রূপরাম চক্রবর্তী: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
ট্যাগ: মোবাইল সম্পাদনা মোবাইল ওয়েব সম্পাদনা উচ্চতর মোবাইল সম্পাদনা
BanglaBot (আলোচনা | অবদান)
ত্রুটি সংশোধন, আইডি: ৬৪
২ নং লাইন:
 
== জীবনী ==
রূপরাম চক্রবর্তী [[বর্ধমান জেলা|বর্ধমান জেলার]] (বর্তমানে ''[[পূর্ব বর্ধমান জেলা|]]''পূর্ব বর্ধমান জেলা'']]) দক্ষিণ প্রান্তে রায়না থানার অন্তর্গত গ্রাম কাইতি-শ্রীরামপুরে পৈতৃক ভিটায় জন্মগ্রহণ করেন। কবি রূপরামের পিতার নাম শ্রীরাম চক্রবর্তী এবং মাতার নাম দৈমন্তী দেবী (অথবা, দয়মন্তী বা দময়ন্তী বা দয়াবন্তী)।<ref>{{বই উদ্ধৃতি|ইউআরএল=http://archive.org/details/in.ernet.dli.2015.303335|শিরোনাম=রূপরামের ধর্মমঙ্গল: (বন্দনা হইতে লাউসেন - চুরি পালা পর্যন্ত)|তারিখ=|বছর=১৯৪৪|সম্পাদক-শেষাংশ=সেন|সম্পাদক-প্রথমাংশ=সুকুমার|সম্পাদক-শেষাংশ২=মণ্ডল|সম্পাদক-প্রথমাংশ২=পঞ্চানন|প্রকাশক=সাহিত্য-সভা|অবস্থান=বর্ধমান|খণ্ড=প্রথম খণ্ড}}</ref> পিতা শ্রীরাম চক্রবর্তী খ্যাতিমান [[সংস্কৃত ভাষা|সংস্কৃত]] পণ্ডিত ছিলেন, তাঁর টোলে শতাধিক ছাত্র অধ্যয়ন করতো। পিতা শ্রীরামের মৃত্যুর পর রূপরামের জ্যেষ্ঠভ্রাতা রত্নেশ্বরের সঙ্গে তাঁর মনোমালিন্য হলে রূপরাম পার্শ্ববর্তী আড়ুই গ্রামের পণ্ডিত রঘুরাম ভট্টাচার্যের টোলে উপস্থিত হন। সেখানে কিছুদিন অধ্যয়ন করার পর রূপরামের তর্কপরায়ণতায় অতিষ্ঠ হওয়ায় গুরুশিষ্যের মধ্যে ব্যবধান সৃষ্টি হয়। রূপরামকে অন্যত্র পড়তে জেতে বললে রূপরাম [[নবদ্বীপ|নবদ্বীপের]] উদ্দেশ্যে গমন করেন। কিন্তু কিছুদূর যেতেই তাঁর মায়ের কথা মনে পরলে তিনি বাড়িমুখে অগ্রসর হন।<ref>{{বই উদ্ধৃতি|ইউআরএল=http://archive.org/details/in.ernet.dli.2015.301847|শিরোনাম=বাংলা সাহিত্যের ইতিহাস|শেষাংশ=ভট্টাচার্য|প্রথমাংশ=আশুতোষ|তারিখ=|বছর=১৯৫৯|প্রকাশক=বুক সিণ্ডিকেট প্রাইভেট লিমিটেড|অবস্থান=২, রামনাথ বিশ্বাস লেন, কলকাতা|পাতাসমূহ=৯৯|সংস্করণ=তৃতীয়}}</ref> ফেরার পথে পলাশনের কাছে তিনি দিকভ্রষ্ট হলে [[ধর্মঠাকুর]] [[ব্রহ্মন্|ব্রাহ্মণ]] বেশে তাঁর সামনে উপস্থিত হয়ে তাঁকে সান্তনাসান্ত্বনা দেন এবং ধর্মমঙ্গল রচনার আদেশ দেন। ধর্মঠাকুর অন্তর্হিত হলে রূপরাম দেখে দুটি [[বাঘ]] তার দিকে চেয়ে লেজ নাড়ছে। রূপরাম ভয় পেয়ে সোজা বাড়ির দিকে দৌড় দেয়। ঘরে ধুকতেই দাদা রত্নেশ্বরের মুখোমুখি হলে দাদার কাছে অপমানিত হয়ে মাকে না দেখেই আবার গৃহ ত্যাগ করে।<ref>{{বই উদ্ধৃতি|ইউআরএল=http://archive.org/details/in.ernet.dli.2015.458096|শিরোনাম=বাঙ্গালা সাহিত্যের ইতিহাস: সপ্তদশ - অষ্টাদশ শতাব্দী|শেষাংশ=সেন|প্রথমাংশ=সুকুমার|প্রকাশক=আনন্দ পাবলিশার্স প্রাঃ লিঃ|অবস্থান=কলকাতা|পাতাসমূহ=১৩৪|আইএসবিএন=81-7215 025-3|খণ্ড=দ্বিতীয় খণ্ড}}</ref> এরপর ধর্মঠাকুরের ছলনা ও দীর্ঘ কষ্টভোগের পর কবি গোপভূমের রাজা গণেশের সভায় উপস্থিত হয় এবং রাজার পৃষ্ঠপোষকতায় ধর্মমঙ্গল কাব্য রচনায় ব্রতী হন।<ref name=":0">{{বই উদ্ধৃতি|ইউআরএল=http://archive.org/details/in.ernet.dli.2015.357029|শিরোনাম=বাঙ্লা সাহিত্য পরিক্রমা|শেষাংশ=ঘোষ|প্রথমাংশ=ভোলানাথ|তারিখ=1957|প্রকাশক=এস, ব্যানার্জি এণ্ড কোং|অবস্থান=কলকাতা|পাতাসমূহ=১৬৫}}</ref> কাব্যরচনা সম্পন্ন হলে রাজা গণেশ ধর্মীয় রীতিনীতির গানের পরিবেশনের জন্য সমস্ত ব্যবস্থা করেছিলেন।<ref name=":1">{{বই উদ্ধৃতি|ইউআরএল=http://archive.org/details/historyofbengali01sens|শিরোনাম=History of Bengali literature|শেষাংশ=সেন|প্রথমাংশ=সুকুমার|তারিখ=|বছর=১৯৬০|প্রকাশক=সাহিত্য একাডেমী|অবস্থান=নতুন দিল্লি|পাতাসমূহ=১৪০|অন্যান্য=Duke University Libraries}}</ref> তৎকালীন সময়ে ধর্মঠাকুরের উপাসনার অপরাধে ব্রাহ্মণ সমাজ দ্বারা তাঁকে সমাজে পতিত হতে হয়েছিল।<ref>{{বই উদ্ধৃতি|ইউআরএল=http://archive.org/details/in.ernet.dli.2015.455396|শিরোনাম=বঙ্গীয় জীবনীকোষ: আদি - অষ্টাদশ শতাব্দী|শেষাংশ=জানা|প্রথমাংশ=প্রিয়নাথ|তারিখ=|বছর=১৯৫৫|প্রকাশক=মাতৃভাষা পরিষদ|অবস্থান=কলকাতা|পাতাসমূহ=৫০৪|খণ্ড=প্রথম খণ্ড}}</ref>
 
== কাব্য বৈশিষ্ট্য ==