আবু তাহের: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
Admhfz (আলোচনা | অবদান)
রচনাশৈলী, বানান সংশোধন, সম্প্রসারণ
ট্যাগ: দৃশ্যমান সম্পাদনা দ্ব্যর্থতা নিরসন পাতায় সংযোগ
২৯ নং লাইন:
}}
 
'''আবু তাহের, বীর উত্তম''' (১৪ নভেম্বর ১৯৩৮ - ২১ জুলাই ১৯৭৬) একজন বাংলাদেশি সেনা অফিসার, মুক্তিযোদ্ধা এবং বামপন্থী বিপ্লবী নেতা ছিলেন। [[বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ|বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ]] চলাকালে তিনি ছিলেন ১১ নং সেক্টরের সেক্টর কমান্ডার। মুক্তিযুদ্ধে অসামান্য রাখার জন্য তিনি '''''বীর উত্তম''''' খেতাব লাভ করেন। এছাড়াও তিনি ছিলেন ৭ নভেম্বরের [[সিপাহী ও জনতার বিপ্লব|সিপাহী-জনতার বিপ্লবের]] মূল পরিকল্পনাকারী ও পরিচালনাকারী।
 
== জন্ম ও শিক্ষাজীবন ==
আবু তাহের ব্রিটিশ শাসিত ভারতেবর্ষের আসাম প্রদেশের বাদারপুরেবদরপুরে ১৯৩৮ সালের [[নভেম্বর ১৪|১৪ নভেম্বর]] জন্মগ্রহণ করেন। পরে আসাম থেকে তারতাঁর পরিবার বাংলাদেশের [[নেত্রকোণা জেলা|নেত্রকোণা জেলার]] পূর্বধলায়পূর্বধলা আসেন।উপজেলায় তারফিরে আসে। তাঁর বাবার নাম মহিউদ্দিন আহমেদ এবং মায়ের নাম আশরাফুন্নেসা। তাঁর বাবা মহিউদ্দিন আহমেদ পেশায় আসাম-বেঙ্গল রেলওয়ে ও পরবর্তীতে পাকিস্তান রেলওয়ের একজন স্টেশন মাস্টার ছিলেন। তাঁর মা ছিলেন একজন গৃহিণী। আবু তাহের প্রাথমিক ও মাধ্যমিক পড়াশোনা শেষ করেন [[চট্টগ্রাম|চট্টগ্রামের]] প্রবর্তক বিদ্যালয় ও [[কুমিল্লা জেলা|কুমিল্লার]] ইউসুফ বিদ্যালয় থেকে। পরবর্তীতে ১৯৫৯ সালে [[সিলেট জেলা|সিলেটের]] [[এমসি কলেজ]] থেকে স্নাতক পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন। পরে পাকিস্তান সেনাবাহিনীতে যোগদানের আগপর্যন্ত তিনি [[ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়|ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের]] সমাজকল্যাণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউটে অল্প কিছুদিন পড়াশোনা করেন।<ref name="bpedia">{{ওয়েব উদ্ধৃতি |শিরোনাম=তাহের, কর্নেল আবু - বাংলাপিডিয়া |ইউআরএল=http://bn.banglapedia.org/index.php?title=তাহের,_কর্নেল_আবু |ওয়েবসাইট=bn.banglapedia.org |সংগ্রহের-তারিখ=২৬ ফেব্রুয়ারি ২০২০}}</ref>
 
== কর্মজীবন ==
১৯৬১ সালে পাকিস্তান সেনাবাহিনীতে অফিসার হিসাবে যোগদান করেন এবং ১৯৬২ সালে কমিশনপ্রাপ্ত হন। ১৯৬৫ সালের [[ভারত]]-[[পাকিস্তান]] যুদ্ধে কাশ্মীর আর শিয়ালকোট সেক্টরে যুদ্ধ করেন তিনি৷ সে যুদ্ধে তিনি আহতও হন৷ তখন পাকিস্তান সেনাবাহিনীর একমাত্র বাঙালি অফিসার হিসাবে তাকে 'মেরুন প্যারাস্যুট উইং' নামক সম্মাননা প্রদান করা হয়৷
 
== মুক্তিযুদ্ধে ভূমিকা ==
[[পাকিস্তান সেনাবাহিনী|পাকিস্তান সেনাবাহিনীর]] অফিসার হিসাবে তাহের কমান্ডো প্রশিক্ষণ লাভ করেন ও পরে সেনাবাহিনীর প্রশিক্ষক হিসাবে কাজ করেন। ১৯৬৯ সালে আবু তাহের [[মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র|যুক্তরাষ্ট]] থেকে স্পেশাল কমান্ডো প্রশিক্ষণ গ্রহন করেন। মুক্তিযুদ্ধের প্রথমদিকে তিনি পশ্চিম পাকিস্তানে আটকা পড়ে ছিলেন। সেখান থেকে কয়েকজন সঙ্গী নিয়ে রাতের অন্ধকারে ভারতে পালিয়ে যান। পাকিস্তান থেকে পালিয়ে আসার সময় তাঁর সহযোগী ছিলেন মেজর [[জিয়াউদ্দিন আহমেদ|জিয়াউদ্দিন]], [[মোহাম্মদ আবুল মঞ্জুর]], মঞ্জুরের স্ত্রী সন্তানসহ কয়েকজন। তারপর বাংলাদেশে এসে মুক্তিযুদ্ধে যোগদান করেন। মুক্তিযুদ্ধের সময় [[মহম্মদ আতাউল গণি ওসমানী|কর্নেল আতাউল গনি ওসমানী]] এর নির্দেশে সেক্টরগুলো ঘুরে দেখেন এবং কৌশলগতভাবে অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ ১১ সেক্টরের সেক্টর কমান্ডারের দায়িত্ব নেন। যুদ্ধের সময় তাহের সম্মুখ সমরে আহত হয়ে এক পা হারান। কর্নেল তাহেরের সব ভাইবোন মুক্তিযুদ্ধে তার নেতৃত্বে ১১ নং সেক্টরে যৌথভাবে যুদ্ধ করেছেন।<ref>{{ওয়েব উদ্ধৃতি |ইউআরএল=http://archive.prothom-alo.com/detail/date/2009-11-06/news/17443 |শিরোনাম=দৈনিক প্রথম আলো |সংগ্রহের-তারিখ=২০১৪-০১-০৩ |আর্কাইভের-তারিখ=২০১৬-১১-০৪ |আর্কাইভের-ইউআরএল=https://web.archive.org/web/20161104202021/http://archive.prothom-alo.com/detail/date/2009-11-06/news/17443 |ইউআরএল-অবস্থা=অকার্যকর }}</ref> ভাই-বোনদের এই দলটিকে "ব্রাদার্স প্লাটুন" বলে ডাকা হত।
 
