জিহাদ: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
বানান
ট্যাগ: দৃশ্যমান সম্পাদনা মোবাইল সম্পাদনা মোবাইল ওয়েব সম্পাদনা
আফতাবুজ্জামান-এর করা 5676967 নং সংস্করণে প্রত্যাবর্তন করা হয়েছে। (টুইং)
ট্যাগ: পূর্বাবস্থায় ফেরত
৫ নং লাইন:
 
== ইসলাম ধর্মে জিহাদ ==
মুসলমানদের পবিত্র ধর্মগ্রন্থ আল কুরআনে জিহাদকে মুসলমানদের জন্য "ফরজ"একটি বা'কর্তব্য' আবশ্যবলে কর্তব্যউল্লেখ করা হয়েছে; সেখানে কোথাও 'কিতালহারব' বা হত্যা'যুদ্ধ' শব্দ ব্যবহার করানা হয়েছে, আর কোথাওকরে 'জিহাদ' শব্দটি ব্যবহার করা হয়েছে। সশস্ত্র লড়াই ছাড়াও ইসলাম ধর্মে জিহাদ শব্দটি কিছুটা ব্যাপক অর্থ বহন করে। সংক্ষেপে বলা যায়, "সমগ্র মানবজাতির সমাজ ব্যবস্থার আমূল পরিবর্তন সাধন করে ইসলামের ন্যায়নিজস্ব ও ইনসাফমতাদর্শ অনুসারে সমাজকে নতুন করে ঢেলে সাজানোর লক্ষ্যে চেষ্টা, লড়াইসংগ্রাম ও চূড়ান্ত শক্তি প্রয়োগের নামই হলো জিহাদ"। বিশেষ কোনো জাতির হাত থেকে ক্ষমতা কেড়ে নিয়ে অন্য কোনো বিশেষ জাতির হাতে তুলে দেয়া ইসলামের লক্ষ্য নয়। বরং এর প্রধান লক্ষ্য হলোএই যে, আল্লাহর জমিনে আল্লাহর বিধান প্রতিষ্ঠা করা ৷ এর সাথে(ইসলামের রয়েছেভাষ্যমতে,) সমগ্র মানবজাতির কল্যাণ সাধনের লক্ষ্যে ইসলামের পরিপূর্ণ আদর্শ দ্বারা সারা বিশ্বকে ঐশ্বর্যমন্ডিত করে তোলা। এ উদ্দেশ্যে সাধনেরবিপ্লব সৃষ্টির জন্য ইসলাম তার অনুসারীদেরকে চেষ্টা, সংগ্রাম এবং প্রয়োজনে সশস্ত্র লড়াই চালিয়ে যেতে বলে। এই ব্যাপক চেষ্টা, সংগ্রাম ও সশস্ত্রশক্তি লড়াইয়েরপ্রয়োগের সমষ্টিগত নামই হচ্ছে ‘জিহাদ’। মুখের ভাষা ও লেখনির সাহায্যে মানুষের মানসিকতা, চিন্তাধারা ও দৃষ্টিভঙ্গিতে পরিবর্তন সাধন করা এবং তাদের মধ্যে ‘অন্তর্বিপ্লব’ সৃষ্টি করা জিহাদের একটি দিক। আবার তরবারি (সমরশক্তি) ব্যবহার করে 'অনৈসলামিক সমাজ ব্যবস্থা' নির্মূল করে নতুন 'সুবিচারমূলক ইসলামী সমাজ ব্যবস্থা' প্রতিষ্ঠা করাও জিহাদের একটি দিক। এপথে মেধা, অর্থ-সম্পদ, শারীরিক শক্তি সামর্থ্য নিয়োগ করাও জিহাদ। এখানে উল্লেখ্য যে, ইসলাম মনে করে, "মানবজাতির জন্য ইসলামী আদর্শই একমাত্র সঠিক ও উপযুক্ত জীবন-দর্শন"। <ref name="jih">[[John Esposito]](2005), ''Islam: The Straight Path,'' pp.93</ref> দ্বাদশবাদী শিয়া মতাদর্শে জিহাদ, ধর্মের ১০টি রীতির একটি।
 
মুখের ভাষা ও লেখনির সাহায্যে মানুষের মানসিকতা, চিন্তাধারা ও দৃষ্টিভঙ্গিতে পরিবর্তন সাধন করা এবং তাদের মধ্যে ‘অন্তর্বিপ্লব’ সৃষ্টি করাও জিহাদের একটি দিক। তবে তরবারি (সমরশক্তি) ব্যবহার করে 'অনৈসলামিক সমাজ ব্যবস্থা' নির্মূল করে নতুন 'ইসলামী সমাজ ব্যবস্থা' প্রতিষ্ঠা করা জিহাদের মৌলিক দিক। এপথে মেধা, অর্থ-সম্পদ, শারীরিক শক্তি সামর্থ্য নিয়োগ করা সবই জিহাদের অন্তর্ভুক্ত। এখানে উল্লেখ্য যে, ইসলাম মনে করে, "মানবজাতির জন্য ইসলামী আদর্শই একমাত্র সঠিক ও উপযুক্ত জীবন-দর্শন", এবং এটাই বাস্তব ৷
 
== জিহাদ শব্দের আভিধানিক ব্যবহার ==
১৯ ⟶ ১৭ নং লাইন:
 
