ভারত শাসন আইন, ১৯৩৫: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
ট্যাগ: মোবাইল সম্পাদনা মোবাইল অ্যাপ সম্পাদনা অ্যান্ড্রয়েড অ্যাপ সম্পাদনা
ট্যাগ: মোবাইল সম্পাদনা মোবাইল অ্যাপ সম্পাদনা অ্যান্ড্রয়েড অ্যাপ সম্পাদনা
১১ নং লাইন:
== যুক্তরাষ্টীয় কাঠামো (Federative Structure) ==
 
ভারত শাসন আইন অনুসারে ভারতে ব্রিটিশশাসিত প্রদেশ, দেশীয় রাজ্য এবং চিফ কমিশনার শাসিত প্রদেশ গুলিকে নিয়ে এক সর্বভারতীয় যুক্তরাষ্ট্র গঠনের ব্যবস্থা করা হয়। যুক্তরাষ্ট্রের প্রধান পরিচালক হন গভর্নর জেনারেল। গভর্নর জেনারেল তাঁর মনোনীত তিনজন সদস্য নিয়ে একটি গভর্নর বোর্ড গঠন করেন। এই তিন সদস্য বিশিষ্ট পরিষদের সাহায্যে গভর্নর জেনারেল ভারতবর্ষের প্রতিরক্ষা, বৈদেশিক নীতি, খ্রিস্টধর্ম সংক্রান্ত বিষয় পরিচালনা করতেন। অন্যান্য বিষয়গুলি পরিচালনার জন্য একটি মন্ত্রিসভা গঠন করা হয়। মন্ত্রীগণ তাঁদের কাজের জন্য আইনসভার কাছে দায়ী থাকতেন। কয়েকটি বিশেষ ক্ষেত্রে, যেমন দেশে শান্তিশৃঙ্খলা বজায় রাখা ইত্যাদি ব্যাপার গভর্নর জেনারেল মন্ত্রিসভার পরামর্শ গ্রহণ নাও করতে পারেন। যুক্তরাষ্ট্রের আইনসভা দুটি পরিষদ নিয়ে গঠিত হবে। উচ্চকক্ষের নাম হবে রাষ্ট্রীয় বোর্ড বা রাজ্যসভা (Council of States and National Assembly) এবং নিম্নকক্ষের নাম হবে ব্যবস্থা বোর্ড বা মৈত্রীসভাব্যবস্থাপকসভা (Federative Assembly)। রাষ্ট্রীয় বোর্ড বা রাজ্যসভা একটি স্থায়ী সংসদ হবে এবং এর এক তৃতীয়াংশ সদস্যের প্রতি তিন বছর অন্তর কার্যকাল শেষ হবে এবং সেই জায়গায় নতুন সদস্য নেওয়া হবে। অবসর গ্রহণকারী সদস্যরা পুনরায় নির্বাচিত হতে পারবেন। রাষ্ট্রীয় বোর্ডের সদস্য সংখ্যা হবে অনধিক ২৬০। এঁদের মধ্যে ১৫৬ জন ব্রিটিশ শাসিত ভারত থেকে নির্বাচিত হবেন এবং অনধিক ১০৪ জন স্বাদেশীয় রাজ্যের গভর্নরদের দ্বারা মনোনীত হবেন। নিম্নকক্ষ ব্যবস্থা বোর্ড বা মৈত্রীসভা (Federative Assembly) পাঁচ বছরের মেয়াদে নির্বাচিত হবে বলে ঠিক হয়। এর সদস্য সংখ্যা হবে অনধিক ৩৭৫। ব্রিটিশ শাসিত ভারত থেকে ২৫০ জন এবং স্বাদেশীয় রাজ্যগুলি থেকে ১২৫ জন সদস্য বোর্ডের জন্য নির্বাচিত হবেন।
 
== তথ্যসূত্র ==