জোয়ার-ভাটা: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য
বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
সম্পাদনা সারাংশ নেই ট্যাগ: পুনর্বহালকৃত মোবাইল সম্পাদনা মোবাইল ওয়েব সম্পাদনা |
অ Mohammad Sajidur Rahman (আলাপ)-এর সম্পাদিত সংস্করণ হতে Salim Khandoker-এর সম্পাদিত সর্বশেষ সংস্করণে ফেরত ট্যাগ: পুনর্বহাল |
||
১ নং লাইন:
{{
[[
[[পৃথিবী|পৃথিবীর]] বাইরের [[মহাকর্ষ|মহাকর্ষীয় শক্তির]] (বিশেষ করে [[চাঁদ|চাঁদের]]) প্রভাবে সমুদ্রপৃষ্ঠের জল নিয়মিত বিরতিতে ফুলে ওঠাকে জোয়ার ও নেমে যাওয়ার ঘটনাকে ভাটা বলে। এই দুইয়ের একত্রে '''জোয়ার-ভাটা''' বলা হয়। জোয়ার-ভাটার ফলে সমুদ্রে যে তরঙ্গের সৃষ্টি হয়, তাকে জোয়ার তরঙ্গ (Tidal Eaves) বলে। জোয়ারের জল উপকূলের দিকে অগ্রসর হলে জল সমতলের যে উত্থান ঘটে, তাকে জোয়ারের জলের সর্বোচ্চ সীমা (High Tide Water) এবং ভাটার জল সমুদ্রের দিকে নেমে যাওয়ার সময় জল সমতলের যে পতন ঘটে, তাকে জোয়ারের জলের সর্বনিম্ন সীমা (Low Tide Water) বলে। প্রতি ১২ ঘণ্টা পরপর জোয়ার-ভাটা হয়ে থাকে ।অর্থাৎ দিনে দুবার জোয়ার ভাটা হয়। জোয়ার ভাটার কিছু উপকারিতা রয়েছে আবার কিছু অপকারিতা রয়েছে। আমরা জানি পৃথিবীতে চাঁদের আকর্ষণ বলের কারণে জোয়ার-ভাটা সৃষ্টি হয় ।জোয়ার-ভাটা একটি নিয়মিত প্রক্রিয়া ।জোয়ার ভাটার সাহায্যে সমুদ্রের পাশে [[লবণ তৈরি]] করা হয়। জোয়ারের পানিতে ধরে রেখে রোদে শুকিয়ে লবণ তৈরি করা হয়। আবার বন্যার সময় জোয়ারের পানির কারণে [[নদী ভাঙ্গন]] হয়ে থাকে।
[[চিত্র:Field tidal.png|thumb|
== জোয়ার-ভাটা সৃষ্টির কারণ ==
জোয়ার-ভাটা সৃষ্টির প্রধান কারণ হল-
* [[সূর্য]] ও প্রধানত [[চাঁদ]] দ্বারা পৃথিবীর ওপর '''প্রযুক্ত মহাকর্ষ''' বল।
* পৃথিবীর ওপর কার্যকরী '''অপকেন্দ্রিক''' বল।
পৃথিবীর যে পাশে চাঁদ থাকে সে পাশে চাঁদ দ্বারা পৃথিবীপৃষ্ঠের সমুদ্রের জল তার নিচের মাটি অপেক্ষা বেশি জোরে আকৃষ্ট হয়। এ কারণে চাঁদের দিকে অবস্থিত জল বেশি ফুলে উঠে। একই সময়ে পৃথিবীর যে অংশ চাঁদের বিপরীত দিকে থাকে, সেদিকের সমুদ্রের নিচের মাটি তার উপরের জল অপেক্ষা চাঁদ কর্তৃক বেশি জোরে আকৃষ্ট হয়। আবার চাঁদ থেকে জলের দূরত্ব মাটি অপেক্ষা বেশি থাকায় জলের উপর চাঁদের আকর্ষণ কম থাকে। ফলে সেখানকার জলও ফুলে উঠে। ফলে একই সময়ে চাঁদের দিকে এবং চাঁদের বিপরীত দিকে পৃথিবীর সমুদ্রপৃষ্ঠের জলের এই ফুলে উঠাকে জোয়ার বলে।
আবার পৃথিবী ও চাঁদের ঘুর্ণনের কারণে একসময় ফুলে ওঠা জল নেমে যায়। জলের এই নেমে যাওয়াকে ভাটা বলে।
পৃথিবী যে সময়ের মধ্যে নিজ অক্ষের চারদিকে একবার আবর্তন করে (এক দিনে) সে সময়ের মধ্যে পৃথিবীর যেকোন অংশ একবার চাঁদের দিকে থাকে এবং একবার চাঁদের বিপরীত দিকে থাকে। এ কারণে পৃথিবীর যেকোন স্থানে দুইবার জোয়ার এবং দুইবার ভাটা হয়।
জোয়ার-ভাটার জন্য সূর্যের আকর্ষণও অনেকাংশে দায়ী। তবে অনেক দূরে থাকায় সূর্যের আকর্ষণ চাঁদের আকর্ষণের থেকে কম কার্যকর। সূর্য এবং চাঁদ যখন সমসূত্রে পৃথিবীর একই দিকে বা বিপরীত দিকে অবস্থান করে তখন উভয়ের আকর্ষণে সর্বাপেক্ষা উঁচু জোয়ার হয়, জোয়ারের জল বেশি ছাপিয়ে পড়ে। এই অবস্থাকে ভরা কাটাল বা উঁচু জোয়ার বলা হয়। আর পৃথিবীকে কেন্দ্র করে সূর্য এবং চাঁদের মধ্য কৌণিক দূরত্ব যখন এক সমকোণ পরিমাণ হয় তখন একের আকর্ষণ অন্যের আকর্ষণ দ্বারা প্রশমিত হয়। তাই সবচেয়ে নিচু জোয়ার হয় যাকে মরা কাটাল বলে আখ্যায়িত করা হয়।
== মুখ্য জোয়ার ==
চন্দ্র পৃথিবীর চারদিকে আবর্তনকালে পৃথিবীর যে অংশ চন্দ্রের নিকটবর্তী হয়, সেখানে চন্দ্রের আকর্ষণ সর্বাপেক্ষা বেশি হয়। এ আকর্ষণে চারদিক হতে জলরাশি এসে চন্দ্রের দিকে ফুলে ওঠে এবং জোয়ার হয়। এরুপে সৃষ্ট জোয়ারকে মুখ্য জোয়ার বা প্রত্যক্ষ জোয়ার বলা হয়।
== গৌণ জোয়ার ==
|