যোগব্যায়াম: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য
বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
যাচাইযোগ্যতার জন্য ১টি বই যোগ করা হল (20220126)) #IABot (v2.0.8.6) (GreenC bot |
Robin Saha (আলোচনা | অবদান) সম্পাদনা সারাংশ নেই |
||
১ নং লাইন:
[[চিত্র:Shiva Bangalore.jpg|thumb|right|[[পদ্মাসন|পদ্মাসনে]] উপবিষ্ট ধ্যানস্থ [[শিব|শিবের]] মূর্তি, [[বেঙ্গালুরু]], [[ভারত]]]]
{{Hindu philosophy}}
'''যোগ''' ([[সংস্কৃত]], [[পালি ভাষা|পালি]]: {{lang|inc|[[:wikt:योग|योग]]}} ''{{IAST|yóga}}'') [[ভারতীয় উপমহাদেশ|ভারতীয় উপমহাদেশে]] উদ্ভূত একপ্রকার ঐতিহ্যবাহী শারীরবৃত্তীয় ও মানসিক সাধনপ্রণালী।<ref>For the uses of the word in [[Pāli]] literature, see Thomas William Rhys Davids, William Stede, ''Pali-English dictionary.'' Reprint by Motilal Banarsidass Publ., 1993, page 558: [http://books.google.com/books?id=xBgIKfTjxNMC&pg=RA1-PA558&dq=yoga+pali+term&lr=#PRA1-PA558,M1]</ref> "যোগ" শব্দটির দ্বারা [[হিন্দুধর্ম|হিন্দু]], [[বৌদ্ধধর্ম|বৌদ্ধ]] ও [[জৈনধর্ম|জৈনধর্মের]] ধ্যানপ্রণালীকেও বোঝায়।<ref>Denise Lardner Carmody, John Carmody, ''Serene Compassion.'' Oxford University Press US, 1996, page 68.</ref><ref>Stuart Ray Sarbacker, ''Samādhi: The Numinous and Cessative in Indo-Tibetan Yoga.'' SUNY Press, 2005, pages 1-2.</ref><ref name="Tattvarthasutra 2007 p. 102">Tattvarthasutra [6.1], see Manu Doshi (2007) Translation of Tattvarthasutra, Ahmedabad: Shrut Ratnakar p. 102</ref> হিন্দুধর্মে এটি [[হিন্দু দর্শন|হিন্দু দর্শনের]] ছয়টি প্রাচীনতম ([[আস্তিক ও নাস্তিক (
হিন্দু দর্শনে যোগের প্রধান শাখাগুলি হল [[রাজযোগ]], [[কর্মযোগ]], [[জ্ঞানযোগ]], [[ভক্তি যোগ|ভক্তিযোগ]] ও [[হঠযোগ]]।<ref name=yogaTrads1_042007>Pandit Usharbudh Arya (1985). The philosophy of hatha yoga. Himalayan Institute Press; 2nd ed.</ref><ref name=yogaTrads2_042007>Sri Swami Rama (2008) The royal path: Practical lessons on yoga. Himalayan Institute Press; New Ed edition.</ref><ref name=yogaTrads_3042007>[[Swami Prabhavananda]] (Translator), [[Christopher Isherwood]] (Translator), Patanjali (Author). (1996). Vedanta Press; How to know god: The yoga aphorisms of Patanjali. New Ed edition.