গ্রিন বুক (চলচ্চিত্র): সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
লিঙ্কের পরামর্শ: ২টি লিঙ্ক যুক্ত করা হয়েছে।
ট্যাগ: দৃশ্যমান সম্পাদনা মোবাইল সম্পাদনা মোবাইল ওয়েব সম্পাদনা উচ্চতর মোবাইল সম্পাদনা নবাগতদের কাজ পরামর্শ: লিঙ্ক যুক্ত করা
BanglaBot (আলোচনা | অবদান)
ত্রুটি সংশোধন, ID: 6
ট্যাগ: অউব্রা পুনর্বহালকৃত
৫১ নং লাইন:
শার্লি ও টনি নিজেদের বিবেক-বুদ্ধি ও কৌশল প্রয়োগ করে তাদের ভ্রমণের সুন্দর একটা পরিসমাপ্তি টানেন। তবে যে উপাদানগুলো তাদের গল্পকে একটি উৎকৃষ্ট উদাহরণ হিসেবে তুলে ধরার মতো পূর্ণতা দিয়েছিল, সেগুলো ছিল তাদের পারস্পরিক আস্থা, শ্রদ্ধাবোধ ও দায়িত্বশীলতা। সবথেকে বড় ব্যাপার হলো, তাদের দুজনের ব্যক্তিত্বে জেগে ওঠা মনুষ্যত্ববোধ। ভিন্ন শ্রেণী, পেশা, বর্ণ, জাতীয়তা ও রুচির দুজন মানুষ কিভাবে একে অপরের খুব ভালো বন্ধুতে পরিণত হলেন তা সিনেমাটিতে খুব সুন্দরভাবে ফুটে উঠেছে।
 
সিনেমার গল্পটিকে আরও সূক্ষ্মভাবে বিশ্লেষণ করতে হলে প্রথমে সিনেমার নাম অর্থাৎ “গ্রিন বুক” দ্বারা আসলে কী বোঝানো হয়েছে সে ব্যাপারে পরিষ্কার ধারণা থাকা প্রয়োজন। উনবিংশঊনবিংশ শতাব্দীর শেষদিকে থেকে বিংশ শতাব্দীতে মধ্যভাগ পর্যন্ত মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের দক্ষিণাঞ্চলে “জিম ক্রো” নামে একধরনের পৃথকীকরণ আইন প্রচলিত ছিল। সে আইন মোতাবেক সে অঞ্চলে বসবাসরত অথবা অতিথি হিসেবে আসা কালো বর্ণের মানুষদের কিছু নির্দিষ্ট নীতিমালা মেনে চলতে হতো। মূলত, সাদা বর্ণের মানুষদের সাথে কালোদের বৈষম্য সৃষ্টিকারী আইন ছিল এটি। আর এ আইন দন্ডায়মান থাকাকালীন [[নিউ ইয়র্ক শহর|নিউ ইয়র্ক সিটির]] মেইল ম্যান ভিক্টর হুগো গ্রিন কালো বর্ণের লোকদের দক্ষিণাঞ্চলে চলাচলের সুবিধার্থে একটি বার্ষিক গাইডবুক প্রকাশ করেন।
 
১৯৩৬ থেকে ১৯৬৬ সাল পর্যন্ত অব্যাহত থাকা এ গাইডবুকটিতে আফ্রিকান-আমেরিকান ভ্রমণকারীদের সড়কপথে যাতায়াতের সময় মোটেল ও রেস্টুরেন্ট বেছে নিতে সুবিধা প্রদান করে থাকত। বলে রাখা ভালো, সে যুগে সব রেস্টুরেন্ট অথবা মোটেল কালোদের থাকা-খাওয়ার জন্য উন্মুক্ত ছিল না। তাই কালোদের আপ্যায়নের ব্যবস্থা আছে এমন কিছু নির্দিষ্ট জায়গার নাম ও ঠিকানাই “দ্য নিগ্রো মোটোরিস্ট গ্রিন বুক” নামের সে গাইডবুকে উল্লেখ করা থাকত। ডন শার্লি যেহেতু একজন আফ্রিকান-আমেরিকান ছিলেন তাই তাকে নিয়ে ট্যুরে বের হওয়ার সময় টনির হাতে তুলে দেওয়া হয় গ্রিন বুকের একটি কপি। আর সেখান থেকে সিনেমার টাইটেল রাখা হয়েছে, “গ্রিন বুক”।
 
শার্লি ও টনি যাত্রা শুরু করার পর সিনেমার গল্পটি যেন ভিন্ন এক ছন্দে প্রবাহিত হতে থাকে। একইসাথে অনেকটা পথ চলতে হলে দুজন মানুষের মধ্যে যে মতের মিল-অমিল,পরস্পরের আচরণের প্রতি সন্তুষ্টি-অসন্তুষ্টি ও পরিবেশের সাথে খাপ খাওয়ানোর আলাদা আলাদা উপায় আছে সেসব একে একে সিনেমার কাহিনীতে চিত্রায়িত করা হয়েছে। শার্লি নিপাট ভদ্রলোক, কখনো কোনো ঝগড়া-বিবাদ অথবা ঝামেলায় জড়াতে পছন্দ করতেন না এবং তিনি ছিলেন একজন সচেতন নাগরিক। অন্যদিকে টনি ছিলেন কথাবার্তায় পটু ও যেকোনো প্রতিকূল পরিবেশকে মাথা ঠান্ডা রেখে হালকা করার ক্ষেত্রে পারদর্শী ব্যক্তি। তবে শার্লির মতো তার আচার-ব্যবহারে তেমন একটা নম্রভাব ছিল না। তাই প্রথমদিকে একে অপরের সাথে নানা ছোটখাটছোটোখাটো বিষয় নিয়ে বাকবিতণ্ডা বেঁধে যেত। পরে অবশ্য ধীরে ধীরে পথ চলতে চলতে তাদের মধ্যে বেশ ভালো একটা বোঝাপড়া গড়ে ওঠে।
 
শার্লি যেমন টনির কাছ থেকে জীবনের ছোট ছোট মুহূর্তগুলোকে উপভোগ করতে শিখেছিলেন, ঠিক তেমনি টনিও শার্লির কাছ থেকে অনেক নতুন গুণ রপ্ত করেছিলেন। টনির কাছ থেকে শার্লি বাইরের দুনিয়ার নিষ্ঠুরতার কথা জানতে পারেন, আর শার্লির কাছ থেকে টনি শেখেন গুছিয়ে নিজের মনের কথা প্রকাশের ভাষা।
১০৭ নং লাইন:
}}
 
{{পূর্বনির্ধারিতবাছাই:চলচ্চিত্র, গ্রিন বুক (চলচ্চিত্র)}}
[[বিষয়শ্রেণী:ইংরেজি ভাষার চলচ্চিত্র]]
[[বিষয়শ্রেণী:২০১৮-এর চলচ্চিত্র]]