সজনীকান্ত দাস: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
সম্পাদনা সারাংশ নেই
ট্যাগ: মোবাইল সম্পাদনা মোবাইল ওয়েব সম্পাদনা
ত্রুটি সংশোধন
১৫ নং লাইন:
 
== জন্ম ও শিক্ষাজীবন ==
সজনীকান্ত দাসের জন্ম ১৯০০ সালের ২৫ আগস্ট তৎকালীন অবিভক্ত বর্ধমান জেলার বেতালবন গ্রামে মাতুলালয়ে। পিতা হরেন্দ্রলাল দাস ও মাতা তুঙ্গলতা দেবী। পৈতৃক নিবাস ছিল [[বীরভূম| বীরভূম জেলার]] রায়পুরে। ১৯১৮ খ্রিস্টাব্দে দিনাজপুর জেলা স্কুল থেকে প্রবেশিকা পরীক্ষা পাশ করে কলকাতার [[প্রেসিডেন্সি কলেজ| প্রেসিডেন্সি কলেজে]] ভরতি হন। এখানে রাজনৈতিক কারণে পড়াশোনা করতে না পারায় বাঁকুড়ার ওয়েসলিয়ান মিশনারি কলেজ থেকে আইএসসি এবং ১৯২২ খ্রিস্টাব্দে কলকাতার [[স্কটিশ চার্চ কলেজ]] থেকে [[স্নাতক উপাধি|বিএসসি]] পাশ করেন।<ref name="সংসদ">সুবোধ সেনগুপ্ত ও অঞ্জলি বসু সম্পাদিত, ''সংসদ বাঙালি চরিতাভিধান'', প্রথম খণ্ড, সাহিত্য সংসদ, কলকাতা, আগস্ট ২০১৬, পৃষ্ঠা ৭৩৯, {{আইএসবিএন|978-81-7955-135-6}}</ref> তারপরে [[বারাণসী|বারাণসীতে]] ইঞ্জিনিয়ারিং পড়তে পড়তে ছেড়ে দিয়ে কলকাতায় পদার্থবিজ্ঞানে [[স্নাতকোত্তর উপাধি |এমএসসি]]পড়া শুরু করেন। অচিরেই ১৯২৪ খ্রিস্টাব্দে সে বিদ্যাচর্চা শেষ করে [[অশোক চট্টোপাধ্যায় (লেখক) |অশোক চট্টোপাধ্যায়]] প্রতিষ্ঠিত [[শনিবারের চিঠি]] পত্রিকায় যোগ দেন এবং ''ভাবকুমার প্রধান''ছদ্মনামে লিখতে থাকেন।
 
== কর্মজীবন ==
২১ নং লাইন:
 
== সাহিত্যকর্ম ==
সজনীকান্ত কবি, সমালোচক, প্রাবন্ধিক, গীতিকার এবং প্রাচীন বঙ্গসাহিত্যের গবেষক হিসাবে বাংলা সাহিত্যকে সমৃদ্ধ করেছেন। তিনি "কামস্কাটকীয় ছন্দ" কবিতা প্রকাশ করে বাংলা ব্যঙ্গ সাহিত্যে অবতীর্ণ হন। অন্যের রচনার ত্রুটি আবিষ্কার করতে থাকেন। তিনি প্রথম আক্রমণ করেন [[কাজী নজরুল ইসলাম | নজরুলকে]]। [[রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর |রবীন্দ্রনাথ-সহ]] খ্যাতিমান আধুনিক কবি ও ঔপন্যাসিক তার সমালোচনায় আক্রান্ত হয়েছেন। শুধু সাহিত্য নয় - সমকালীন সমাজ, রাজনীতি ও অন্যান্য ক্ষেত্রের সমস্যা সম্পর্কেও তিনি সমালোচকের ভূমিকা নিতেন এবং এতে তার নিজের প্রতিভার অনেকটাই অপচয় হয়েছিল। <ref name="সাহিত্যসঙ্গী">{{citeবই bookউদ্ধৃতি | titleশিরোনাম=সংসদ বাংলা সাহিত্যসঙ্গী | publisherপ্রকাশক= সাহিত্য সংসদ, কলকাতা | authorলেখক= শিশিরকুমার দাশ | yearবছর=২০১৯ | pagesপাতাসমূহ=২১৬ | আইএসবিএন =978-81-7955-007-9|আইএসবিএন-ত্রুটি-উপেক্ষা-করুন=হ্যাঁ }}</ref> চলচ্চিত্রের চিত্রনাট্যকার ও সংলাপ রচয়িতা হিসাবে তাঁর যথেষ্ট সুনাম ছিল।
 
কবি হিসাবেও তাঁর পরিচিতি ছিল। নমুনা স্বরূপ এক কবিতার চারটি পঙ্‌ক্তি নিম্নরূপ:
৩১ নং লাইন:
প্রসঙ্গত উল্লেখযোগ্য এই যে, ১৯৪৭ খ্রিস্টাব্দের ১৫ই আগস্ট স্বাধীনতা দিবসে রেডিওতে তাঁর লেখা যে গান সুকৃতি সেনের কণ্ঠে প্রচারিত হয়েছিল-
{{উক্তি |
"বন্দেমাতরম বন্দেমাতরম </br />
চক্রশোভিত ওড়ে নিশান </br />
নবভারতের বাজে বিষাণ </br />
কে আছ কোথায় ছুটে এস সবে</br />
জ্ঞানী ও কর্মী ধনী কিষাণ</br />
নতুন যাত্রা শুরু এবার....."}} <ref name ="সংসদ">< /ref>
ঊনবিংশ শতাব্দীর বাংলা সাহিত্যের গবেষণার ক্ষেত্রেও তিনি উৎসাহী ছিলেন। ১৯৪৬ খ্রিস্টাব্দে তিনি বাংলা গদ্যের প্রথম যুগ রচনা করেন এবং এটি প্রামাণ্য ইতিহাস হিসাবে গৃহীত হয়। সাহিত্য পরিষদের সাহিত্যসাধক-চরিতমালা-সহ বহু গ্রন্থ [[ব্রজেন্দ্রনাথ বন্দ্যোপাধ্যায় | ব্রজেন্দ্রনাথ বন্দ্যোপাধ্যায়ের]] সঙ্গে তিনি যুগ্মভাবে সম্পাদনা করেন।