</ref> ভারতীয় দার্শনিক [[সর্বপল্লী রাধাকৃষ্ণন|সর্বপল্লী রাধাকৃষ্ণনের]] মতে, [[পতঞ্জলির যোগসূত্র|পতঞ্জলির যোগসূত্রে]] যে যোগের উল্লেখ আছে, তা হিন্দু দর্শনের ছয়টি প্রধান শাখার অন্যতম (অন্যান্য শাখাগুলি হলো কপিলের সাংখ্য, গৌতমের ন্যায়, কণাদের বৈশেষিক, জৈমিনীর পূর্ব মীমাংসা ও বদরায়ানের উত্তর মীমাংসা বা বেদান্ত)।<ref>Radhankrishan, Indian Philosophy, London, George Allen & Unwin Ltd., 1971 edition, Volume II, pp. 19-20.</ref> এছাড়াও [[উপনিষদ্]], [[ভগবদ্গীতা]], [[হঠযোগ প্রদীপিকা]],
যোগ বিষয়ে উল্লিখিত পুরোনো গ্রন্থসমূহ থেকে এর সময়ক্রম সম্বন্ধে স্পষ্টধারণা পাওয়া যায় না । কিছু গ্রন্থ যেমন হিন্দুদের [[উপনিষদ]]<ref name="marksing">Mark Singleton (2010), Yoga Body: The Origins of Modern Posture Practice, Oxford University Press, ISBN 978-0195395341, pages 25-34</ref> বা বৌদ্ধধর্মের<ref name="Werner (1977) p. 119-20" /> [[পালি ভাষা]]য় লেখা কতিপয় ধর্মশাস্ত্রে যোগের বিষয়ে প্রথম উল্লেখ পাওয়া যায়। [[
[[স্বামী বিবেকানন্দ]]র সফলতার পর, উনিশ শতকের শেষভাগে এবং বিংশ শতকের প্রারম্ভ থেকে বিভিন্ন সময়ে ভারতবর্ষের যোগাচার্য্যগণ পশ্চিমী দেশসমূহে যোগবিদ্যার প্রচার করেন।<ref name="autogenerated16">Burley, Mikel (2000).</ref> ১৯৮০ র দশকে পাশ্চাত্য দেশসমূহে এটি শরীরচর্চার অঙ্গ হিসেবে জনপ্রিয় হয়। অবশ্য ভারতীয় পরম্পরায় যোগকে কেবল এক শরীরচর্চার অঙ্গ মাত্র জ্ঞান করা হয় না, এর এক আধ্যাত্মিক এবং ধ্যানের প্রাণ আছে বলে বিবেচনা করা হয়।<ref>Marek Jantos (2012), in Oxford Textbook of Spirituality in Healthcare (Editors: Mark Cobb et al.), Oxford University Press, ISBN 978-0199571390, pages 362-363</ref> তদুপরি, [[সাংখ্য দর্শন]]ের সাথে বহু মিল থাকা যোগ হল হিন্দুধর্মের ছয়টি মূল ধারার একটি, যার নিজেরই এক মীমাংসা প্রণালী (epistemology) এবং তত্ত্ব (metaphysics) আছে।<ref>Mikel Burley (2012), Classical Samkhya and Yoga: An Indian Metaphysics of Experience, Routledge, ISBN 978-0415648875, See Introduction section;</ref>
১৩ নং লাইন:
[[সংস্কৃত]] "যোগ" শব্দটির একাধিক অর্থ রয়েছে।<ref>For a list of 38 meanings of the word "yoga" see: Apte, p. 788.</ref> এটি সংস্কৃত "যুজ" ধাতু থেকে ব্যুৎপন্ন, যার অর্থ "নিয়ন্ত্রণ করা", "যুক্ত করা" বা "ঐক্যবদ্ধ করা"।<ref>For "yoga" as derived from the Sanskrit root "yuj" with meanings of "to control", "to yoke, or "to unite" see: Flood (1996), p. 94.</ref> "যোগ" শব্দটির আক্ষরিক অর্থ তাই "যুক্ত করা", "ঐক্যবদ্ধ করা", "সংযোগ" বা "পদ্ধতি"। আর "যোগযুক্ত" শব্দের অন্য একটি অর্থ হচ্ছে "একাগ্রতার সহিত"।
