বাংলাদেশে শিয়া ইসলাম: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
Wiki N Islam (আলোচনা | অবদান)
নতুন পৃষ্ঠা: {{infobox religious group | group = বাংলাদেশি শিয়া মুসলিম | population = আনু. ২৯,৭২,০০০ (২০১১-এর পরিসংখ্যান) | regions = | image = চিত্র:Hussaini dalan view 1.jpg | image_caption = হোসেনি দালান, বাংল...
ট্যাগ: মোবাইল সম্পাদনা মোবাইল ওয়েব সম্পাদনা
(কোনও পার্থক্য নেই)

১১:২০, ১৩ জানুয়ারি ২০২২ তারিখে সংশোধিত সংস্করণ

শিয়া মুসলিমরা বাংলাদেশে একটি বৃহৎ সংখ্যালঘু সম্প্রদায়, জনসংখ্যার প্রায় ২% শিয়া।[২] অনেক বাংলাদেশি শিয়া বিহারী সম্প্রদায়ের অন্তর্গত। যদিও দেশে অল্প সংখ্যক শিয়া রয়েছে, তথাপি আলীর পুত্র ইমাম হাসানইমাম হোসাইনের মৃত্যুর স্মরণে পালন করা আশুরা এখনও দেশের সুন্নি সম্প্রদায়ের মাঝে ব্যাপকভাবে পালিত; যা বাংলায় শিয়াদের ঐতিহাসিক প্রভাবকে তুলে ধরে।[৩]

বাংলাদেশি শিয়া মুসলিম
হোসেনি দালান, বাংলাদেশের বৃহত্তম ইমামবাড়া ও শিয়া মুসলিম
মোট জনসংখ্যা
আনু. ২৯,৭২,০০০ (২০১১-এর পরিসংখ্যান)
ধর্ম
শিয়া ইসলাম (মূলত ইসনা আশারিয়া, দাউদী বোহরা এবং নিজারি ইসমাইলি)
ভাষা
বাংলা এবং উর্দু (বিহারী মুসলিম সম্প্রদায়)

বিস্তার

শিয়াদের মধ্যে দাউদী বোহরা সম্প্রদায় চট্টগ্রামে একীভূত হয়েছে এবং সেইসাথে নিজারি ইসমাইলি সম্প্রদায়দের ঢাকায় দেখা যায়।[৪] ঢাকার বকশীবাজারের হোসেনী দালান হলো দেশের বৃহত্তম শিয়া মসজিদ এবং প্রধান ইমামবাড়া। ঢাকা জুড়ে আদাবর, পল্টন, মোহাম্মদপুর, ফরাশগঞ্জ এবং আজিমপুরের মতো জায়গায় অসংখ্য ইমামবাড়া ও শিয়া মসজিদ রয়েছে।[৫] উত্তর-পূর্ব সিলেট বিভাগে ইসনা আশারিয়া সম্প্রদায়ের বসবাস কুলাউড়া এবং রাজটিলার মতো স্থানে এবং পৃথিমপাশা পরিবারের সাথে তাদের সম্পর্ক রয়েছে। ফিরোজপুরের ভাণ্ডারিয়ায় ভেলাই চোকদারের জোড়া মসজিদ রয়েছে যা দক্ষিণ বাংলাদেশের শিয়া মিথস্ক্রিয়াগুলোর একটি নিদর্শন।[৬] বিপরীতে, বাংলাদেশের উত্তরাঞ্চলের ঠাকুরগাঁওয়ের শালবাড়ি মসজিদটি ১৮৮৮ সালের শেষের দিকে নির্মিত।[৭] মানিকগঞ্জ, কিশোরগঞ্জ, অষ্টগ্রাম এবং সৈয়দপুরেও শিয়া ইমামবাড়া রয়েছে।

ইতিহাস

 
সিরাজউদ্দৌলা, বাংলার শেষ স্বাধীন নবাব।

ইসনা আশারিয়াদের বেশিরভাগ দক্ষিণ এশিয়ায় স্থানান্তরিত হয়ে বিভিন্ন সালতানাত এবং পরবর্তীতে মুঘল সাম্রাজ্যে উন্নতি লাভ করে এবং উচ্চ পদ লাভ করে। অনেকেই ছিলেন বিদ্রোহী ও অভিজাত যারা পারস্যে রাজকীয় সম্মান হারিয়ে ছিলেন। মুঘলরাও বিদেশি মুসলিম কর্মকর্তাদের নিয়োগ করতে পছন্দ করতো যাদের কোনো স্থানীয় স্বার্থ ছিল না এবং তাঁরা সম্রাটের প্রতি অনুগত ছিল। বাংলার সব নবাবই শিয়া মুসলমান ছিলেন।[৮][৯][১০]

