বাংলাদেশে শিয়া ইসলাম: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
Wiki N Islam (আলোচনা | অবদান)
ট্যাগ: মোবাইল সম্পাদনা মোবাইল ওয়েব সম্পাদনা
Wiki N Islam (আলোচনা | অবদান)
ট্যাগ: মোবাইল সম্পাদনা মোবাইল ওয়েব সম্পাদনা
১৯ নং লাইন:
 
[[বাংলা সালতানাত|সুলতানি যুগে]] [[এসফাহন|ইস্পাহানের]] একজন শিয়া সম্ভ্রান্ত ব্যক্তি সখী সালামত ১৪৯৯ সালে কুলাউড়ার [[পৃথিমপাশা ইউনিয়ন|পৃথিমপাশা]] গ্রামে বসতি স্থাপন করেন। তাঁর পুত্র ইসমাইল খান লোদিকে অসংখ্য [[জমিদার|জমিদারি]] দেওয়া হয়েছিল এবং পৃথিমপাশা রাজবংশ বৃহত্তর সিলেটের অন্যতম প্রধান পরিবারে পরিণত হয় যারা পূর্ব বাংলার তৎকালীন সামন্ততান্ত্রিক আভিজাত্যের অন্তর্গত ছিল।
<!--[কাজ চলছে]===মুঘল যুগে===
বাংলাদেশের প্রাচীনতম শিয়া ইমামবাড়া ছিল ঢাকার ফরাশগঞ্জে ''বিবি কা রওজা'', যেটি ১৬০৮ সালে আমির খান নির্মাণ করেছিলেন।<ref>{{citation|author=Taifoor, SM|title=Glimpses of Old Dhaka}}</ref> যদিও ভবনটি এখন আর বিদ্যমান নয়। [[জাহাঙ্গীর|সম্রাট জাহাঙ্গীরের]] শাসনামলে [[ইব্রাহিম খান ফতেহ জঙ্গ]] নামে একজন শিয়া কর্মচারীকে ১৬১৭ সালে বাংলার [[সুবাহদার|সুবাহদারিত্ব]] দেওয়া হয় এবং তিনি তাঁর সঙ্গে অনেক শিয়া সহকর্মীদের ঢাকার নিয়ে এসেছিলেন।
==ঔপনিবেশিক যুগে-->
 
[[মুঘল বাংলা]]র সুন্নি সুবাহদার [[শাহ সুজা]]র মা, দুই স্ত্রী ও শিক্ষক সকলেই ছিলেন শিয়া। শাহ সুজার দরবারীদের মধ্যে অনেকেই শিয়া ছিলেন। এজন্য ঢাকায় একটি কথা প্রচলিত হয়ে যায় যে, শাহ সুজা তাঁর সঙ্গে ৩০০ জন শিয়াকে নিয়ে এসেছিলেন যাদের তিনি বাংলার বিভিন্ন অঞ্চলে বসতি স্থাপন করিয়েছিলেন। যদিও একজন কট্টর সুন্নি মুসলিম ও শাহ সুজার বিরোধীরা [[দিল্লি]]তে গুজব ছড়াতে শুরু করে যে শাহ সুজা শিয়া ইসলামে ধর্মান্তরিত হয়েছে। ১৬৪২ সালে শাহ সুজার মেয়াদকালে ঢাকার মুঘল নৌপ্রধান সাইয়িদ মুরাদ হোসেনি দালান নির্মাণ করেন।
 
মুঘল বাংলার পরবর্তী দুজন সুবাহদার [[মীর জুমলা]] ও [[শায়েস্তা খাঁ]]ও শিয়া মতাদর্শে বিশ্বাসী ছিলেন।
 