<ref>For meaning 1. joining, uniting, and 2., union, junction, combination see: Apte, p. 788.</ref><ref>For "mode, manner, means," see: Apte, p. 788, definition 5.</ref><ref>For "expedient, means in general," see: Apte, p. 788, definition 13.</ref> সম্ভবত "যুজির্সমাধৌ" শব্দটি থেকে "যোগ" শব্দটি এসেছে, যার অর্থ "চিন্তন" বা "সম্মিলন"।<ref>For "yoga" as derived from the root "yujir samadhau" rather than "yujir yoge," see Maehle p. 141</ref> দ্বৈতবাদী রাজযোগের ক্ষেত্রে এই অনুবাদটি যথাযথ। কারণ উক্ত যোগে বলা হয়েছে চিন্তনের মাধ্যমে [[প্রকৃতি (হিন্দু দর্শন)|প্রকৃতি]] ও [[পুরুষ (
যিনি যোগ অনুশীলন করেন বা দক্ষতার সহিত উচ্চমার্গের যোগ দর্শন অনুসরণ করেন, তাকে [[যোগী]] বা [[যোগিনী]] বলা হয়।<ref>American Heritage Dictionary: "Yogi, One who practices yoga." Websters: "Yogi, A follower of the yoga philosophy; an ascetic."</ref>
২১ নং লাইন:
{{মূল নিবন্ধ|যোগের ইতিহাস}}
বৈদিক [[সংহিতা|সংহিতায়]] তপস্বীদের উল্লেখ থাকলেও, [[তপস্যা|তপস্যার]] (তপঃ) উল্লেখ পাওয়া যায় বৈদিক [[ব্রাহ্মণ (
* [[Jonathan Mark Kenoyer]] describes one figure as "seated in yogic position." [http://www.harappa.com/indus/33.html "Around the Indus in 90 Slides" by Jonathan Mark Kenoyer]
* Karel Werner writes that "Archeological discoveries allow us therefore to speculate with some justification that a wide range of Yoga activities was already known to the people of pre-Aryan India." {{বই উদ্ধৃতি|শেষাংশ=Werner|প্রথমাংশ=Karel|শিরোনাম=Yoga and Indian Philosophy|প্রকাশক=Motilal Banarsidass Publ.|পাতা=103|বছর=1998|আইএসবিএন=9788120816091|ইউআরএল=http://books.google.com/?id=c6b3lH0-OekC&pg=PA103}}.
৩৪ নং লাইন:
প্রাক-বৌদ্ধ ব্রাহ্মণ্য গ্রন্থগুলিতে ধ্যানের উল্লেখ পাওয়া যায় না। তা সত্ত্বেও ওয়েইনি নিরাকার ধ্যানপদ্ধতিকে ব্রাহ্মণ্য ধর্ম থেকেও উৎসারিত বলে মনে করেছেন। এর প্রমাণস্বরূপ তিনি ঔপনিষদ বিশ্ববর্ণনা ও আদিযুগীয় বৌদ্ধ গ্রন্থগুলিতে বর্ণিত বুদ্ধের দুই গুরুর ধ্যানকেন্দ্রিক লক্ষ্যের শক্তিশালী সমান্তরাল ধারাটির উল্লেখ করেছেন।<ref name="Alexander Wynne 2007, page 51">Alexander Wynne, "The Origin of Buddhist Meditation." Routledge, 2007, page 51.</ref> তবে তিনি কম সম্ভাবনাময় বিষয়গুলিরও উল্লেখ করতে ভোলেননি।<ref>Alexander Wynne, "The Origin of Buddhist Meditation." Routledge, 2007, page 56.</ref> তার মতে, উপনিষদের বিশ্ববর্ণনায় ধ্যানপদ্ধতির একটি আভাস পাওয়া যায়। তিনি আরও বলেছেন, [[নাসদীয় সূক্ত]] এবং পরবর্তী ঋগ্বৈদিক যুগেও ধ্যানপ্রণালীর অস্তিত্বের প্রমাণ মেলে।<ref name="Alexander Wynne 2007, page 51"/>
