঐতিহাসিক ঘটনাগুলি হল:
* ২ রমজান - [[ঈসা|ঈসা (আ:)]] [[তাওরাত]] প্রাপ্ত হন।