অখিল ভারতীয় হিন্দু মহাসভা: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
Shihab1729 (আলোচনা | অবদান)
সংশোধন, পরিষ্কারকরণ
→‎অখিল ভারতীয় হিন্দু মহাসভা: বানান ঠিক করা হয়েছে
ট্যাগ: মোবাইল সম্পাদনা মোবাইল অ্যাপ সম্পাদনা অ্যান্ড্রয়েড অ্যাপ সম্পাদনা
৫ নং লাইন:
মহাত্মা গান্ধীর ডাকা অসহযোগ-খিলাফত আন্দোলনের তীব্র বিরোধিতা করে নিরপেক্ষ অবস্থা নেয় মহাসভা। চৌরিচৌরার ঘটনার প্রেক্ষিতে গান্ধীজি আন্দোলন প্রত্যাহার করে নেওয়ার পরে, ১৯২৩ সাল নাগাদ বিরাট হিন্দু পুনরুত্থান অভিযান শুরু করে মহাসভা। ১৯২৩ সাল নাগাদ অগস্ট মাসে মালব্যের সভাপতিত্বে বারাণসী অধিবেশনে মহাসভা ‘শুদ্ধি’ কর্মসূচি গ্রহণ করে, ডাক দেয় ‘হিন্দু আত্মরক্ষা বাহিনী’ গড়ে তোলেন। ১৯২০ দশকে মহাসভার কর্মকাণ্ড প্রধানত হিন্দু সমাজের অস্পৃশ্যতা দূরীকরণ ও ‘অপবিত্র’ জনের শুদ্ধিকরণে কেন্দ্রীভূত ছিল। ১৯২১ সালের আদমশুমারির সময় ভারতীয় মূল আদিবাসীদেরকে বর্ণ হিন্দুদের নামগ্রহণ করতে ও নিজেদেরকে ক্ষত্রিয় হিসেবে পরিচয় দিতে উদ্বুদ্ধ করে।
 
১৯২৫ সালে কেশব বলীরাম হেডগেয়ার নেতৃত্বে একটি গোষ্ঠী মহাসভা থেকে বেরিয়ে এসে [[রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘ]] একটি নতুন অরাজনৈতিক সংগঠন প্রতিষ্ঠা করেন। ১৯৩০-এর দশকের শেষভাগে ধর্মান্তরিত নিম্নবর্ণের মানুষকে হিন্দু সম্প্রদায়ের অন্তর্ভুক্ত করার চেষ্টার জন্য মুসলমানদের সঙ্গে সংঘর্ষের রূপ নেয়। মুসলিম লিগ ও ভারতের জাতীয় কংগ্রেস দল থাকা সত্তেও হিন্দু মহাসভার পাল্টা হিসাবে গড়ে ওঠে মুসলমানদের ‘তবলিগ’ (প্রচার) ও ‘তনজিম’ (সংগঠন)। এই সংঘর্ষ প্রায়শই সাম্প্রদায়িক দাঙ্গায় পরিণত হতো। ভারতের বিভিননবিভিন্ন অঞ্চলে নিম্নবর্ণের হিন্দু ও মুসলমানদের মধ্যে দাঙ্গা ও অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটতে দেখা যায়।
 
১৯৪০ দশকে ভারতের জাতীয় কংগ্রেস, মুসলিম লিগ ও মহাসভার মধ্যে রাজনৈতিক মতানৈক্য চরমে ওঠে। হিন্দু স্বার্থ রক্ষায় হিন্দু মহাসভা না কংগ্রেস কে বেশি পারঙ্গম, সেটির দ্বন্দ্ব প্রকাশ্যে আসে।১৯৪৬ সালের ১৬ আগস্ট মুসলিম লীগের ডাকা প্রত্যক্ষ সংগ্রাম দিবসে পরিণতিতে কলকাতায় যে ভয়াবহ হত্যাযজ্ঞ ও দাঙ্গা সংঘটিত হয়, তাতে মহাসভার রাজনৈতিক আশা কিছু পরিমাণে পুনরুজ্জীবিত হয়।