বৌদ্ধ ধর্মগ্রন্থগুলিই সম্ভবত প্রথম গ্রন্থ যেগুলিতে ধ্যানের পদ্ধতি বর্ণিত হয়।<ref>[[Richard Gombrich]], "Theravada Buddhism: A Social History from Ancient Benares to Modern Colombo." Routledge and Kegan Paul, 1988, page 44.</ref> এই সকল গ্রন্থে বুদ্ধের আবির্ভাবের পূর্বে বিদ্যমান এবং বৌদ্ধধর্মের মধ্যে উদ্ভূত – এই উভয় প্রকার ধ্যানপ্রণালীরই বর্ণনা পাওয়া যায়।<ref>Alexander Wynne, "The Origin of Buddhist Meditation." Routledge, 2007, page 50.</ref> হিন্দু সাহিত্যে "যোগ" শব্দটি প্রথম উল্লিখিত হয়েছে [[
{{আরও দেখুন|হিন্দুধর্ম|যোগাসন}}
৪০ নং লাইন:
==== পতঞ্জলি যোগসূত্র ====
{{মূল নিবন্ধ|রাজযোগ|পতঞ্জলির যোগসূত্র}}
[[হিন্দু দর্শন|হিন্দু দর্শনে]] যোগদর্শন ছয়টি [[
<blockquote>
৫৬ নং লাইন:
পতঞ্জলির রচনা "অষ্টাঙ্গ যোগ" নামে প্রচলিত ব্যবস্থাটির মূল ভিত্তি। এই অষ্টাঙ্গ যোগের ধারণাটি পাওয়া যায় যোগসূত্রের দ্বিতীয় খণ্ডের ২৯তম সূত্রে। অষ্টাঙ্গ যোগই বর্তমানে প্রচলিত রাজযোগের প্রতিটি প্রকারভেদের মৌলিক বৈশিষ্ট্য। এই আটটি অঙ্গ হল:
:;১. [[
:;২. [[নিয়ম (যোগশাস্ত্র)|নিয়ম]] (পাঁচটি "ধার্মিক ক্রিয়া"): পবিত্রতা, সন্তুষ্টি, তপস্যা, সাধ্যায় ও ঈশ্বরের নিকট আত্মসমর্পণ। 'যম' ও 'নিয়ম' এ দুয়েরই উদ্দেশ্য হল ইন্দ্রিয় ও চিত্তবৃত্তিগুলিকে দমন করা এবং এগুলিকে অন্তর্মুখী করে ঈশ্বরের সঙ্গে যুক্ত করা।
:;৩. [[যোগাসন|আসন]]: যোগ অভ্যাস করার জন্য যে ভঙ্গিমায় শরীরকে রাখলে শরীর স্থির থাকে অথচ কোনোরূপ কষ্টের কারণ ঘটেনা তাকে আসন বলে। সংক্ষেপে স্থির ও সুখজনকভাবে অবস্থান করার নামই আসন।
:;৪. [[প্রাণায়ম]] ("প্রাণবায়ু নিয়ন্ত্রণ"): প্রাণস্বরূপ নিঃশ্বাস-প্রশ্বাস নিয়ন্ত্রণের মাধ্যমে জীবনশক্তিকে নিয়ন্ত্রণ।
৬৩ নং লাইন:
:;৬. [[ধারণা]]: কোনো একটি বিষয়ে মনকে স্থিত করা। কোনো বিশেষ বস্তুতে বা আধারে চিত্তকে নিবিষ্ট বা আবদ্ধ করে রাখাকে ধারণা বলে।
:;৭. [[হিন্দুধর্মে ধ্যান|ধ্যান]]: মনকে ধ্যেয় বিষয়ে বিলীন করা। যে বিষয়ে চিত্ত নিবিষ্ট হয়, সে বিষয়ে যদি চিত্তে একাত্মতা জন্মায় তাহলে তাকে ধ্যান বলে। এই একাত্মতার অর্থ অবিরতভাবে চিন্তা করতে থাকা।
:;৮. [[সমাধি (
এই শাখার মতে, চৈতন্যের সর্বোচ্চ অবস্থায় উঠতে পারলে বৈচিত্র্যময় জগতকে আর [[মায়া (
== প্রকারভেদ ==
|