[[নাজাফ|নাজাফের]] মির সাইয়িদ শাকরুল্লাহ আল-হুসাইনি ছিলেন শাহ সুজা কর্তৃক আনীত শিয়া সম্ভ্রান্ত ব্যক্তিদের একজন এবং তিনি নবাব সাইয়িদ ছোটন সাহেবের পূর্বপুরুষ ছিলেন, যার ঢাকার আবুল হাসনাত রোডে একটি বিশাল ভূসম্পত্তি ছিল। সেখানে মোহাম্মদী বেগম ইমামবাড়া রয়েছে, যেটি ১৭০৭ সালে নির্মিত হয়েছিল।<ref>{{cite news|title=Houses of mourning|date=28 October 2014|url=https://www.thedailystar.net/houses-of-mourning-47481|website=[[The Daily Star (Bangladesh)]]|author=Haider, Muhammad H}}</ref>
 
১৭১৭ সাল থেকে ১৮৮০ সাল পর্যন্ত, তিনটি ধারাবাহিক নবাবি বংশ - নাসিরি, আফশার ও নাজাফি - বাংলায় শাসন ​​করেছিল এবং সকলেই শিয়া মতবাদে বিশ্বাসী ছিল।<ref>{{Cite book|url=https://books.google.com/books?id=1HelAwAAQBAJ|title=Bangladesh - Culture Smart!: The Essential Guide to Customs & Culture|last=Rahman|first=Urmi|date=23 December 2014|publisher=Bravo Limited|isbn=9781857336962|language=en}}</ref>
 
বাংলার প্রথম নবাব [[মুর্শিদকুলি খাঁ]] মূলত [[দাক্ষিণাত্য মালভূমি|দাক্ষিণাত্যের]] একটি দরিদ্র [[হিন্দু]] পরিবারে জন্মগ্রহণ করেছিলেন, ক্রিতদাস হিসাবে বিক্রি হওয়ার পর ইস্পাহানের একজন [[পারসিক জাতি|পারসিক]] ব্যবসায়ী হাজি শফি তাকে শিয়া ইসলামে ধর্মান্তরিত করেছিলেন। পরবর্তীতে তিনি তাঁর পথ ধরে কাজ করে যান এবং অবশেষে বাংলার নবাবদের মধ্যে প্রথম হন এবং নাসিরি রাজবংশ প্রতিষ্ঠা করেন। তিনি বাংলার রাজধানী [[জাহাঙ্গীরনগর]] (ঢাকা) থেকে বর্তমান ভারতের [[মুর্শিদাবাদ|মুর্শিদাবাদে]] স্থানান্তর করেন।
 
দ্বিতীয় নবাবি বংশ, আশফার বংশ ১৭৪০ থেকে ১৭৫৭ সাল পর্যন্ত বাংলা ও একই সঙ্গে [[বিহার]] ও [[ওড়িশা]] শাসন করেছিল এবং শিয়া বংশোদ্ভূত [[আলীবর্দী খান]] দ্বারা এই বংশটি প্রতিষ্ঠিত হয়। আশফার রাজবংশের শেষ ও বাংলার নবাবদের মধ্যে সর্বাধিক আলোচিত নবাব সিরাজউদ্দৌলা ১৭৫৭ সালে [[পলাশীর যুদ্ধ|পলাশীর যুদ্ধে]] [[ব্রিটিশ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি]]র হাতে নিহত হন। তাঁর স্থলাভিষিক্ত হন শিয়া বংশোদ্ভূত সেনাপতি [[মীর জাফর]], যিনি বাংলার তৃতীয় এবং চূড়ান্ত নবাবি বংশ নাজাফি রাজবংশ প্রতিষ্ঠা করেন।<ref name = i>{{cite web | publisher = Murshidabad.net | date = 8 May 2012 | title = Dynasties of The Nawabs | url = http://murshidabad.net/history/history-topic-nawab.htm | accessdate = 9 August 2012}}</ref>
<!--[কাজ চলছে]===ঔপনিবেশিক যুগে===-->
 
==সমসাময়িক নিপীড়ন==