ইউনুস: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য
বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
৪৫ নং লাইন:
| ৬ || [[আল ক্বলম]] || ৪৮-৫০ || ৩
|}
==নাম ও বংশপরিচয়==
===ইউনূস (আ:)এর ঘটনা===▼
ইউনূস (আ:)এর বংশ সম্পর্কে শুধু এটুকুই জানা যায় যে, তাঁর পিতার নাম ছিল 'মাত্তা'।<ref>ফাতহুল বারী। ৬ষ্ঠ খন্ড। পৃস্ঠা:৩৫১</ref>বুখারী শরীফের একটি হাদীসে আব্দুল্লাহ ইবনে আব্বাস হতে স্পষ্টভাবে বর্ণিত আছে। বাইবেলে ইউনূস (আ:)এর নাম 'ইউনাহ' এবং তাঁর পিতার নাম 'আমতা' বলা হয়েছে। তবে ইউনূস ইবনে মাত্তাহ এবং ইউনাহ ইবনে আমতার মাঝে ব্যক্তি হিসেবে কোন পার্থক্য নেই। এটা আরবী ও হিব্রু ভাষার উচ্চারণের পার্থক্য।
==ধর্মপ্রচারের স্থান==
ইরাকের সুপ্রসিদ্ধ জনপদ 'নীনাওয়া'এর অধিবাসীদের হিদায়াতের জন্য তাঁর আবির্ভাব হয়েছিল। নীনাওয়া আশূরী রাজ্যের রাজধানী এবং মাওসেল এলাকার কেন্দ্রীয় শহর ছিল। কোরআনে এই শহরের জনসংখ্যা এক লক্ষাধিক বলা হয়েছে।
২৮ বছর বয়সে ইউনূস (আ:) নুবূয়্যত লাভ করেন এবং নীনাওয়াবাসী দাওয়াত দিতে আদিষ্ট হন। দীর্ঘদিন দাওয়াত দেয়ার পরও তারা ইমান না আনায় তিনি ক্রুদ্ধ হয়ে নীনাওয়াবাসীর জন্য গজবের দোয়া করেন এবং ওই শহর ত্যাগ করেন।ফোরাত ([[ইউফ্রেটিস]])নদীর তীরে পৌঁছার পর তিনি নৌকায় আরোহণ করেন। মাঝনদীতে যাওয়ার পর নৌকা ঝড়ে আক্রান্ত হয়। সে যুগের কুসংস্কার অনুযায়ী নৌকার আরোহীরা মনে করলো, নিশ্চয় এই নৌকায় কোন পলাতক দাস আছে। এটা শুনে ইউনূস (আ:)এর চৈতন্যদয় হলো যে, তিনি শহর ছাড়ার ব্যাপারে আল্লাহর অনুমতির অপেক্ষা করেননি। তিনি নিজের দোষ স্বীকার করলেন। কিন্তু নৌকার আরোহীরা তাঁর সততায় মুগ্ধ হলো এবং তাকে নৌকা থেকে ফেলে দিতে সম্মত হলো না। শেষপর্যন্ত তারা লটারী করলো এবং সেখানেও ইউনূস (আ:)এর নামই উঠলো। ফলে বাধ্য হয়ে তারা ইউনুস (আ:)কে নদীতে ফেলে দিল। এ সময় এক বিরাট মাছ তাকে গিলে ফেলে। কারো কারো মতে, সেটা ছিল তিমি মাছ।
তিমির পেটে অন্ধকারের মাঝে তিনি আল্লাহর কাছে কাকুতি মিনতি করে ক্ষমা প্রার্থনা করেন। ফলে আল্লাহর আদেশে মাছটি তাকেঁ তীরে এসে উগড়ে দিল। কোরআনরে বর্ণনামতে, দীর্ঘদিন মাছের পেটে থাকার কারণে তিনি অসুস্থ এবং দুর্বল হয়ে পড়েন। তাই আল্লাহ আপন অনুগ্রহে সেখানে লাউগাছ উৎপন্ন করেন। সুস্থ হওয়ার পর তাকেঁ আবার নীনাওয়াবাসীদের কাছেই পাঠানো হয় এবং নীনাওয়াবাসী ইমান আনে।
==তথ্যসূত্র==
* কাছাছুল কোরআন। হিফজুর রহমান রচিত,মাওলানা নূরুর রহমান অনূদিত এবং এমদাদিয়া লাইব্রেরি থেকে প্রকাশিত। তৃতীয় খন্ড। ১০০-১২৯ পৃষ্ঠা।
* তাফসীরে ইবনে কাসীর। সূরা সাফফাত।
{{তথ্যছক-কুরআনে উল্লেখিত পয়গম্বরবৃন্দ}}
|