১,৪৩,৬১২টি
সম্পাদনা
(যাচাইযোগ্যতার জন্য ১টি বই যোগ করা হল (20220126)) #IABot (v2.0.8.6) (GreenC bot) |
|||
== ইতিহাস ==
ব্রিটিশ রাজ যখন [[ব্রিটিশ ভারতের প্রেসিডেন্সি ও প্রদেশসমূহ|ব্রিটিশ ভারতকে]] [[ভারত বিভাজন|বিভক্ত করেছিল]] এবং [[ভারত অধিরাজ্য|ভারত]] ও [[পাকিস্তান অধিরাজ্য|পাকিস্তানের]] স্বাধীনতা দেয়, তখন উপমহাদেশের এক তৃতীয়াংশেরও বেশি [[দেশীয় রাজ্য]]ের আওতাভুক্ত ছিল। যাদের শাসনকর্তারা [[ব্রিটিশ ভারত|ভারতীয় সাম্রাজ্যের]] অভ্যন্তরে অবস্থান ও অবস্থাভেদে ভিন্ন ছিল। ১৯৪৭ সালে ৫৬০ টির অধিক ভারতে এ ধরনের দেশীয় রাজ্য ছিল ব্রিটিশের। যদিও সেখানে [[সার্বভৌমত্ব]] বজায় ছিল। ১৯৪৭ সালে ৫৫৫ টি [[দেশীয় রাজ্য|রাজ্যগুলি]] প্রাক-স্বাধীন ভারতের ৪৮% অঞ্চল জুড়ে বিস্তৃত ছিল এবং জনসংখ্যার ২৮% ছিল। <ref>{{ওয়েব উদ্ধৃতি|ইউআরএল=http://www.thehindu.com/todays-paper/tp-opinion/who-betrayed-sardar-patel/article5366083.ece|শিরোনাম=Who betrayed Sardar Patel?}}</ref> তাদের সাথে সম্পর্কগুলি অধীনতামূলক মিত্রতা নীতি এবং অন্যান্য অপ্রত্যক্ষ নিয়ম দ্বারা চুক্তিবদ্ধ ছিল । বন্দুকের স্যালুট দেওয়ার একটি প্রোটোকলারি সিস্টেমের মাধ্যমে প্রায় ১২০ টি বড় রাজ্যের (পাকিস্তান অন্তর্ভুক্ত) র্যাঙ্কিংও নির্ধারিত হতো। যদিও বেশিরভাগ রাজ্যগুলি ছোট / ক্ষুদ্র 'সালামবিহীন রাষ্ট্র' ছিল। [[ভারতীয় স্বাধীনতা অধিনিয়ম ১৯৪৭]] অনুযায়ী রাণী দেশীয় রাজ্য গুলির শাসকদের মুক্তমনে ভারত বা পাকিস্তানে যোগ দেওয়া বা নিজেদের স্বাধীন থাকা, যে কোন একটি বেছে নেওয়ার স্বাধীনতা দিয়েছিলেন। <ref>{{বই উদ্ধৃতি|শিরোনাম=State, Nation and Ethnicity in Contemporary South Asia|ইউআরএল=https://archive.org/details/statenationethni0000ahme_j0u5|শেষাংশ=[[Ishtiaq Ahmed (political scientist)|Ishtiaq Ahmed]]|বছর=1998|পাতা=[https://archive.org/details/statenationethni0000ahme_j0u5/page/99 99]}}</ref> বেশিরভাগই ভারত সরকারের উপর এতটাই নির্ভরশীল ছিলেন যে তাদের এই অংশগ্রহণের বিষয়ে সুযোগ ছিল না । স্বাধীনতার প্রাক্কালে বেশিরভাগ অমুসলিম রাষ্ট্র [[ভারত|ভারতে]] অধিগ্রহণ [[ভারত|চুুুক্তিতে]] স্বাক্ষর করেছিল। কেবলমাত্র একটি রাজ্য পাকিস্তানে অংশগ্রহণের সিদ্ধান্ত নেয় [[পাকিস্তান|।]] ব্রিটিশরা ভারত ত্যাগ করার পরে মাত্র কয়েকটি রাজ্য সম্পূর্ণ স্বাধীন ভাবে থাকার সিদ্ধান্ত নেয়। [[বল্লভভাই পটেল|বল্লভভাই প্যাটেল]] এবং ভিপি মেননের কূটনীতির কারনে ত্রিবাঙ্কুর, [[ভোপাল রাজ্য|ভোপাল]] এবং যোধপুর ১৫ আগস্ট ১৯৪৭ সালের আগেই তারা ভারতে অধিগ্রহণের চুক্তিতে স্বাক্ষর করে। স্বাধীনতার পরেও তিনটি রাজ্য যথা [[জম্মু ও কাশ্মীর (দেশীয় রাজ্য)|জম্মু-কাশ্মীর]], [[জুনাগড় রাজ্য|জুনাগড়]] এবং হায়দ্রাবাদ পরে সংযুক্ত হয়েছিল।
রাজ্যগুলির প্রবেশের চুক্তিতে কেবলমাত্র [[ভারত|ভারতের]] প্রতিরক্ষা, যোগাযোগ এবং বৈদেশিক সম্পর্কের জন্য রাজ্যগুলির প্রয়োজন ছিল। এই রাজ্যগুলিতে গণতন্ত্র চালু ছিল এবং ১৯৪৯ সালে নতুন রাজ্য গঠনের জন্য এগুলি পুরোপুরি [[ভারত|ভারতে]] মিশে গিয়েছিল। এভাবে ত্রিবাঙ্কুর এবং কোচিন ভারতে একীভূত হয়ে [[ত্রিবাঙ্কুর-কোচিন রাজ্য|থিরু-কোচি]] নতুন রাজ্য গঠন করেন। যদিও ১৯৪৯ সালে রাজপরিবারগুলিকে তাদের রাজভাতা হিসাবে প্রচুর পরিমাণে অর্থ বহন করার অনুমতি দেওয়া হয়েছিল। ১৯৪৯ সালে রাজ্যগুলির রাজস্ব পুরোপুরি [[ভারত সরকার]] গ্রহণ করেছিল। এটি ভারত সরকারই শাসক এবং তাদের পরিবারকে প্রদান করেছিল। রাজ্য গুলিকে রাজভাতা দেওয়া হবে কী না তা অনেকগুলি বৈশিষ্ট্য দ্বারা নির্ধারিত হত। তাদের মধ্যে অন্যতম হল রাজ্যের রাজস্ব, ব্রিটিশ রাজের সময় তা স্যালুট রাজ্য ছিল কি না, রাজ্যের প্রাচীনত্ব ইত্যাদি। <ref>{{বই উদ্ধৃতি|ইউআরএল=https://archive.org/details/in.ernet.dli.2015.202181|শিরোনাম=Maharaja|শেষাংশ=Jarmani Dass}}</ref> দেওয়ান জারমানি দাস [[কাপুরথালা, পাঞ্জাব|কাপুরথালা]] বলেছেন:
|