== মুক্তিযুদ্ধ-উত্তর ভূমিকা ==
মুক্তিযুদ্ধের পরে তাহের প্রথমে [[বাংলাদেশ সেনাবাহিনী|বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর]] লেফটেন্যান্ট কর্নেল পদে দায়িত্ব পালন করেন। কিন্তু মতবিরোধেরমতবিরোধ এবং ব্যাক্তিগত আক্ষেপের কারণে ১৯৭২ সালে তিনি সেনাবাহিনী থেকে পদত্যাগ করেন। তিনি বামপন্থী রাজনীতির সাথে জড়িত ছিলেন এবং বাংলাদেশের প্রথম বিরোধী রাজনৈতিক দল [[জাসদ|জাসদের]] শীর্ষস্থানীয় নেতা ছিলেন। ১৯৭৫ সালের [[নভেম্বর ৭|৭ই নভেম্বর]] তার নেতৃত্বে [[সিপাহী ও জনতার বিপ্লব|সিপাহী-জনতার বিপ্লব]] সংঘটিত হয়। বিপ্লবের মাধ্যমে ব্রিগেডিয়ার [[খালেদ মোশাররফ]]কে সেনাবাহিনী প্রধানের দায়িত্ব নেওয়ার আগেই তার পতন ঘটিয়ে লেফটেন্যান্ট জেনারেল [[জিয়াউর রহমান|জিয়াউর রহমানকে]] গৃহবন্দীত্ব থেকে মুক্ত করা হয়। তবে [[জিয়াউর রহমান]] প্রতিশ্রুতি ভঙ্গ করলে সিপাহীরা বিদ্রোহ অব্যাহত রাখে। শেষ পর্যন্ত জিয়াউর রহমান ব্রিদ্রোহবিদ্রোহ দমন করে।করেন।
 
পরবর্তীতে জিয়ার বিরুদ্ধে অবস্থান নেওয়ার ফলে তাহেরতাহেরের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করে তাকেতাঁকে সামরিক আদালতে মৃত্যুদণ্ড দেয়া হয়। ১৯৭৬ সালের ২১ জুলাই তাকে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়।<ref>{{বই উদ্ধৃতি |শিরোনাম= একাত্তরের বীরযোদ্ধা, খেতাব পাওয়া মুক্তিযোদ্ধাদের বীরত্বগাথা (দ্বিতীয় খন্ড)|শেষাংশ= |প্রথমাংশ= |লেখক-সংযোগ= |coauthors= |বছর=মার্চ ২০১৩ |প্রকাশক= প্রথমা প্রকাশন |অবস্থান= |আইএসবিএন= 9789849025375|পাতা= ৩৮|পাতাসমূহ= |সংগ্রহের-তারিখ= |ইউআরএল=}}</ref> ২০১১ সালের ২২ মার্চ বাংলাদেশের উচ্চ আদালত সামরিক আদালতে কর্নেল তাহেরের ফাঁসির রায়কে অবৈধ ঘোষণা করে।<ref name="বিডিনি১">{{সংবাদ উদ্ধৃতি |ইউআরএল=http://www.banglanews24.com/national/news/bd/33653.details#1 |শিরোনাম=আজ আমি আনন্দিত, আমি গর্বিত : লুৎফা তাহের |সংবাদপত্র=বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম অনলাইন |তারিখ=২২ মার্চ ২০১১ |সংগ্রহের-তারিখ= ২৫ জানুয়ারি ২০১৮}}</ref>
 
== ব্যাক্তিগত জীবন ==
আবু তাহের ১৯৬৯ সালের ৭ই আগস্ট [[লুৎফা তাহের|লুৎফা]]<nowiki/>কে বিয়ে করেন। বিয়ের সময় [[লুৎফা তাহের|লুৎফা]] ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণরসায়ন বিভাগের শিক্ষার্থী এবং [[রোকেয়া হল|রোকেয়া হলের]] আবাসিক ছাত্রী ছিলেন। [[লুৎফা তাহের|লুৎফা]]<nowiki/>র গর্ভে তাহেরের তিন সন্তান জন্ম নেয়।
 
== তথ্যসূত্র ==