আতাইকুলা গণহত্যা: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
হটক্যাটের মাধ্যমে বিষয়শ্রেণী:হিন্দু নিপীড়ন অপসারণ
InternetArchiveBot (আলোচনা | অবদান)
১টি উৎস উদ্ধার করা হল ও ০টি অকার্যকর হিসেবে চিহ্নিত করা হল।) #IABot (v2.0.8.6
৩১ নং লাইন:
 
রাণীনগর উপজেলা সদর থেকে ৭ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে ছোট যমুনা নদীর তীরে মিরাট ইউনিয়নের অন্তর্গত আতাইকুলা পালপাড়া গ্রাম। ১৯৭১ সালে ২৫ এপ্রিল ২০০ পাকিস্তানি সেনা সকাল ৯টায় গ্রামের পূর্বদিকে কুজাইল বাজারে অবস্থান নেয়। এরপর পূর্ব পরিকল্পনা অনুযায়ী পাকিস্তানের পতাকা হাতে ''পাকিস্তান জিন্দাবাদ'' স্লোগান দিতে দিতে কয়েকটি দলে ভাগ হয়ে নদী পার হয়ে আতাইকুলা গ্রাম ঘিরে ফেলে। পালপাড়া গ্রামের সংখ্যালঘু হিন্দু সম্প্রদায়ের মানুষদের ওপর সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত নির্যাতন চলে। অবস্থা বেগতিক দেখে গ্রামের লোক বাড়ি-ঘর ফেলে রেখে যে যার মতো পালানোর চেষ্টা করে। কিন্তু স্থানীয় রাজাকার আলবদররা তাদেরকে বাধা দেয়।<ref>{{ওয়েব উদ্ধৃতি|ইউআরএল=https://web.archive.org/web/20201106112223/http://www.snn24.com/sn-14717|শিরোনাম=SNN24.com|তারিখ=2020-11-06|ওয়েবসাইট=web.archive.org|সংগ্রহের-তারিখ=2020-11-06}}</ref> এরপর গণহত্যা, নারী নির্যাতন, অগ্নীসংযোগ, লুটপাটসহ ধ্বংসযজ্ঞ চালিয়ে সংখ্যালঘু পরিবারের কিশোর, যুবক, মাঝ বয়সী ও বিভিন্ন বয়সী নারীদেরকে ধরে ওই গ্রামের সুরেশ পালের বাড়ির বারান্দায় একত্রিত করে পাকিস্তানি সেনা নির্যাতন শুরু করে।<ref>{{ওয়েব উদ্ধৃতি|ইউআরএল=https://web.archive.org/web/20201106110435/https://www.dailyjanakantha.com/details/article/118693/%E0%A6%A8%E0%A6%93%E0%A6%97%E0%A6%BE%E0%A6%81%E0%A7%9F-%E0%A6%86%E0%A6%A4%E0%A6%BE%E0%A6%87%E0%A6%95%E0%A7%81%E0%A6%B2%E0%A6%BE-%E0%A6%97%E0%A6%A3%E0%A6%B9%E0%A6%A4%E0%A7%8D%E0%A6%AF%E0%A6%BE-%E0%A6%A6%E0%A6%BF%E0%A6%AC%E0%A6%B8-%E0%A6%86%E0%A6%9C/|শিরোনাম=দৈনিক জনকন্ঠ {{!}}{{!}} নওগাঁয় আতাইকুলা গণহত্যা দিবস আজ|তারিখ=2020-11-06|ওয়েবসাইট=web.archive.org|সংগ্রহের-তারিখ=2020-11-06}}</ref> সেদিন ওই গ্রামে সারাদিন ধরে ঘরে ঘরে হত্যা, লুন্ঠন, ধর্ষণ ও অগ্নিসংযোগ করে।
পরে দিনের শেষ বিকালে বৈঠকখানার আঙিনায় ৮০ ব্যক্তির উপর ব্রাশফায়ার করা হয়। ঘটনাস্থলেই ৫২জন মারা যায়।<ref>{{ওয়েব উদ্ধৃতি|ইউআরএল=https://www.somaynews24.com/নওগাঁর-রাণীনগর-১০-ডিসেম্/|শিরোনাম=নওগাঁর রাণীনগর ১০ ডিসেম্বর হানাদার মুক্ত দিবস|তারিখ=2019-12-09|ওয়েবসাইট=সময়নিউজ২৪.কম|ভাষা=en-US|সংগ্রহের-তারিখ=2020-11-06|আর্কাইভের-তারিখ=২০২০-০১-০২|আর্কাইভের-ইউআরএল=https://web.archive.org/web/20200102160628/https://www.somaynews24.com/%e0%a6%a8%e0%a6%93%e0%a6%97%e0%a6%be%e0%a6%81%e0%a6%b0-%e0%a6%b0%e0%a6%be%e0%a6%a3%e0%a7%80%e0%a6%a8%e0%a6%97%e0%a6%b0-%e0%a7%a7%e0%a7%a6-%e0%a6%a1%e0%a6%bf%e0%a6%b8%e0%a7%87%e0%a6%ae%e0%a7%8d/|ইউআরএল-অবস্থা=অকার্যকর}}</ref> ভাগ্যক্রমে বেঁচে যান ৮০ জনের মধ্যে ২৮ জন, তাঁদের মধ্যে ভবেশ্বর পাল একজন। ওই ঘটনার পরে ২৬ এপ্রিল ভবেশ্বর পাল আরও কয়েকজনের সহযোগিতায় যোগেন্দ্রপালের বাড়ির পশ্চিম দিকে একটি গর্ত খুঁড়ে ওই ৫২ জন শহীদকে গণকবর দেন।<ref>{{ওয়েব উদ্ধৃতি|ইউআরএল=https://web.archive.org/web/20201106112602/https://www.prothomalo.com/bangladesh/%E0%A6%AE%E0%A7%81%E0%A6%95%E0%A7%8D%E0%A6%A4%E0%A6%BF%E0%A6%AF%E0%A7%81%E0%A6%A6%E0%A7%8D%E0%A6%A7%E0%A7%87-%E0%A6%A8%E0%A6%93%E0%A6%97%E0%A6%BE%E0%A6%81-%E0%A6%93-%E0%A6%A8%E0%A6%BE%E0%A6%9F%E0%A7%8B%E0%A6%B0%E0%A7%87%E0%A6%B0-%E0%A6%97%E0%A6%A3%E0%A6%B9%E0%A6%A4%E0%A7%8D%E0%A6%AF%E0%A6%BE-%E0%A6%AC%E0%A6%A7%E0%A7%8D%E0%A6%AF%E0%A6%AD%E0%A7%82%E0%A6%AE%E0%A6%BF|শিরোনাম=মুক্তিযুদ্ধে নওগাঁ ও নাটোরের গণহত্যা, বধ্যভূমি {{!}} প্রথম আলো|তারিখ=2020-11-06|ওয়েবসাইট=web.archive.org|সংগ্রহের-তারিখ=2020-11-06}}</ref>
 
১৯৭১ সালের জুন মাসে পাক হানাদার বাহিনী আতাইকুলা গ্রামে দ্বিতীয় বার হামলা চালিয়ে নারী নির্যাতন, লুটপাট করে সেখানেই ১৪ জনকে হত্যা করে। এই ঘটনার দু সপ্তাহ পরে আতাইকুলা গ্রামে হানাদাররা তৃতীয় দফায় হামলা চালায়। এ সময় গ্রামে কোন লোকজন না থাকায় তারা ফিরে যায়।