== ভুল অর্থে প্রয়োগ ও বিভ্রান্তি ==
''মুহাম্মদ - এ বায়োগ্রাফি অফ দ্য প্রফেট'' বইতে বি এ রবিনসন লিখেছেন: :"Fighting and warfare might sometimes be necessary, but it was only a minor part of the whole jihad or struggle."<ref name="Robinson">{{ওয়েব উদ্ধৃতি |ইউআরএল=http://www.religioustolerance.org/isl_jihad.htm |শিরোনাম= The Concept of Jihad "Struggle" in Islam |সংগ্রহের-তারিখ=August 16, 2006 |লেখক= B.A. Robinson |লেখক-সংযোগ= |coauthors= |তারিখ= 2003-03-28 |প্রকাশক= Ontario Consultants on Religious Tolerance |আর্কাইভের-ইউআরএল= |আর্কাইভের-তারিখ=}}</ref> 'যুদ্ধ' এবং 'জিহাদ' সমার্থক নয়। 'যুদ্ধ' (হারব, কিতাল, war) জিহাদের একটি অংশ মাত্র।<ref name="The meaning of Jihad">{{ওয়েব উদ্ধৃতি |ইউআরএল=http://www.quranicstudies.com/jihad/the-meaning-of-jihad/ |শিরোনাম= The meaning of Jihad}}</ref> অনেকেই 'পবিত্র যুদ্ধ' বা 'ধর্মযুদ্ধ' বা 'holy war' শব্দসমষ্টিকে জিহাদের অর্থ বলে প্রচার করে থাকেন, যা সঠিক নয়। কুরআন বা হাদিসে কোথাও 'পবিত্র যুদ্ধ' বা 'ধর্মযুদ্ধ' বা 'holy war' শব্দসমষ্টি (হারবে মুক্বাদ্দাসা) ব্যবহৃত হয় নি। <ref name="The True Meaning of Jihad">{{ওয়েব উদ্ধৃতি |ইউআরএল=http://www.justislam.co.uk/product.php?products_id=2 |শিরোনাম= The True Meaning of Jihad}}</ref> আরবি ভাষায় 'হারব' শব্দটি 'যুদ্ধ' বা 'war' শব্দের সমার্থক। এই ভুল অর্থে ব্যাপক প্রয়োগের কারণে সারা বিশ্বে জিহাদ শব্দটি 'সন্ত্রাস' বা 'ইসলামী সন্ত্রাস' শব্দের সমার্থক হয়ে দাঁড়িয়েছে।<ref name="Islam, Jihad, and Terrorism">{{ওয়েব উদ্ধৃতি |ইউআরএল=http://www.aboutjihad.com/terrorism/islam_jihad_terrorism.php |শিরোনাম= Islam, Jihad, and Terrorism in Islam |সংগ্রহের-তারিখ=December 25, 2012 |লেখক= M. Amir Ali, Ph.D.}}</ref>
বর্তমান সময়ে জিহাদ নিয়ে সুপরিকল্পিত ভাবে অনেক বিভ্রান্তি ছড়ানো হয় ৷ যার দ্বারা মানুষদেরকে জিহাদ থেকে বিরত রাখাই মূল উদ্দেশ্য ৷ জিহাদের শাব্দিক অর্থে প্রয়োগ করে পারিভাষিক অর্থকে তুচ্ছ-তাচ্ছিল্য করা, জিহাদকে সন্ত্রাসবাদ আখ্যা দেওয়া, জিহাদের ফরজিয়তকে অস্বীকার করা ইত্যাদী বিভিন্নভাবে মুসলিম সমাজে সংশয়-সন্দেহ ও বিভ্রান্তি ছড়ানো হয় ৷ জিহাদের সঠিক ধারণা না থাকা বা ভুল বুঝার কারণে এসব সমস্যা হয়ে থাকে ৷
 
ইসলামের বিশুদ্ধ জ্ঞানচর্চা দ্বারা এই বিভ্রান্তি অনেকাংশে কমিয়ে আনা সম্ভব ৷ তাই বর্তমান সমাজে বিশুদ্ধ জ্ঞানচর্চার আবশ্যকীয়তা অনস্বীকার্য ৷
 
জিহাদ নিয়ে এই বিভ্রান্তির ধারা উনবিংশ শতাব্দী থেকে শুরু হয়েছে ৷ ইতিপূর্বে জিহাদ নিয়ে এত সংশয় সন্দেহ ছিলো না ৷ মুসলিমদের খেলাফত ব্যবস্থার বিলুপ্তির পর থেকে মুসলিমরা চতুর্মুখি ষড়যন্ত্রের শিকার হয়, তার মধ্যে জিহাদ নিয়ে বিভ্রান্তি অন্যতম একটি বিষয় ৷
 
== ইসলামে জিহাদের প্রকারভেদ ==
মদিনায় রাসুলের হিজরতের পর মুসলিমদের উপর জিহাদ ফরজ করা হয় ৷ জিহাদ মূলত ফরজে কেফায়া ৷ অর্থাৎ সকল মুসলিমদের এতে অংশগ্রহন করা আবশ্যক নয়, বরং প্রয়োজন পরিমান মানুষ যদি জিহাদে অংশগ্রহন করে তাহলে অন্য সবার পক্ষ থেকে জিহাদের ফরজিয়ত রহিত হয়ে যায় ৷ তবে কখনো কখনো জিহাদ ফরজে আইন বা সকলের উপর ফরজ হয়ে যায় ৷ এর চারটি কারণ রয়েছে:-
 
• কোন মুসলিম ভুখন্ডের উপর শত্রুরা আক্রমন করলে ৷
 
• মুসলিমদের নেতা সকলকে জিহাদে বের হতে বললে ৷
 
• যুদ্ধের ময়দানে শত্রুর মুখোমুখি হলে ৷
 
== জিহাদের বিভিন্ন পর্যায় ও দিক ==
• মুসলিমদের কোন ভুমি শত্রুরা দখল করে নিলে ৷
 
== জিহাদ বিষয়ক গবেষক ও চিন্তাবিদ ==