আর্নেস্ট বিনফিল্ড হ্যাভেল: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
সম্পাদনা সারাংশ নেই
ট্যাগ: মোবাইল সম্পাদনা মোবাইল ওয়েব সম্পাদনা
ট্যাগ: মোবাইল সম্পাদনা মোবাইল ওয়েব সম্পাদনা
২২ নং লাইন:
 
== শিল্প ইতিহাস ==
ই বি  হ্যাভেল তেইশ বৎসর বয়সে মাদ্রাজ প্রেসিডেন্সির গভর্নর স্যার মাউন্ট স্টুয়ার্ট এলফিনস্টোন গ্রান্ট ডাফ-এর  সুপারিশে ভারতসচিব লর্ড কিম্বার্লি কর্তৃক মনোনীত হয়ে ভারতে আসেন এবং ১৮৮৪ খ্রিস্টাব্দের ২১ জানুয়ারি মাদ্রাজ সরকারি আর্ট স্কুলে প্রথমদিকে সুপারিনটেনডেন্ট পদে এবং পরে এক দশকের জন্য  অধ্যক্ষের কার্যভার গ্রহণ করেন। কিন্তু আট বৎসর পর তিনি ১৮৯২ খ্রিস্টাব্দে তিনি ইউরোপে ফিরে যান এবং চার বৎসর ফ্রান্স ও ইতালিতে চারুকলাচর্চায় অতিবাহিত করেন। এই সময়ে তিনি ডেনিশ নৌবাহিনীর অফিসার  জর্জ জ্যাকবসনের কন্যা ভাস্কর লিলি জ্যাকবসনকে বিবাহ করেন।<ref name = "সংসদ"></ref> ১৮৯৬ খ্রিস্টাব্দের ৫ জুলাই তিনি পুনরায় ভারতে আসেন এবং পরের দিনই [[ গভর্নমেন্ট কলেজ অব আর্ট অ্যান্ড ক্র্যাফট, কলকাতা|কলকাতার গভর্নমেন্ট স্কুল অফ আর্ট- এর]] সুপারিনটেনডেন্ট পদে যোগদান করেন। এর মধ্যে, তিনি ১৯০২ খ্রিস্টাব্দের এপ্রিল  থেকে ১৯০৩ খ্রিস্টাব্দের মার্চ পর্যন্ত এক বছরের জন্য ইংল্যান্ডে যান। ইংল্যান্ডে থাকাকালীন, তিনি লন্ডনের একটি বিখ্যাত আর্ট জার্নাল, দ্য স্টুডিও -এর ১৯০২ খ্রিস্টাব্দের  অক্টোবর  এবং ১৯০৩ খ্রিস্টাব্দের  জানুয়ারি সংখ্যায় ভারতীয় শিল্পের উপর দুটি মূল্যবান নিবন্ধ লেখেন। এখানেই তার সঙ্গে পরিচয় হয় [[অবনীন্দ্রনাথ ঠাকুর| অবনীন্দ্রনাথ]], [[অন্নদাপ্রসাদ বাগচী]] প্রমুখ শিল্পীর সঙ্গে। প্রায় নয় বৎসর অধ্যক্ষতার পর হ্যাভেল উন্মাদ রোগগ্রস্ত হন এবং ১৯০৬ খ্রিস্টাব্দের ১ মার্চ  দীর্ঘ ছুটিতে ইংল্যান্ডে ফিরে যান এবং অবশেষে ১৯০৮ খ্রিস্টাব্দে তাকে পদ থেকে অপসারণ করা হয়।। <ref>Bagal, Jogesh Chandra (1966). ''History of the Govt. College of Art and Craft'' in the ''Centenary: Government College of Art & Craft, Calcutta'', Calcutta: Government College of Art & Craft, pp.21–34</ref>
 
হ্যাভেল [[অবনীন্দ্রনাথ ঠাকুর|অবনীন্দ্রনাথ ঠাকুরের]] সহযোগিতায় ভারতীয় শিল্প ঐতিহ্যকে পুনরুজ্জীবনে হ্যাভেলের অপরিসীম আগ্রহ ছিল। তিনি  নতুনভাবে সংজ্ঞায়িত করার লক্ষ্যে কাজ করেছিলেন। তিনি ইন্ডিয়ান সোসাইটি অফ ওরিয়েন্টাল আর্ট প্রতিষ্ঠা করেন। যার মাধ্যমে তিনি শিল্প শিক্ষায় ইউরোপীয় ঐতিহ্যের উপর জোর না দিয়ে  ভারতের আদি শিল্প শৈলী বিশেষকরে মুঘল ঐতিহ্যের পুনরুজ্জীবনে সচেষ্ট ছিলেন।  তিনি ইন্ডিয়ান স্কাল্পচার অ্যান্ড পেন্টিং (১৯০৮) এবং দ্য আইডিয়ালস অফ ইন্ডিয়ান আর্ট (১৯১১)  সহ ভারতীয় শিল্পের উপর বেশ কয়েকটি গ্রন্থ রচনা করেন । ভারতীয় শিল্পের উপর স্যার জর্জ বার্ডউডের নেতিবাচক মন্তব্যের প্রতিক্রিয়ার উত্তরে ১৯১০ খ্রিস্টাব্দে উইলিয়াম রোথেনস্টাইনের সঙ্গে যৌথ প্রচেষ্টায় রয়েল  ইন্ডিয়া সোসাইটি প্রতিষ্ঠায় অংশ নেন