লিজে মাইটনার: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
AishikBot (আলোচনা | অবদান)
বানান ও অন্যান্য সংশোধন
পরিষ্কারকরণ
৩১ নং লাইন:
 
'''লিজে মাইটনার''' (১৮৭৮ - ১৯৬৮) একজন অস্ট্রীয়-সুয়েডীয় পদার্থবিজ্ঞানী যিনি [[নিউক্লীয় বিভাজন]] (Nuclear Fission) প্রক্রিয়ার প্রথম সফল ব্যাখ্যাতা হিসেবে বিখ্যাত।<ref name=nytobit>{{সংবাদ উদ্ধৃতি|শিরোনাম=Lise Meitner Dies; Atomic Pioneer, 89. Lise Meitner, Physicist, Is Dead. Paved Way for Splitting of Atom. |ইউআরএল=http://select.nytimes.com/gst/abstract.html?res=F30A11F83455157493CAAB178BD95F4C8685F9 |উক্তি=Dr. Lise Meitner, the Austrian born nuclear physicist who first calculated the enormous energy released by splitting the uranium atom, died today in a Cambridge nursing home. She was 89 years old.|কর্ম=[[The New York Times]]|তারিখ=28 October 1968|সংগ্রহের-তারিখ=18 April 2008}}</ref> তিনি তার ভ্রাতুষ্পুত্র [[অটো রবার্ট ফ্রিচ্]]-এর সাথে মিলে ফিশন বিক্রিয়ার নাম দেন। উল্লেখ্য ১৮৭৮-৭৯ খ্রিষ্টাব্দে যখন [[মাক্স প্লাংক]] মিউনিখ বিশ্ববিদ্যালয়ে পিএইচডি ডিগ্রির জন্য পড়াশোনা করছিলেন তখনই পদার্থবিজ্ঞান জগতের উজ্জ্বল চার নক্ষত্রের জন্ম হয় যারা সনাতন পদার্থবিজ্ঞানের বেড়াজাল ছিন্ন করে মানুষের চিন্তার ধারাকে বদলে দিয়েছেন। এরা হলেন লিজে মাইটনার, [[অটো হান]], [[আলবার্ট আইনস্টাইন]] এবং [[মাক্স ফন লাউয়ে]]। এদের মধ্যে মাইটনার বাদে সবার জন্মই ১৮৭৯ সালে। মাইটনার জন্মান '৭৯ সাল শুরু হবার মাত্র দেড় মাস আগে। ম্যাক্স প্লাংক মজা করে তাই বলেছিলেন:
<i>{{cquote|যারা ১৮৭৯ সালে জন্মগ্রহণ করেছেন, পদার্থবিজ্ঞানের জন্য তাঁরা মূলত, পূর্বনির্ধারিত এবং এদের মধ্যে লিজে মাইটনারকে অবশ্যই গণনা করা হবে যদিও তিনি জন্মেছিলেন একটি ছোট্ট, কৌতূহলদ্দীপ্ত মেয়ে হিসেবে ১৮৭৮ সালের ৭ নভেম্বর অর্থাৎ যে সময়ে তার আসা উচিত ছিল সে সময়ের জন্য তিনি অপেক্ষা করতে পারেন নি।}}
{{cquote|
<i>যারা ১৮৭৯ সালে জন্মগ্রহণ করেছেন, পদার্থবিজ্ঞানের জন্য তাঁরা মূলত, পূর্বনির্ধারিত এবং এদের মধ্যে লিজে মাইটনারকে অবশ্যই গণনা করা হবে যদিও তিনি জন্মেছিলেন একটি ছোট্ট, কৌতূহলদ্দীপ্ত মেয়ে হিসেবে ১৮৭৮ সালের ৭ নভেম্বর অর্থাৎ যে সময়ে তার আসা উচিত ছিল সে সময়ের জন্য তিনি অপেক্ষা করতে পারেন নি।}}
বিংশ শতাব্দীর নারী বিজ্ঞানীদের মধ্যে [[মারি ক্যুরি]]র পরেই তার নাম উচ্চারিত হয়ে থাকে। অবশ্য [[নোবেল পুরস্কার]] লাভের সৌভাগ্য তার হয়নি যদিও তা তার প্রাপ্য ছিল। অটো হান এবং তিনি একসাথেই প্রায় সকল গবেষণা পরিচালনা করেছিলেন। কিন্তু নোবেল পান অটো হান একা। ইহুদি হওয়ার কারণে তাকে জার্মানিও ছাড়তে হয়েছিল। বিজ্ঞানের প্রতি অবদানের তুলনায় স্বীকৃত পেয়েছেন বেশ কম। অবশ্য [[আইইউপিএসি]] ১০৯ টি রাসায়নিক মৌলের একটিকে তার নামে নামাঙ্কিত করেছে: [[মাইটনারিয়াম]]।<ref>{{cite pmid|11206992}}</ref><ref>{{cite pmid|7014939}}</ref><ref>{{cite pmid|4573793}}</ref>
 