সুলতানি যুগে ইস্পাহানের একজন শিয়া সম্ভ্রান্ত ব্যক্তি সখী সালামত ১৪৯৯ সালে কুলাউড়ার পৃথিমপাশা গ্রামে বসতি স্থাপন করেন। তাঁর পুত্র ইসমাইল খান লোদিকে অসংখ্য জমিদারি দেওয়া হয়েছিল এবং পৃথিমপাশা রাজবংশ বৃহত্তর সিলেটের অন্যতম প্রধান পরিবারে পরিণত হয় যারা পূর্ব বাংলার তৎকালীন সামন্ততান্ত্রিক আভিজাত্যের অন্তর্গত ছিল।

সমসাময়িক নিপীড়ন

দেশে একটি দীর্ঘ এবং সমৃদ্ধ ইতিহাস থাকা সত্ত্বেও, বর্তমানে শিয়া সম্প্রদায়গুলো সাম্প্রদায়িক সহিংসতার লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত হয়েছে। উদাহরণস্বরূপ, ১০১৫ সালে শিয়াদের একটি আশুরা সমাবেশে বোমা হামলা হয়েছিল।[১১]

আরও দেখুন

উদ্ধৃতি

  1. Badruddīn, Amir al-Hussein bin (20th Dhul Hijjah 1429 AH)। The Precious Necklace Regarding Gnosis of the Lord of the Worlds। Imam Rassi Society।  এখানে তারিখের মান পরীক্ষা করুন: |তারিখ= (সাহায্য)
  2. "Chapter 1: Religious Affiliation"The World's Muslims: Unity and DiversityPew Research Center's Religion & Public Life Project। ৯ আগস্ট ২০১২। সংগ্রহের তারিখ ৪ সেপ্টেম্বর ২০১৩ 
  3. "Islam in Bangladesh"। OurBangla। ২০০৭-০২-১৯ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০০৮-০২-১৪ 
  4. Ferdousi, Ishrat (২০ অক্টোবর ২০০৭)। "Yasmin Farzana Shafi"The Daily Star। সংগ্রহের তারিখ ১৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৭ 
  5. ইসলাম, সিরাজুল; মিয়া, সাজাহান; খানম, মাহফুজা; আহমেদ, সাব্বীর, সম্পাদকগণ (২০১২)। "বাংলাদেশ"বাংলাপিডিয়া: বাংলাদেশের জাতীয় বিশ্বকোষ (২য় সংস্করণ)। ঢাকা, বাংলাদেশ: বাংলাপিডিয়া ট্রাস্ট, বাংলাদেশ এশিয়াটিক সোসাইটিআইএসবিএন 9843205901ওএল 30677644Mওসিএলসি 883871743 
  6. ইসলাম, সিরাজুল; মিয়া, সাজাহান; খানম, মাহফুজা; আহমেদ, সাব্বীর, সম্পাদকগণ (২০১২)। "বাংলাদেশ"বাংলাপিডিয়া: বাংলাদেশের জাতীয় বিশ্বকোষ (২য় সংস্করণ)। ঢাকা, বাংলাদেশ: বাংলাপিডিয়া ট্রাস্ট, বাংলাদেশ এশিয়াটিক সোসাইটিআইএসবিএন 9843205901ওএল 30677644Mওসিএলসি 883871743 
  7. উদ্ধৃতি ত্রুটি: <ref> ট্যাগ বৈধ নয়; thakur নামের সূত্রটির জন্য কোন লেখা প্রদান করা হয়নি
  8. Rizvi, Saiyid Athar Abbas (১৯৮৬)। A Socio-intellectual History of the Isnā ʼAsharī Shīʼīs in India: 16th to 19th century A.D2। Munshiram Manoharlal Publishers। পৃষ্ঠা 45–47। 
  9. Rieck, Andreas (১৫ জানুয়ারি ২০১৬)। The Shias of Pakistan: An Assertive and Beleaguered Minority। Oxford University Press। পৃষ্ঠা 3। আইএসবিএন 978-0-19-061320-4 
  10. K. K. Datta, Ali Vardi and His Times, ch. 4, University of Calcutta Press, (1939)
  11. Husain, S.A., 2016. Intolerant Bangladesh? How and why. Society and Culture in South Asia, 2(2), pp.286-291.