৫৮ ⟶ ৫৭ নং লাইন:
 
১৯৪৬ সালের অর্ধেক সময় তিনি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের [[ক্যাথলিক বিশ্ববিদ্যালয়|ক্যাথলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে]] অতিথি অধ্যাপক হিসেবে শিক্ষকতা করেন। এ সময়ে টেকনিক্যাল কলেজে নিউক্লীয় পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের পরিচালক নিযুক্ত হন। ১৯৪৭ সালে আনুষ্ঠানিকভাবে অবসর গ্রহণ করেন। এর আগে যে নোবেল ইনস্টিটিউটে যোগ দিয়েছিলেন তাও ত্যাগ করেন। অব্যবহিত পরেই সুয়েডীয় পরমাণু শক্তি কমিশনের সাহায্যে একটি ছোট আকারের ব্যক্তিগত গবেষণাগার প্রতিষ্ঠা করেন। এই গবেষণাগারে প্রকৌশল বিজ্ঞানের কাজ করেই বাকি সময়টা কাটিয়েছিলেন। সেখানে তিনি একটি পরীক্ষণমূলক পারমাণবিক চুল্লী স্থাপন করেছিলেন। শেষ জীবনে এসে ১৯৬৩ সালে ভিয়েনাতে অবস্থিত ইউরেনিয়া শিক্ষা ইনস্টিটিউটের পদার্থবিজ্ঞানের ৫০ বছর পূর্তি উপলক্ষে একটি বিখ্যাত বক্তৃতা দিয়েছিলেন। জীবনের শেষ কটা দিন ইংল্যান্ডের কেমব্রিজ শহরে ভ্রাতুষ্পুত্র ফ্রিচের সাথে নির্জন পরিবেশে অবস্থিত একটি বাসায় বসবাস করতেন। ১৯৬৮ সালের [[অক্টোবর ২৭|২৭ অক্টোবর]] এই মহীয়সী বিজ্ঞানী [[ইংল্যান্ড|ইংল্যান্ডের]] [[কেমব্রিজ]] শহরে মৃত্যুবরণ করেন। এর মাত্র চার মাস আগে [[জুলাই ২৮]] তারিখে অটো হানের মৃত্যু হয়েছিল। ইংল্যান্ডের এক গির্জার পারিবারিক কবরস্থানে তাকে সমাধিস্থ করা হয়েছে। তার সমাধি ফলকে পাথরে খোদাই করে লেখা আছে:
<i>{{cquote|লিজে মাইটনার এমন একজন পদার্থবিজ্ঞানী যিনি কখনও তার মানবিকতাকে হারান নি।}}
{{cquote|
<i>লিজে মাইটনার এমন একজন পদার্থবিজ্ঞানী যিনি কখনও তার মানবিকতাকে হারান নি।}}
 
== গবেষণা কর্ম ==